Sheikh Shahjahan: কেড়ে নেওয়া হয়েছিল জমি, শেখ শাহজাহান 'অন্তরালে' যেতেই প্রতিবাদে আদিবাসীরা
Tribals Protested Land Back: শাহাজাহান উধাও হতেই নড়ে চড়ে বসেছে আদিবাসীরা। তাঁরা দাবি তুলেছে..
সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: আদিবাসীদের জমি কেড়েছিল দু'বছর আগেই। এখন শেখ শাহজাহান পলাতক। শেখ শাহজাহানের ডান হাত জেলা পরিষদ সদস্য উত্তম সরদার, শিবু হাজরা, সন্দেশখালি ব্লক ২-র এই দাপুটে নেতা, দিনের পর দিন শেখ শাহজাহানের হয়ে আদিবাসীদের বিঘের পর বিঘে সম্পত্তি কেড়েছিল। তারপর সেখানে মেছোভেড়ি তৈরি হয়। বঞ্চিত হয় এলাকার আদিবাসীরা। খাস সরকারি জমিতে মাছ ধরে, চাষ করে তাদের জীবন জীবিকা চলত।
শাহজাহান উধাও হতেই নড়ে চড়ে বসেছে আদিবাসীরা। এতদিন যারা ভয় পেয়ে মুখে ক্লুপ এটে ছিল তারা। জমির দখল মুক্ত করার লক্ষ্যে, এখন তারাই বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। আজ উত্তম সরদারের নেতৃত্বে মেছোভেড়িতে সেচের কাজ শুরু করেছিল। জমিতে জল সেচের কাজ শুরু করতেই এলাকার আদিবাসীরা ছুটে আসে বন্ধ করে দেয় সেচের পাম্প সেট। শাহাজাহান অন্তরালে থাকায়, সাহস জুগিয়েছে আদিবাসীদের মনে। আদিবাসীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে, রুখে দেয় জল সেচের কাজ। তাঁরা দাবি তোলে, অবিলম্বে আমাদের জমি ফেরত দিতে হবে, নইলে তারা রুখে দাঁড়াবে।
রেশন দুর্নীতি মামলায় শেখ শাহজাহানের বাড়িতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিল ইডি।হামলার শিকার হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী ও সংবাদমাধ্যম। এখনও শেখ শাহজাহানের হদিশ পায়নি পুলিশ।বেপাত্তা শেখ শাহজাহান, হামলার পর ফের সন্দেশখালি অপারেশনে নেমেছিল ইডি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর শতাধিক জওয়ান নিয়ে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে ইডি। চাবিওয়ালা এনে তালা ভেঙে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ঢোকুছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সূত্র মারফত খবর এসেছিল, প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা তল্লাশির পরেও বিশেষ কিছু পায়নি ইডি।
এদিকে ঘটনার পরের দিনই প্রকাশ্যে এসেছিল শেখ শাহজাহানের অডিওবার্তা, যেখানে অন্তরাল থেকে তৃণমূল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার কথা বলেছিলেন তিনি। সন্দেশখালিতে তৃণমূলের সংহতি-যাত্রায় ভিড়ের রসায়নে, শেখ শাহজাহানের অডিওবার্তা যে অনুঘটকের কাজ করেছে, সেকথা জানিয়েছেন খোদ তৃণমূল বিধায়কই। তা হলে প্রশ্ন হল, কোথায় রয়েছেন সন্দেশখালি ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ? কেন তাঁকে খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ?
আরও পড়ুন, '৪ লক্ষ ভোটে অভিষেকের কাছে হারবে..', কুণালের নিশানায় নৌশাদ
নিরাপদ সর্দারের কথায়, 'ওপারটা চুনোখালি, এপারটা হচ্ছে গাববেড়িয়া। এরকম একটা লোকেশনে ছিল। ওই মনোরঞ্জন মাইতি, তাঁর বাড়িতেই ছিল। তারপর ও ওখান থেকে লোকেশন চেঞ্জ করেছে। এপারটা হচ্ছে জিয়েখালি ফরেস্ট। বড় নদী রায়মঙ্গল। যে কোনও সময় ওপারে চলে গেলে খুঁজে পাওয়া এই মুহূর্তে কঠিন হবে। সুযোগ আছে যাওয়ার। গাববেড়িয়ার যে সমস্ত লোকেশনে ছিল, ওই এলাকায় যদি ও থাকে, যে কোনও সময় এদিক থেকে চাপ তৈরি হলে, পাশে একটা বোট বা অন্য কোনও ভাবে রায়মঙ্গল পেরিয়ে ঝিঙেখালির ওপর দিয়ে বাংলাদেশে চলে যেতে পারে।'