Lakshmir Bhandar: ‘বিহারে ভোটের আগে ১০০০০ ধরিয়েছে বিজেপি, আমরা বছরেই ১২০০০ দিই’, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ নিয়ে মমতা
Mamata Banerjee On Lakshmir Bhandar: নবান্নের সভাঘর থেকে গত ১৪ বছর ৬ মাসের কাজের খতিয়ান পেশ করলেন।

কলকাতা: ভোটার তালিকায় নিবিড় সংশোধন বা SIR-এর কাজ সম্পন্ন হলেই বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হবে পশ্চিমবঙ্গে। তার আগে মঙ্গলবার নিজের সরকারের কাজের খতিয়ান প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২৬ সালের মে মাসে ১৫ বছর পূর্ণ করবে তাঁর সরকার। এদিন নবান্নের সভাঘর থেকে গত ১৪ বছর ৬ মাসের কাজের খতিয়ান পেশ করলেন তিনি, যার পোশাকি নাম 'উন্নয়নের পাঁচালি' রাখা হয়েছে। (Mamata Banerjee On Lakshmir Bhandar)
এদিন কাজের খতিয়ান দিলেও, 'উন্নয়নের পাঁচালি' এখনই প্রকাশ করা হয়নি। মমতা জানিয়েছেন, কিছু বিষয় এখনও যুক্ত করা বাকি রয়েছে। এর পর সম্পূর্ণ 'উন্নয়নের পাঁচালি' প্রকাশ করবেন তাঁরা। তবে এখনও পর্যন্ত কী কাজ করেছে তাঁর সরকার, কী কথা দেওয়া হয়েছিল, আর কতটা কাজ হয়েছে, কোন খাতে কত টাকা খরচ হয়েছে, তা খোলসা করেন মমতা। জানান, জনগণের কাছে দায়বদ্ধ তাঁর সরকার। কতটা কী করতে পেরেছেন, তার কৈফেয়ত দেওয়ার দায় রয়েছে। (Lakshmir Bhandar Scheme)
নবান্নের সভাঘর থেকে এদিন 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার' প্রকল্প নিয়ে মুখ খোলেন মমতা। জানান, পশ্চিমবঙ্গে এই মুহূর্তে ২ কোটি ২১ লক্ষ মহিলা 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার' প্রকল্পের সুবিধা পান। পাঁচ বছরের নিরিখে সাধারণ মহিলারা ৬০০০০ টাকা এবং তফসিলিরা ৭০০০০ টাকা করে পেয়েছেন। সেই বাবদ তাঁর সরকারের খরচ হয়েছে ২ কোটি ২১ লক্ষ ৭৪ হাজার কোটি টাকা। এখন যাঁরা 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে'র টাকা পান, বয়স ৬০ পেরোলে তা 'বার্ধক্যভাতা'য় রূপান্তরিত হয়ে যাবে বলেও জানান মমতা।
'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার' প্রকল্প নিয়ে এদিন বিজেপি-কেও একহাত নেন মমতা। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মমতা এ রাজ্যে মহিলাদের হাতে নগদ তুলে দেওয়ার ঘোষণার পর, অন্য একাধিক রাজ্যে বিজেপি-ও একই রকম প্রকল্পের ঘোষণা করেছে। সদ্য সমাপ্ত বিহার বিধানসভা নির্বাচনে ভোটের ঠিক আগে আগেই মহিলাদের হাতে এককালীন ১০০০০ টাকা করে তুলে দেওয়া হয়। মমতার বক্তব্য, "আমরা 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার' করেছি। অনেক রাজ্যে বিজেপি দেখানোর জন্য করছে। বিহারে ভোটের আগে ১০ হাজার, ভোটের পর বুলডোজার। আমরা তো বছরেই ১২০০০ টাকা দিই! সেই নিরিখে পাঁচ বছরে ৬০০০০, তফসিলিরা পান ৭০০০০। আমরা কিন্তু এটা করি না যে, বাইক থাকলে মিলবে না, টিভি থাকলে দেব না, পাকা দেওয়াল থাকলে দেব না। আমাদের এখানে ইউনিভার্সাল। ২ কোটি ২১ লক্ষ মহিলা 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার' পাচ্ছেন। এটা সারা জীবনের জন্য। পরবর্তীতে বার্ধক্যভাতায় কনভার্ট হয়ে যাবে। ৬০ বছর হয়ে গেলেও আজীবন পাবেন।"
এদিন মমতা আরও জানান, 'কন্যাশ্রী' প্রকল্পের সুবিধাপ্রাপ্তের সংখ্যা ১ কোটি। সেই খাতে ১৬ হাজার ৫৫৪ কোটি টাকা খরচ করেছে রাজ্য। 'রূপশ্রী' প্রকল্পে ২২ লক্ষ ২০০০ মেয়ের বিয়ের ব্যবস্থা করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি, শ্রম বিভাগ থেকে শ্রমিকদের মেয়ের বিয়ের টাকাও দেওয়া হয় আলাদা করে। 'রূপশ্রী' প্রকল্পে ৫ হাজার ৫৫৮ কোটি টাকা খরচ করেছে রাজ্য সরকার। ২ কোটি ৪৫ লক্ষ পরিবার ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পে যুক্ত। এখনও পর্যন্ত রাজ্যের খরচ হয়েছে ১৩ হাজার ১৫৬ কোটি টাকা।























