Kalyani Hospital: জটিল ও ব্যয়বহুল অস্ত্রোপচার, রাজ্য সরকার প্রদত্ত যন্ত্রে সুরাহা, কল্যাণী হাসপাতালে নিখরচায় চিকিৎসা রোগিণীর
Laparoscopic Sacrocolpopexy Operation: নদিয়ার কল্যাণী কলেজ অফ মেডিসিন অ্যান্ড জেএনএম হাসপাতাল এই কাজ করে দেখাল।
সুজিত মণ্ডল, কল্যাণী: চিকিৎসা পদ্ধতি যেমন জটিল, তেমনই খরচের বহর। সাধারণ নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্তদের সাধ্যের বাইরে। এবার সুরাহা বের করল রাজ্যের সরকারি হাসপাতাল। এমনিতে ব্যয়বহুল এবং জটিল হলেও, সরকারি হাসপাতালে নিখরচায় ল্যাপারোস্কোপিক পদ্ধতির মাধ্যমে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হল। সফলও হল সেই অস্ত্রোপচার। (Kalyani Hospital) এতে আগামী দিনে সাধারণ মানুষের সুরাহা হবে, সরকারি হাসপাতালে নিখরচায় এই পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হবে বলে আশাবাদী চিকিৎসকেরা।
নদিয়ার কল্যাণী কলেজ অফ মেডিসিন অ্যান্ড জেএনএম হাসপাতাল এই কাজ করে দেখাল। গত ২ ফেব্রুয়ারি, অর্থাৎ শুক্রবার মাইক্রো সার্জারি পদ্ধতিতে এক স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ এই অস্ত্রোপচার করেন এর রোগিণীর, চিকিৎসা বিজ্ঞানে যে পদ্ধতি ল্যাপারোস্কোপিক স্যাক্রোকলপোপেক্সি নামে পরিচিত। (Laparoscopic Sacrocolpopexy Operation) সেই অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। সুস্থ আছেন রোগিণী। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবেন শীঘ্রই।
এই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কোমরের হাড়ের সঙ্গে যোনিদ্বারের মধ্যে সংযোগস্থাপন করা হয় জালের মাধ্যমে। অত্যন্ত জটিল এবং ব্যয়বহুল এই অস্ত্রোপচার। সম্প্রতি ৫৩ বছর বয়সি এক রোগিণী কল্যাণী কলেজ অফ মেডিসিন অ্যান্ড জেএনএম হাসপাতালের বহির্বিভাগে শারীরিক সমস্যা নিয়ে চিকিৎসা করাতে আসেন। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিচার করে ওই রোগিণীর শরীরে জটিল ওই অস্ত্রোপচাররের সিদ্ধান্ত নেন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসক অভিজিৎ হালদার।
আরও পড়ুন: North 24 Parganas: বিল নিয়ে তুলকালাম! বচসার মাঝেই পানশালায় চলল গুলি
সেই মতো ২ ফেব্রুয়ারি রোগিণীর অস্ত্রোপচার হয়। সব মিলিয়ে প্রায় ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট সময় লাগে অস্ত্রোপচার করতে। সরকারি হাসপাতালে ছ'জন চিকিৎসকের একটি দল অস্ত্রোপচারে অংশ নেন। চিকিৎসক অভিজিৎ হালদার জানিয়েছেন, এই ধরনের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। মূলত জেলা থেকে কলকাতা গিয়েই এই ধরনের চিকিৎসা করান রোগীরা। তবে শুধু টাকা ফেললেই হয় না, হাতেগোনা কিছু চিকিৎসকই এই জটিল অস্ত্রোপচার করতে পারেন।
তাই সরকারি হাসপাতালে এই পরিষেবা পাওয়া গেলে, সাধারণ মানুষ অনেকাংশেই উপকৃত হবেন বলে মত চিকিৎসক অভিজিৎ হালদারের। কল্যাণী কলেজ অফ মেডিসিন অ্যান্ড জেএনএম হাসপাতালের অধ্যক্ষ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় জানান, কয়েক মাস আগে রাজ্য সরকারের তরফে ওই বিশেষ যন্ত্র তাঁদের হাতে আসে। আগামী দিনে আরও উন্নত পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হবে বলে আশাবাদী তিনি। যে রোগিণীর শরীরে অস্ত্রপচার হয়েছে, তিনি সুস্থ আছেন। ছাড়া পাওয়ার অপেক্ষা করছেন।