Mamata Banerjee Security: 'দিদি নিরাপদ নয়, নিরাপত্তাহীন, আমরা ভয়ে রয়েছি', সেই রাতের কথা ভেবে গলা কাঁপল মুখ্যমন্ত্রীর ভাইয়ের
Kartick Banerjee: মমতার বাড়িতে রড নিয়ে এক সন্দেহভাজনের ঢুকে পড়া, তাঁর ঘরের কাছেই গভীর রাতে প্রায় সাত ঘণ্টা ঘাপটি মেরে বসে থাকা এবং শেষ অবধি ধরা পড়া, গত কয়েক দিন ধরে একের পর এক তথ্য প্রকাশ পেয়েছে।
কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: নিরাপত্তার বলয় পেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) বাড়িতে অনুপ্রবেশ। রাতভর নজরে পড়ল না কারও, সকালে নিরাপত্তারক্ষীর নজর গেল অনুপ্রবেশকারীর উপর। পরে জানা গেল, লোহার রড নিয়ে ওই ব্যক্তি ঢুকেছিলেন তিনি। জেড প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তাপ্রাপ্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার ঘটনায় তোলপাড় গোটা রাজ্য। তা নিয়ে এ বার মুখ খুললেন তাঁর ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় (Kartick Banerjee)। সরাসরি পুলিশের (Kolkata Police) ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তিনি। যে নিরাপত্তার জাল গলে মাছি ঢোকার উপায় নেই, সেখানে এমন ঘটনা ঘটল কী ভাবে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
দিদির নিরাপত্তা বিঘ্ন হওয়া নিয়ে মুখ খুললেন কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়
মমতার বাড়িতে রড নিয়ে এক সন্দেহভাজনের ঢুকে পড়া, তাঁর ঘরের কাছেই গভীর রাতে প্রায় সাত ঘণ্টা ঘাপটি মেরে বসে থাকা এবং শেষ অবধি ধরা পড়া, গত কয়েক দিন ধরে একের পর এক তথ্য যত প্রকাশ পেয়েছে, ততই স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছেন সাধারণ মানুষ থেকে বিশিষ্ট জনেরা। পুলিশের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা উঠে এসেছে তাঁদের কথায়। একই সুর ধরা পড়ল কার্তিকের গলায়। তাঁর কথায়, "দিদি বেরোলে ঘটনাটা খারাপ হতে পারত। ল্যাক অফ সিকিউরিটি বলতেই হবে। যেখানে মাছি গলার কথা নয়, সেখানে একটা মানুষ ৭-৮ ঘণ্টা ধরে বসে রয়েছে! দিদি তো নিরাপত্তাহীন!"
VVIP হিসেবে জেড প্লাস নিরাপত্তা (Z Plus Category Security) পান মমতা। ২৪ ঘণ্টা তাঁর বাড়িতে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা মোতায়েন থাকে। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সব সময় ৩২ থেকে ৩৬ জন নিরাপত্তারক্ষী থাকেন। তাঁদের মধ্যে অন্তত ১০ জন কম্যান্ডো। এ ছাড়াও থাকেন পার্সোনাল সিকিওরিটি অফিসাররা, যাঁরা মুখ্যমন্ত্রীকে ঘিরে থাকেন। মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তায় সব মিলিয়ে, দিনভর ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ১৫০ জন আধিকারিক মোতায়েন থাকেন। অথচ এত কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই বাড়ির চত্ত্বরে ঢুকে, ঘণ্টার পর ঘণ্টা কীভাবে থেকে গেলেন এক সন্দেহভাজন? উঠছে প্রশ্ন।
কার্তিকের কথায়, "যে কোনও ঘটনা ঘটতে পারত। আগন্তুকের হাতে লোহার রড ছিল। আগের রাত থেকেই ছিল। দিদি যে ঘরে থাকে, তার ঠিক উল্টোদিকে একটা ফাঁকা জায়গা আছে। সেখানে আমার দাদার থাকার জায়গা আছে। ওই জায়গায় ও সারারাত ছিল। ওখানেই মাঝেমধ্যে হাঁটাচলা করে দিদি। অবাক হয়ে গেলাম, দিদি যদি বের হতো, তাহলে ওর সঙ্গে থাকতো দশ ফুটের দূরত্ব। দিদিকে আঘাত করতে পারত!"
মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিঘ্ন হওয়ায় উদ্বেগ
নিরাপত্তার ফাঁক গলে, সন্দেহভাজন ব্যক্তি মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের ঠিক কতটা কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন তা বলতে গিয়ে উদ্বিগ্ন শোনায় কার্তিককে। তিনি বলেন, "দিদি ইন ডেঞ্জার। একটা শক্তি আছে, যারা চেষ্টা করছে। অশুভ শক্তি সজাগ দিদিকে ক্ষতি করার। আমরা ভয় পেয়ে রয়েছি। আমরা সন্দেহ করি। পুলিশের কাছে নিশ্চয়ই খবর আছে। আমি তো ব্যক্তিগতভাবে ভয় পাই। দিদি নিরাপদ নয়। দিদিকে ও বলেছি। যখন সব শান্ত, তখনই তো অশান্তি আসে।" সব মিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তায় গাফিলতি ঘিরে উদ্বিগ্ন পরিবার।