Nadia : নদিয়ার জেলা প্রাইমারি কাউন্সিল থেকে সরানো হল তৃণমূল বিধায়ক বিমলেন্দু সিংহ রায়কে
TMC : গত সেপ্টেম্বর মাসে তৃণমূলেরই এক কর্মীকে পদ পাইয়ে দেওয়ার জন্য টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল বিমলেন্দু সিংহ রায়ের বিরুদ্ধে। পুলিশে যে সংক্রান্ত অভিযোগও হয়।
কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা : নদিয়া জেলা প্রাইমারি কাউন্সিল থেকে সরানো হল তৃণমূল বিধায়ককে। নদিয়ার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান ছিলেন করিমপুরের তৃণমূল বিধায়ক বিমলেন্দু সিংহ রায়। বিধায়ককে সরিয়ে জেলা শাসককে প্রাইমারি কাউন্সিলের দায়িত্ব দিল সরকার। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার মধ্যেই বিধায়ককে পদ থেকে সরানো নিয়ে জল্পনা।
কী কারণে সরানো হল, জানি না, প্রতিক্রিয়া তৃণমূল বিধায়কের। গত সেপ্টেম্বর মাসে তৃণমূলেরই এক কর্মীকে পদ পাইয়ে দেওয়ার জন্য টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল বিমলেন্দু সিংহ রায়ের বিরুদ্ধে। পুলিশে যে সংক্রান্ত অভিযোগও হয়। 'মিথ্যে অভিযোগ' বলে বিষয়টাকে বিমলেন্দু সিংহ রায় গুরুত্ব দিতে না চাইলেও অপসারণের পিছনে অভিযোগটি অন্যতম কারণ হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
বছরখানেকের মধ্যে অপসারণ
গত বিধানসভা ভোটে তৎকালীন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারকে হারিয়ে করিমপুরের বিধায়ক হয়েছিলেন বিমলেন্দু সিংহ রায়। শিক্ষারত্ন তথা প্রাক্তন প্রধান শিক্ষকের পেশা ছেড়ে রাজনীতিতে এসেছিলেন তিনি। বছরখানেকের কিছুটা আগে তাঁকে নদিয়া জেলা প্রাইমারি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান পদে বসানো হয়েছিল। এদিন তাঁকে সরানোর নোটিস সরকারিভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের অনুমতিতেই যে অপসারণ। আর তাতেই আশঙ্কা, দলীয় কর্মীর থেকে পদ পাইয়ে দিতে টাকা চাওয়ার অভিযোগের জেরেই কী এই ঘটনা!
প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বর মাসে তৃণমূল কর্মী হাসান আলি পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছিলেন বিমলেন্দু সিংহ রায়ের বিরুদ্ধে। প্রথমে দলীয় পদ দিতে টাকা চাওয়া ও পরে পদ না পাওয়ায় টাকা ফেরৎ চাইতে গেলে বিধায়ক তাঁকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন বলেই অভিযোগ ছিল জনৈক তৃণমূল কর্মীর।
আক্রমণ বিরোধীদের
এই অপসারণ ঘিরে রাজ্য সরকার তথা তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করেছে বিরোধীরা। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, 'সরিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। দলীয় পদ পাইয়ে দিতে টাকা চেয়েছিলেন, যে কথা মুখ্যমন্ত্রীর কানে পৌঁছেছে। এদের এতদিন ধরে পুষে রাখা হয়েছিল, এখন দলের বিবাদ মেটাতে বাধ্য হয়ে সরিয়ে দিচ্ছে। মানুষের, লোকজনের কথা নয় সরকার ভাবছে শুধু দলের কথা। পুলিশমন্ত্রীর ক্ষমতা থাকলে ওঁকে গ্রেফতার করুক।'
কার্যত একই সুরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ঢাকতে তৃণমূলের এই অপসারণের পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেছেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহাও। পাশাপাশি সিপিএমের সুরেই অপসারিত নদিয়া জেলা প্রাইমারি কাউন্সিলের চেয়ারম্যানকে গ্রেফতারের দাবিও তুলেছেন তিনি। পাল্টা তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেছেন, 'প্রশাসনিক পদক্ষেপ নিয়ে বেশি কিছু বলার নেই। তবে এ রাজ্যে সরকার জিরো টলারেন্স টু করাপশন নীতিতে বিশ্বাসী। তাই গ্রেফতারের ছ'দিনের মধ্যে মন্ত্রীত্ব, দলীয় পদ থেকে অপসারণ করা হয় কাউকে। আর লখিমপুর খেরি কাণ্ডে যাঁর ছেলেকে নিয়ে এত কথা সেই টেনি সাহেব নরেন্দ্র মোদির পিছনে বসে টেবিল চাপড়ান। '