Howrah News: আপদ-বিপদে চিন্তা নয়, এবার ঘরের কাছেই ব্লাড ব্যাঙ্ক
Howrah Blood Bank: শুক্রবার ভার্চুয়ালি-এর উদ্বোধন করেন রাজ্যের পুর ও নগর উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। হাওড়া ময়দানের কাছে পঞ্চাননতলায় রয়েছে থ্যালাসেমিয়া হাসপাতাল। ঠিক তার পাশে ৩ নম্বর বরো অফিসের তিনতলায় এই ব্লাড ব্যাঙ্কটি তৈরি হয়েছে।
সুনীত হালদার, হাওড়া: মূমুর্ষু রোগীদের প্রাণ বাঁচাতে আর কলকাতার ব্লাড ব্যাঙ্কগুলির ওপর আর নির্ভর করতে হবে না হাওড়া শহরবাসীকে। কারণ শীঘ্রই হাওড়ার পঞ্চাননতলায় চালু হতে চলেছে অত্যাধুনিক মানের ব্লাড ব্যাঙ্ক। শুক্রবার ভার্চুয়ালি-এর উদ্বোধন করেন রাজ্যের পুর ও নগর উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি জানান, রাজ্যে এই প্রথম পুরসভার উদ্যোগে ব্লাড ব্যাঙ্ক চালু হল। কলকাতা পুরসভার আজ পর্যন্ত এই ধরনের ব্লাড ব্যাঙ্ক চালু করতে পারেনি। ভরুকা ব্লাড ব্যাঙ্কের সঙ্গে যৌথভাবে এই ব্লাড ব্য়াঙ্ক (Howrah New Blood Bank) চালু করা হয়েছে। হঠাৎ রক্তের প্রয়োজন পড়লে এখান থেকেই রোগীর আত্মীয়রা জোগাড় করতে পারবেন।
রোটারি ক্লাব কলকাতার সহযোগিতায় হাওড়া পুরসভার (Howrah Municipality) উদ্যোগে এই ব্লাড ব্য়াঙ্ক (Blood bank in Howrah) চালু হচ্ছে। এর নাম HMC রোটারি ব্লাড সেন্টার। রোটারি ক্লাব (Rotary Club Kolkata) কলকাতা-এর জন্য হাওড়া পুরসভাকে এক কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে। এদিন হাওড়া পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী বলেন, 'এটি একটি আধুনিক মানের ব্লাড ব্যাঙ্ক। এখানে রক্তের বিভিন্ন অংশকে সহজেই আলাদা করা যাবে। লাল রক্ত কণিকা, শ্বেত কণিকা, প্লেটলেট, প্লাজমা -এ সবে ভাগ করা যাবে রক্তকে।
হাওড়া ময়দানের (Howrah Maidan) কাছে পঞ্চাননতলায় রয়েছে থ্যালাসেমিয়া হাসপাতাল। ঠিক তার পাশে ৩ নম্বর বরো অফিসের তিনতলায় এই ব্লাড ব্যাঙ্কটি তৈরি হয়েছে। সুজয় চক্রবর্তী বলেন, 'হাওড়া জেলা হাসপাতাল ছাড়া আর কোথাও কোনও ব্লাড ব্যাংক নেই। নতুন করে আরও একটি আধুনিক মানের ব্লাড ব্যাংক হলে এটা মানুষের অনেকটাই সুবিধা হবে। এছাড়াও থ্যালাসেমিয়া হাসপাতালের রোগীদের জন্য সহজেই রক্ত সরবরাহ করা সম্ভব হবে এই ব্যাংক থেকে।' তিনি জানিয়েছেন, এই ব্লাড ব্যাঙ্কে ৮০০ প্যাকেট রক্ত মজুত রাখা সম্ভব হবে। সেই সঙ্গে তুলনামূলক ভাবে রক্তের দাম অন্য জায়গার থেকে কম হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এদিন রোটারি ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয় থ্যালাসেমিয়া হাসপাতালকে নতুন ভাবে সাজিয়ে তুলতে ৮ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। এই কাজ খুব দ্রুত শুরু হবে। এর পাশাপাশি রক্ত সংগ্রহের জন্য একটি মোবাইল ভ্যান দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: অঙ্কে আতঙ্ক নয়, উচ্চ মাধ্যমিকে সহজেই নম্বর কীভাবে? পরামর্শ শিক্ষকের