নিউটাউন থেকে নন্দীগ্রাম, পুলিশি ধরপাকড়ে উদ্ধার কয়েকশো কেজি নিষিদ্ধ বাজি! গ্রেফতার একাধিক
এদিন নিষিদ্ধ শব্দবাজি বিক্রি করার অভিযোগে অনুপ মন্ডল (৩৭) ওরফে মধু নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে নিউটাউন থানার (New Town Police Station)পুলিশ।
রঞ্জিত সাউ, বিটন চক্রবর্তী, কলকাতা: হাইকোর্টের (Kolkata Highcourt) নিষেধাজ্ঞা এড়িয়েই এদিক ওদিক চলছিল বাজি বিক্রি (Fire Cracker)। তবে তৎপর প্রশাসন। রবিবারেই প্রথমে নিউটাউন (Newtown) এবং পরে নন্দীগ্রামে (Nandigram) বাজি বিক্রিতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
এদিন নিষিদ্ধ শব্দবাজি বিক্রি করার অভিযোগে অনুপ মন্ডল (৩৭) ওরফে মধু নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে নিউটাউন থানার পুলিশ।
গতকাল রাতে নিউটাউন থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পায়, নিউটাউনের যাত্রাগাছি আরআরসাইডে এক ব্যক্তি মুদিখানা দোকানের আড়ালে নিষিদ্ধ শব্দবাজি বিক্রি করছেন।
সেই মতো তার দোকানে হানা দিয়ে প্রায় ১০০ কেজি নিষিদ্ধ শব্দবাজি আটক করে পুলিশ। অভিযুক্ত দোকানদার অনুপ মন্ডল ওরফে মধু নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, দক্ষিণ ২৪ পরগনার চম্পাহাটি থেকে এই বাজি কিনে এনেছিল বিক্রির জন্য।
অন্যদিকে নন্দীগ্রামেও একই ছবি। রবিবার অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ শব্দবাজি উদ্ধার করে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ। বেআইনিভাবে শব্দবাজি বিক্রি ও মজুত করার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটকও করা হয়েছে।
যে কোনও ধরনের বাজির ওপর এ বছরও স্থগিতাদেশ দিল জারি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। গত বছরের নির্দেশিকাই বহাল রয়েছে এ বছর। আদালত জানায়, 'বেঁচে থাকার অধিকার মৌলিক অধিকার। বৃহত্তর স্বার্থের কথা ভেবে ক্ষুদ্র স্বার্থ উপেক্ষা করতে হয়।' এর আগে পরিবেশ বান্ধব বাজি পোড়ানোর ক্ষেত্রে কিছুক্ষণের জন্য ছাড় দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্যদ।
কিন্তু হাইকোর্ট জানায়, পরিবেশ বান্ধব বাজি চিহ্নিত করার কোনও উপায় পুলিশের কাছে নেই। পুলিশের পক্ষে বাজি চিহ্নিত করা অসম্ভব। করোনা প্রতিদিন বাড়ছে। যাঁদের শ্বাস যন্ত্রের সমস্যা আছে, তাঁদের আরও বেশি সমস্যা হতে পারে।
শুধু কালীপুজো নয়, ছটপুজো, গুরুনানকের জন্মদিন, বড়দিনেও বাজি নিষিদ্ধ করেছে আদালত। বাজির কেনা-বেচার ওপরও নিষেধাজ্ঞা রাখা হয়েছে। বলা হয়েছে, পুলিশ কড়া হাতে পরিস্থিতির মোকাবিলা করবে।