Justice Gangopadhyay:'সংবাদমাধ্যম দুর্নীতির বিরুদ্ধে গলা খুলে কথা বলছে', বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়
Justice Gangopadhyay On Media:সন্দেশখালিকাণ্ডে ইডি,সিআরপিএফ জওয়ান থেকে সংবাদমাধ্যম, রেহাই পায়নি কেউই, দুর্নীতির বিরুদ্ধে গলা খুলে কথা বলার জন্য মিডিয়ার প্রশংসা করলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়..
কলকাতা: তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ইডি অভিযান ঘিরে সন্দেশখালিতে দুষ্কৃতী তাণ্ডবের ভয়াবহ অভিযোগ উঠেছে (ED Raid On TMC Leader House)। এদিন ইডি,সিআরপিএফ জওয়ান থেকে সংবাদমাধ্যম, রেহাই পায়নি কেউই। এদিন হামলার ঘটনার পর এদিন তিনি ইডি আধিকারিকদের হাসপাতালে যান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। এবং মিডিয়ার প্রশংসা করে তিনি বলেন, 'সংবাদমাধ্যম দুর্নীতির বিরুদ্ধে গলা খুলে কথা বলছে।'
গোটা ঘটনার পর বিচারপতি বলেন , ' রাজ্যে কোনও আইনশৃঙ্খলা আছে বলে আপনার মনে হয়? তদন্ত আটকাতে মানুষের পয়সা খরচ করে মামলা করা হচ্ছিল ? তদন্তের আদেশ দিলেই সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া হচ্ছিল।সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার অধিকার প্রত্যেকেরই আছে। কিন্তু কী করার জন্য যাওয়া হচ্ছে ?' এরপরেই তিনি আরও প্রশ্ন তুলেছেন,' আমি জানতে চাই, আমি আশা করব, আমাদের মা-মাটি-মানুষের সরকার, এইটুকু প্রকাশ করবে, সুপ্রিমো কোর্টে ছোটাছুটি করতে, এই তদন্ত আটকাতে মোট কোটি টাকা খরচ করেছে ?' এদিন বিচারপতি আরও বলেন, 'এই ঘটনা সম্পূর্ণ লজ্জাজনক। আমি তো দেখছি প্রথম থেকেই, সংবাদমাধ্যম দুর্নীতির বিরুদ্ধে গলা খুলে কথা বলছে।আজকে এই দুর্নীতি আদালতের জন্য যতটা প্রকাশ্যে এসেছে, তার থেকেও বেশি প্রকাশ্যে এসেছে মিডিয়া তাকে তুলে ধরেছে বলে।'
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত তৃণমূল নেতার বাড়িতে গিয়ে বারবার ডাকাডাকি সত্ত্বে সাড়া মেলেনি কারও। ১ ঘণ্টা অপেক্ষার পর কেন্দ্রীয় বাহিনী তালা ভাঙার চেষ্টা করতেই তৈরি হয় বিপত্তি। সকাল ৮টা ১০ নাগাদ নাগাদ শয়ে শয়ে শাহজাহানের অনুগামী বাড়ির সামনে জড়ো হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর চড়াও হয় শাহজাহান অনুগামীরা। এরপর মারতে মারতে এলাকাছাড়া করা হয় ইডি আধিকারিক, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের। খবর করতে গেলে এবিপি আনন্দর চিত্র সাংবাদিককে বেধড়ক মারধর করা হয়, ভাঙচুর করা হয় ক্যামেরা। কেড়ে নেওয়া হয় লাইভ সম্প্রচারের সরঞ্জাম।
আরও পড়ুন, সন্দেশখালি হামলাকাণ্ডের জন্য 'মুখ্যমন্ত্রীকে' দায়ি করলেন শুভেন্দু
অপরদিকে, ওই সময় ইডি-কেন্দ্রীয় বাহিনীর গাড়ি ভাঙচুর করতে থাকে দুষ্কৃতীরা। ভাঙচুর করা হয় চারটি সংবাদ মাধ্যমের গাড়িও।প্রাণভয়ে এবিপি আনন্দর গাড়িতে চড়ে বসেন ৪ ইডি আধিকারিক। পালিয়ে যান কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। সেই গাড়িতে চেপে পালাতে গিয়ে উল্টো দিকে চলে যান তাঁরা। ধামাখালি জেটি ঘাটে পৌঁছে যান। সেখান থেকে ফেরার পথ নেই বুঝতে পেরে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা সন্দেশখালি থানার একটি পুলিশের ভ্যানের কাছে সাহায্য চান তাঁরা। সন্দেশখালি থানার ওসির সঙ্গে কথা বলেন ইডি আধিকারিকরা।