Nadia News: অট্টালিকার মালিক, আবাস যোজনার তালিকায় পঞ্চায়েত প্রধানের ভাইয়ের নাম
আবাস যোজনার তথ্য যাচাইয়ে আশা কর্মীদের কাছে তথ্য পেশ করেন প্রধান নিজেই। সেখানেই প্রধানের ভাই প্রদীপ হালদারের নাম বাতিল করেন কল্যাণী মহকুমা শাসক হীরক মণ্ডল।

নদিয়া: আবাস যোজনার তালিকায় পঞ্চায়েত প্রধানের ভাইয়ের নাম, প্রধানের পাকা বাড়িতে দাঁড়িয়েই বাদ দিলেন প্রধানের ভাইয়ের নাম। আবাস যোজনার তালিকা থেকে বাতিল হল নদিয়ার কল্যাণী ব্লকের সগুনা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের নিজের ভাইয়ের নাম।
১০ ডিসেম্বর শনিবার বিডিওকে সঙ্গে নিয়ে কল্যাণী মহকুমা শাসক গিয়েছিলেন সগুনা গ্রামে। সগুনা পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত প্রধান প্রবীর হালদারের পাকা বাড়ি রয়েছে এই গ্রামেই। আবাস যোজনার তথ্য যাচাইয়ে আশা কর্মীদের কাছে তথ্য পেশ করেন প্রধান নিজেই। সেখানেই প্রধানের ভাই প্রদীপ হালদারের নাম বাতিল করেন কল্যাণী মহকুমা শাসক হীরক মণ্ডল।
প্রধানের ভাই প্রদীপ হালদার সগুনা গ্রাম পঞ্চায়েতের একজন কর্মী। প্রধানের দাবী, ২০১৭ সালে আবাস যোজনার সমীক্ষায় তার নামই উঠেছিল তালিকায়। এখন সেই তালিকা ধরে ধরে উপভোক্তাদের তথ্য যাচাই চলছে পঞ্চায়েত, ব্লক, জেলা স্তরে। সরকারি কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছবি তুলছেন। শনিবার সেই কাজেই সগুনা গ্রামে গিয়েছিলেন কল্যাণী ব্লক আধিকারিক, কল্যাণী মহকুমা শাসক ও কল্যাণী থানার আইসি। সেই সময় প্রদীপ বাড়িতে ছিলেন না। আধিকারিকেরা তালিকায় নাম দেখে প্রধানের বাড়িতে যান।
তালিকায় নাম থাকা প্রদীপের দাদা পঞ্চায়েত প্রধান প্রবীর হালদার বলেন, ভাইয়ের নাম বাতিল হলে হবে। এতে আমার কোনো আপত্তি নেই। এদিন সগুনায় ৬টি বাড়িতে তথ্য যাচাই করেন সরকারি আধিকারিকরা। এই ৬টি বাড়ির মধ্যে ২টি বাড়ি আবাস যোজনা তালিকা থেকে বাদ যায়।
যার আছে, তাঁকে আরও দাও! যাঁর নেই, যাক না সে আরও তলানিতে! আবাস যোজনায় কারচুপি নিয়ে রাজ্য়ের দিকে দিকে এরকমই নানা চাঞ্চল্য়কর অভিযোগ উঠছে! যাঁর পেল্লাই বাড়ি, তিনি না কি সরকারের টাকায় আবাস বানাবেন! ভাবুন কাণ্ড!
পাশাপাশি এই পেল্লাই দুটো বাড়ি। বাড়ি না বলে, অট্টালিকা বলাই ভাল। বাড়িটির মালিক, পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের তৃণমূল পরিচালিত শাঁকারি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান। আর হলুদ রঙের প্রাসাদটি তাঁর ভাইয়ের।
কিন্তু, এমন বাড়ি থাকা সত্ত্বেও, উপপ্রধানের স্ত্রী, বাবা ও ২ ভাইয়ের নাম উঠে গেছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তালিকায়!সম্প্রতি আবাস যোজনা প্রকল্পের তালিকা যাচাই করতে শুরু করেছে সরকার। বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেখা হচ্ছে, সুবিধাপ্রাপ্তদের প্রকৃত প্রয়োজন রয়েছে কিনা।
আর সেই সমীক্ষাতেই উঠে এসেছে, এমন চাঞ্চল্য়কর তথ্য। আর এই তথ্য় সামনে চলে আসার পর তৃণমূলের উপপ্রধান আজব সাফাই দিচ্ছেন। অট্টালিকায় বাস সত্ত্বেও, আবাস যোজনার তালিকায় তৃণমূলের উপপ্রধানের স্ত্রী, ভাইয়ের নাম রয়েছে!
অথচ, এই গ্রামেরই বহু বাসিন্দার কাঁচা বাড়ি, খড়ের চাল। এভাবে ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রাখতে হয়েছে ঘর। কোথাও আবার ভেঙে পড়েছে বাড়ির একাংশ। দেওয়ালে বিশাল ফাটল। শীতের মধ্যে এভাবেই ঘরের এক কোণায় কাটছে দিন। কিন্তু, এই প্রকৃত গরীব মানুষগুলো আবাস যোজনা থেকে বঞ্চিত বলে অভিযোগ।






















