Duare Sarkar: দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে চালু হচ্ছে বিদ্যুৎ নিগমের ‘ওয়েভার স্কিম’, ‘দালাল’ রুখতে পুলিশকে সতর্ক করল নবান্ন
Nabanna: বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "চোরেদের রানি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বে আবার কাল থেকে প্রচার শুরু হবে।"

উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, আশাবুল হোসেন ও সত্যজিৎ বৈদ্য, কলকাতা: দীর্ঘদিন বিদ্যুতের বিল বকেয়া, চালু হচ্ছে ‘ওয়েভার স্কিম’। দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) ক্যাম্পে চালু হচ্ছে বিদ্যুৎ নিগমের ‘ওয়েভার স্কিম’। কাল থেকে ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্প, ‘দালাল’ রুখতে সতর্কতা। ক্যাম্পে যেন না থাকে কোনও ‘মধ্যস্থতাকারী’, পুলিশকে (Police) সতর্ক করল নবান্ন (Nabanna)।
এদিকে, মঙ্গলবার যখন গোটা রাজ্যে ফের একবার দুয়ারে সরকার প্রকল্পের সূচনা করতে চলেছে রাজ্য সরকার আর তখন শাসকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগকে অস্ত্র করে মানুষের দুয়ারে পৌঁছে যাওয়ার কৌশল নিয়েছে সিপিএম। মঙ্গলবার থেকেই জেলায় জেলায় এই প্রচার অভিযানে নামছে তারা।
গত বিধানসভা ভোটে সিপিএমের বিপর্যয়ের পরে সাংগঠনিক বিশ্লেষণে স্বীকার করা হয়েছিল, দুয়ারে সরকারের মতো প্রকল্পই ভোট বাক্সে তৃণমূলকে বাড়তি সুবিধা করে দেয়। যাতে চাপা পড়ে যায় দুর্নীতির মতো ইস্যু। তাই এবার দুর্নীতির অভিযোগকেই সামনে রেখে পঞ্চায়েতের রণবাদ্য বাজিয়ে দিতে চাইছে সিপিএম।
সিপিএম সূত্রের খবর, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনেও তৃণমূলের বিরুদ্ধের দুর্নীতির অভিযোগই তাদের ব্রহ্মাস্ত্র। পঞ্চায়েত ধরে ধরে কোথায় কী কী দুর্নীতি হয়েছে, তার তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সেই অভিযোগ নিয়েই সিপিএম পৌঁছে যাবে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে। প্রচারে সামনে থাকবেন ছাত্র-যুব-শ্রমিক-কৃষক সংগঠনের সদস্যরা।
আরও পড়ুন, 'ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি', পোস্তার ব্রিজ প্রসঙ্গ তুলে মোদিকে খোঁচা ফিরহাদের
সেই সঙ্গে পঞ্চায়েতে ভোট লুঠ রুখতে প্রতিরোধের ডাকও দিয়েছে সিপিএম। রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, "মানুষের কাছে খালি দুয়ারে সরকার চেয়েছে, কিন্তু পেয়েছে কতটুকু? এর হিসেব সরকারকে দিতে হবে, প্রচুর দুর্নীতি হয়েছে। সেইভাবেই প্রচার করা হবে। দিদিকে বলো প্রোগ্রাম নেয় না কেউ, সেটাও বন্ধ হয়েছে, এটাও হবে।"
এদিকে, সিপিএমের কৌশলের উল্টোদিকে, সূত্রের খবর। দুয়ারে সরকার প্রকল্পকে সম্পূর্ণ দুর্নীতিমুক্ত রাখতে সচেষ্ট সরকার। প্রকল্পস্থলে যাতে কোনও মিডলম্যানের উপস্থিতি না থাকে। কেউ যাতে সাধারণ মানুষের কাজ করে দেওয়ার নামে টাকা না নিতে পারে, তা নিশ্চিত করার জন্য নবান্নের নোটিস পৌঁছেছে জেলাশাসকদের কাছে। সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশকে।
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, "শূন্য থেকে মহাশূন্যের দিকে এগোচ্ছে সিপিএম। তাই দিশেহারা হয়ে এসব কথা বলছে। আমাদের দুয়ারে সরকার সারা বছরের প্রোগ্রাম। ভোটের আগে দলগুলো যায় মানুষের কাছে, আমাদের সরকার যাচ্ছে মানুষের বাড়ি বাড়ি।" এই প্রেক্ষাপটেই দুয়ারে সরকার প্রকল্প নিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূল ও বিজেপির তরজা।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "চোরেদের রানি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বে আবার কাল থেকে প্রচার শুরু হবে। এই দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে, যে যে স্কিমগুলি রয়েছে সেগুলোর মধ্যে একটা দুটো বাদ দিয়ে সবকটি স্কিম সেন্ট্রাল গভর্নমেন্টের নাম বদল করে দেখানো হবে । যাতে আবার তোলামুলের চোররা আবার পঞ্চায়েতে জেতার লাইসেন্স রিনিউ করতে পারে।
এদিকে, এই প্রথম দুয়ারে সরকার প্রকল্পে ক্যাম্প খুলতে চলেছে রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ। অতিরিক্ত বিল আসার কারণ যে সমস্ত গৃহস্থ বা কৃষক, বকেয়া মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন তাঁরা যাতে বিদ্যুতের বিলে ছাড় পান, সেই চেষ্টা করা হবে এই ক্যাম্পের মাধ্যমে।






















