Kolkata News: বেড়ানোর নাম করে স্ত্রীকে নিয়ে কলকাতায়, মহিলার মর্মান্তিক পরিণতিতে গ্রেফতার স্বামী
Wife Death: ধৃত স্বামী জেরায় দাবি করেছেন, তাঁর স্ত্রী একাধিক পুরুষের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। স্ত্রী ইতিকাকে শুধরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন স্বামী বিশ্বজিৎ।

সুকান্ত মুখোপাধ্যায় ও রঞ্জিত সাউ, কলকাতা: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক সন্দেহে স্ত্রীর গলায় বেল্ট জড়িয়ে শ্বাসরোধ করে খুন, ১০০ ডায়ালে ফোন করে নিজেই পুলিশকে খবর দেয় স্বামী। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে নিউটাউন থানার পুলিশ। জেরায় ধৃত জানিয়েছে, স্ত্রীর একাধিক সম্পর্ক ছিল। মোবাইল ফোনে ঘনিষ্ঠ ছবি দেখে খুনের ছক কষে স্বামী। ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে স্ত্রীকে নিয়ে নিউটাউনের একটি গেস্ট হাউসে ওঠে। সেখানে কথা কাটাকাটির সময় স্ত্রীর গলায় বেল্ট জড়িয়ে খুন করে স্বামী। গেস্ট হাউসের তিনতলার ঘর থেকে গৃহবধূর দেহ উদ্ধার করে নিউটাউন থানার পুলিশ। ধৃতের বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুুরের হোসেনপুরে।
বেড়ানোর টোপ দিয়ে, দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে কলকাতার উপকণ্ঠে নিয়ে এসে স্ত্রীকে খুনই করে ফেললেন স্বামী। নিউটাউনের গৌরাঙ্গনগরের গেস্ট হাউস থেকে এক মহিলার দেহ উদ্ধারের ঘটনায় এমনই রোমহর্ষক তথ্য সামনে এল। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে নিউটাউন থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে দাবি, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক সন্দেহে স্ত্রীর গলায় বেল্ট জড়িয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করেছেন স্বামী। ধৃত বিশ্বজিৎ মণ্ডল জেরায় খুনের কথা স্বীকারও করেছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, দক্ষিণ দিনাজপুরের হোসেনপুরের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ মণ্ডলের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী ইতিকা মণ্ডলের অনেক দিন ধরেই অশান্তি চলছিল।
ধৃত স্বামী জেরায় দাবি করেছেন, তাঁর স্ত্রী একাধিক পুরুষের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। স্ত্রী ইতিকাকে শুধরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন স্বামী বিশ্বজিৎ। জেরায় স্বামী দাবি করেন, সতর্ক করার পরেও স্ত্রী শুধরোননি। উপোরন্তু প্রতি মাসে তাঁর কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা দাবি করতে থাকেন। এরপরই স্ত্রীকে খুনের ছক কষে ফেলেন স্বামী। নিক্কো পার্ক, ইকো পার্ক ঘোরানোর নাম করে সোমবার স্ত্রীকে নিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে সটান নিউটাউনে চলে আসেন বিশ্বজিৎ। নিউটাউনের গেস্ট হাউসেই মঙ্গলবার স্ত্রীকে খুন করেন তিনি।
মঙ্গলবারই ১০০ ডায়ালে পুলিশের কাছে একটি ফোনকল আসে। তাতে বলা হয়, রাধেশ্যাম গেস্ট হাউসের তিনতলায় ৫ নম্বর রুমে এক মহিলার মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। এরপর ফোনের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে এলাকা থেকেই মৃতার স্বামীকে ধরে ফেলে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে দাবি, স্বামীর মোবাইল ফোনে নিহত স্ত্রীর দেহের ছবি মিলেছে। ধৃতের ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বারাসাত আদালত। পুলিশ সূত্রে খবর, নিউটাউনের যে গেস্ট হাউসে দম্পতি উঠেছিলেন, সেখানে কোনও সচিত্র পরিচয়পত্র জমা না দিয়েই ঘর ভাড়া নিয়েছিলেন তাঁরা। কোন সমীকরণে এটা সম্ভব হল, তা খোলসা করতে গেস্ট হাউসের মালিক ও কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। খতিয়ে দেখা হচ্ছে গেস্ট হাউসের সিসিটিভি ফুটেজ।






















