Midnapore College: 'হাতে বুট দিয়ে লাথি মেরেছে' এবার পুলিশের বিরুদ্ধে সরব SFI নেত্রী
West Midnapore News: মেদিনীপুর মহিলা থানার বিরুদ্ধে একের পর এক অত্য়াচারের অভিযোগ উঠে আসছে। যাদবপুরকাণ্ডের প্রতিবাদে ধর্মঘটের দিনই এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ SFI এবং DSO-র।

সৌমেন চক্রবর্তী, মেদিনীপুর: ধর্মঘটে অংশ নেওয়া ছাত্রীকে মেদিনীপুর মহিলা থানায় নিয়ে গিয়ে অত্য়াচারের অভিযোগ SFI-এর। মেদিনীপুর মহিলা থানার যে OC-র বিরুদ্ধে নির্মম অত্যাচারের অভিযোগ তুলেছে DSO, সেই অফিসারের বিরুদ্ধেও অভিযোগে সরব হয়েছে SFI । মেদিনীপুর কলেজের ছাত্রী সুচরিতা দাসের অভিযোগ, স্য়ালাইনকাণ্ডে পথে নেমে সরব হওয়ায় তাঁর প্রতি আক্রোশ কাজ করেছে পুলিশের। সেকারণেই বেধড়ক পেটানো হয়েছে তাঁকে। এই অভিযোগের নেপথ্যে ষড়যন্ত্র দেখছে পুলিশ। পুলিশ সুপারের বক্তব্য, বামপন্থী একটি দল, এটাকে ইস্যু করার চেষ্টা করছে।
মেদিনীপুর মহিলা থানার বিরুদ্ধে একের পর এক অত্য়াচারের অভিযোগ উঠে আসছে। যাদবপুরকাণ্ডের প্রতিবাদে ধর্মঘটের দিনই এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ SFI এবং DSO-র। এই চাঞ্চল্য়কর অভিযোগ করেছেন মেদিনীপুর কলেজের SFI নেত্রী সুচরিতা দাস। এদিন তিনি বলেন, "গাড়ির ভিতরে যখনই তুলেছে, তখন থেকেই নানাভাবে অত্যাচার করেছে। সেখানকার ওসি সাথী বারিক, আমার সঙ্গে ফোনে স্পিকারে কথা বলে বলছে, তোর কোন বাপ আছে, কতগুলো বাপ আছে, কোথায় কোথায় বাপ আছে, সবাইকে ডাক। কে তোকে ছাড়িয়ে নিয়ে যেতে পারে, সেটা আমিও দেখব।''
আরও অভিযোগ করেছেন SFI নেত্রী। যেখানে উঠে এসেছে স্যালাইনকাণ্ডের প্রসঙ্গও। সুচরিতা দাস বলেন, "স্যালাইনকাণ্ডে আমরা যখন আন্দোলনরত অবস্থায় ছিলাম, তখন থেকেই তারা নাকি আমাদের টার্গেট করে রেখেছিল, যে আমি তাদের ডিপার্টমেন্টে চিহ্নিত হয়ে আছি। সেই জন্য তাদের ইচ্ছামতো, তারা নিজেরাই বলছে, "তোর ওপর আমরা নিজেদের সুখ মিটিয়ে নিতে চাই। তোকে প্রচুর মারব। নিয়ে গিয়ে আরও মারব।" আমাকে থাপ্পড় মেরেছে। আমার গালে এখানে কেটে গিয়েছে। হাতে বুট দিয়ে লাথি মেরেছে। বিভিন্ন জায়গায় আমার কালশিটে পড়ে গিয়েছে।''
অত্য়াচারের যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে পুলিশের দাবি ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার বলছেন, "বামপন্থী একটি দল, সেটি এটাকে চেষ্টা করছে তাদের জেলার যারা নেতৃ্ত্বে আছে, তারা এটাকে একটা ইস্যু করার চেষ্টা করছে। একটি ভাইরাল অডিও আমি পেয়েছি, সেখানে সেই নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের জেলার যে জেনারেল সেক্রেটারি আছে, তিনি বলছেন, "এই একটা ভাল ইস্যু পেয়েছি, পুলিশকে চেপে ধর। IC-র নামে অভিযোগ কর। হাইকোর্টে নিয়ে যা, পুলিশকে হেনস্থা কর।"।''






















