করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু স্বামীর, শোকে একই দিনে আত্মহত্যা স্ত্রী ও মেয়ের
ফিরে পরিবারের লোকের ব্যক্তির স্ত্রী এবং মেয়েকে ডাকাডাকি করলে কোনও সাড়া দেননি তাঁরা।
সুজিত মণ্ডল, নদিয়া: করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ব্যক্তির সৎকারে গিয়েছিল পরিবার। বাড়ি ফিরে মৃত ব্যক্তির স্ত্রী ও কন্যার দেহ উদ্ধার করেন তাঁরা। ঘটনাটি ঘটে নদিয়ার কল্যাণী পৌরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বুদ্ধ পার্ক এলাকায়। মৃত ব্যক্তির নাম বাবুল দাস (৬২)। স্ত্রীর নাম দীপা দাস(৪২) ও কন্যার নাম জয়া দাস (২২)।
পরিবার সূত্রে খবর, বাবুল দাস কয়েকদিন আগে করোনায় আক্রান্ত হন। রবিবার সকালে কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডে মৃত্যু হয় বলে জানা যায়। এর পর এলাকার মানুষ ও প্রশাসনের উদ্যোগে বাবুল দাসের মৃতদেহ সৎকারের জন্য নিয়ে যায়। জানা গিয়েছে, হাসপাতালে ওই ব্যক্তির মৃতদেহ দেখেও এসেছিলেন তাঁর স্ত্রী এবং মেয়ে। তবে শশ্মানে আর যাননি তাঁরা।
সেখান থেকে ফিরে পরিবারের লোকের ব্যক্তির স্ত্রী এবং মেয়েকে ডাকাডাকি করলে কোনও সাড়া দেননি তাঁরা। এরপর দরজা ভেঙে উদ্ধার করা হয় তাঁদের ঝুলন্ত দেহ। প্রাথমিক তদন্তে আত্মহত্যা বলেই অনুমান পুলিশের। স্থানীদের দাবি, শোকের কারণেই এই সিদ্ধান্ত মা এবং মেয়ের। যদিও এ বিষয়ে পরিবারের কোনও বক্তব্য মেলেনি। তবে মৃত্যুর কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। কল্যাণী থানার পুলিশ তাঁদের দেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কী কারণে মৃত্য়ু তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
রাজ্যে করোনায় মোট মৃত্যু ১৮ হাজারের গণ্ডি পেরিয়ে গেছে। মোট আক্রান্ত সাড়ে ১৫ লক্ষের পথে। কড়া বিধিনিষেধের কারণে দৈনিক মৃত্যু ও সংক্রমণ সামান্য কমলেও এবার কি কোভিডের আতঙ্ক বাড়াচ্ছে অবসাদ? নদিয়ার কল্যাণীর ২০ নম্বর ওয়ার্ডে করোনা আক্রান্ত হয়ে পরিবারের কর্তার মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী-কন্যার অস্বাভাবিক মৃত্যুতে উঠে আসছে এই প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের 'খেলা হবে দিবস'-কে 'গ্রেট ক্যালকাটা কিলিংস'-এর সঙ্গে তুলনা বিজেপি নেতা রাজুর
আরও পড়ুন: 'দুয়ারে সরকার' প্রকল্পের প্রথম দিনেই বিশৃঙ্খলার ছবি পশ্চিম মেদিনীপুরে