Mithun Chakraborty: ‘চপ বিক্রি না হলে ঢপ বিক্রি কর’, জনসভা থেকে মমতাকে কটাক্ষ মিঠুনের
Purulia News: বুধবার পুরুলিয়ার লোধুড়কায় বিজেপির পঞ্চায়েত কর্মী সম্মেলনে যোগ দেন মিঠুন।
লোধুড়কা: বিধানসভা নির্বাচনের আগে ঝাঁঝ দেখালেও, তার পর বঙ্গ রাজনীতিতে সে ভাবে দেখা যায়নি তাঁকে। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Elections 2023) আগে ফের বিজেপি-র (BJP) হয়ে ভোটের ময়দানে মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। বুধবার পুরুলিয়ায় জনসভা করলেন তিনি। আর সেখান থেকেই কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন। সরাসরি নিশানা করলেন তৃণমূল (TMC) নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee)।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্যে ফের বিজেপি-র হয়ে প্রচারে মিঠুন
বুধবার পুরুলিয়ার (ঝহীহতগো াৈে) লোধুড়কায় বিজেপির পঞ্চায়েত কর্মী সম্মেলনে যোগ দেন মিঠুন। সেখানে বিজেপি-র কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে কথোপকথনের পাশাপাশি অভাব-অভিযোগও শোনেন। তবে বিষয়বস্তু যাই হোক না কেন, আগাগোড়া মমতা এবং শাসকদলকেই নিশানা করে যান মিঠুন। কখনও রাজ্যের টাকা আটকে রাখার কারণ ব্যাখ্যা করলেন, কখনও আবার কর্মসংস্থানের প্রশ্নে বিদ্রূপ করলেন রাজ্যকে।
এ দিন কর্মী সম্মেলন চলাকালীন এক বিজেপি কর্মী প্রশ্ন ছোড়েন, "আমার চপ বিক্রি হচ্ছে না। কোনও কাজও হচ্ছে না, তাহলে আমি কী করব দিদি? " সত্যিই চপ বিক্রি হচ্ছে না নাকি, তাঁর কাছে জানতে চান মিঠুন। জবাবে ওই কর্মী বলতে শুরু করেন, "দিদি বলেছিলেন চপ বিক্রি করে...।" কথা শেষ করার আগে তাঁকে থামিয়ে মিঠুন বলে ওঠেন, "এ বার আমি একটা কথা বলি, কাউকে ছোট করে কোনওদিন কথা বলি না। আজও বলছি না। যদি চপ না বিক্রি হয়ে থাকে, তাহলে ঢপ বিক্রি কর। এটা চলবে। এখন এটাই চলছে পশ্চিমবঙ্গে।"
আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari : ‘ডিসেম্বরে রাজ্যের সবচেয়ে বড় চোর ধরা পড়বে’ বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর
মিঠুনের আগমন নিয়ে যদিও একদিন আগেই কটাক্ষ করেছিলেন রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "ওসব আমরা ঢের দেখেছি। মিঠুন কেন যাঁকেই আনুক না কেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমরাই জয়ী হব। আমরা মিঠুনকে ভয় পাই না। ওঁর থেকে অনেক বড় বড় নেতা, প্রধানমন্ত্রী, অন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা ২০২১ সালে এসেছিলেন। কিছু করতে পারেননি।"
জিএসটি বাবদ প্রাপ্য থেকে ১০০ দিনের কাজ, কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের টাকা আটকে রেখেছে বলে দীর্ঘ দিন ধরেই অভিযোগ তুলে আসছেন মমতা এবং তৃণমূল নেতৃত্ব। পাল্টা বিজেপি-র দাবি, রাজ্য খরচের পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসেব না দেওয়া পর্যন্ত টাকা দেওয়া হবে না। সেই নিয়েও এ দিন মন্তব্য করেন মিঠুন। আবাস যোজনায় ঘর না পাওয়ার অভিযোগ জানান বিজেপি কর্মীরা। জবাবে মিঠুন বলেন, "প্রধানমন্ত্রী এই ঘর যোজনার জন্য অনেক টাকা দিয়েছেন। সেটা দিল্লি থেকে পশ্চিমবঙ্গে আসে। ব্যাঙ্কে তার একটা নাম থাকে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা। কিন্তু টাকাটা কোথায় যাবে? এখানে তো অলরেডি তার উপরে পোস্টার মেরে দিয়েছে! বাংলা আবাস যোজনা করে দিয়েছে! সেন্টার বলছে, আগে হিসেব দিন। টাকাটা কিছুদিনের জন্য আটকে রাখা হয়েছে। এটা সরকারের পয়সা। পাবলিকের পয়সা। এটা তোমার আমার পয়সা। সবাইকে হিসেব দিতে হবে।"
আবাস যোজনা থেকে 'চপশিল্প', মমতাকে কটাক্ষ মিঠুনের
মিঠুন যখন জনসভা করছেন পুরুলিয়ায়, এ দিন সেই সময়ই নেতাজি ইন্ডোরে ছিলেন মমতা। সেখানে টাকা আটকে রাখা নিয়ে বিজেপি এবং শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করেন তিনি। মমতা জানান, দীর্ঘ দিন বিরোধী রাজনীতি করেছেন। কিন্তু কখনও অর্থনীতিকে স্তব্ধ করে দেননি। এখন সেটাই হচ্ছে। কিছু মানুষ বাংলার বদনাম করছেন।