Nadia News:'মাকে খুন ও স্ত্রীকে খুনের চেষ্টা' , নদিয়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে 'আত্মঘাতী' যুবক
Suicide In Nadia:মাকে খুন ও স্ত্রীকে খুনের চেষ্টা করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হলেন এক ব্যক্তি। নাম জিতেন্দ্র দাস। বয়স ৩৫ বছর। নদিয়ার কালীগঞ্জ থানার বড়োআটাইগি গ্রামের ঘটনা।
প্রদ্যোৎ সরকার, নদিয়া: মাকে খুন (Mother Murder) ও স্ত্রীকে খুনের চেষ্টা করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হলেন এক ব্যক্তি (Nadia Suicide)। নাম জিতেন্দ্র দাস। বয়স ৩৫ বছর। নদিয়ার (Nadia) কালীগঞ্জ থানার বড়োআটাইগি গ্রামের ঘটনা।
কী ঘটেছিল?
গত কাল, অর্থাৎ রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কালীগঞ্জ থানার বড়োআটাইগি গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদের টিয়া গ্রামের বাসিন্দা জিতেন্দ্র দাসের সঙ্গে বড়োআটাইগি গ্রামের প্রিয়াঙ্কা দাসের বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর থেকে জিতেন্দ্র, প্রিয়াঙ্কার বাড়িতেই থাকতেন। মাঝে মাঝে সেখানে আসতেন জিতেন্দ্রর মা ভগবতী দাস। জিতেন্দ্রর স্ত্রী জানাচ্ছেন, আজ, সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেন তাঁর শাশুড়ি মা অর্থাৎ ভগবতী দাস রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। স্বামী গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছেন। তিনিই দড়ি কেটে স্বামীর দেহ নামান। তাঁর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। দু'জনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। পরে প্রিয়াঙ্কা জানান, স্বামী তাঁকেও গলায় ফাঁস দিয়ে খুনের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তিনি ঘুমের ঘোরে কিছু বুঝতে পারেননি। আর ঘুম থেকে উঠতেই ওই ছবি। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রিয়জনকে খুন করে আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনা নতুন নয়। গত মাসের শেষ দিকেই কেষ্টপুরে মা-মেয়ের আত্মঘাতী হওয়া ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। সেখানকার 'ঐক্যতান অ্যাপার্টমেন্ট'-এর তিনতলায় ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় দু’জনের মৃতদেহ। স্থানীয় সূত্রে খবর, মা ও মামার সঙ্গে থাকতেন বছর তিরিশের মেয়ে। গত কাল সকালে এক আত্মীয় ডাকতে এসে মা ও মেয়েকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। কীভাবে মৃত্যু, খতিয়ে দেখতে শুরু করে বাগুইআটি থানার পুলিশ। গত বেশ কয়েক মাস ধরে থাকছিলেন মা ও মেয়ে ওই আবাসনে থাকছিলেন। সোমবার ভোরে সেখানেই তাঁদের এক আত্মীয় গিয়ে দেখেন, দরজার ভেজানো রয়েছে। দরজা খুললেই দু'জনের দেহ নজরে পড়ে তাঁর, প্রাথমিক ভাবে জানতে পারে পুলিশ। প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল, দুজনে আত্মঘাতী হয়েছেন। তবে নেপথ্য়ে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা, খতিয়ে দেখতে শুরু করে পুলিশ। পরে অবশ্য জানা যায়, বিধাননগর পুরসভায় মিউটেশন, লাইসেন্স, বিল্ডিং প্ল্যান পাস-সহ বিভিন্ন কাজের জন্য এজেন্ট হিসেবে কাজ করত এমন কয়েক জন, মিউটেশন করানোর নাম করে গোপা রায়ের কাছ থেকে ৩৫ লক্ষ টাকা নিয়েছিল তারা। কাজ না হওয়ায় সম্প্রতি টাকা ফেরত চান গোপা। এরপরই তাঁর কেষ্টপুরের ফ্ল্যাটে চড়াও হয়ে খুনের হুমকি দিতে শুরু করে ওই ৫ জন, এমনই অভিযোগ। চাপের মুখে পড়ে গত কাল বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন গোপা ও তাঁর মেয়ে বছর ২৬-র সুদেষ্ণা। এরপরই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বাগুইআটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন গোপার দাদা গৌতম দে। তার ভিত্তিতেই ৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন:'ভুয়ো ব্যালট পেপার তৈরি করা হচ্ছে', বিস্ফোরক সুকান্ত