(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Cyber Fraud: অ্যাপের মাধ্যমে ঋণ নিতে গিয়েই বিপত্তি, ব্ল্যাকমেলে ৭ লক্ষ টাকা খোয়ালেন মহিলা
অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইনে ঋণ নিতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হন এক মহিলা। হুমকি ও ব্ল্যাকমেলের অভিযোগ। অভিযোগ, ব্ল্যাকমেলের কারণে দিতে হয়েছে প্রায় ৭ লক্ষ টাকা।
ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা: শহরে ফের প্রতারণার (Fraud) অভিযোগ। ঋণ (Loan) নিতে গিয়ে প্রতারণা ও ব্ল্যাকমেলের Blackmail) ফাঁদে পড়ে প্রায় ৭ লক্ষ টাকা খোয়ানোর অভিযোগ। দুর্গানগরের (Durganagar) বাসিন্দা এক মহিলা গত ১৮ ডিসেম্বর লেকটাউন থানায় (Laketown Police Station) দায়ের করেছেন অভিযোগ। তাঁর দাবি, তারপরেও ব্ল্যাকমেল ও হুমকি ফোন বন্ধ হয়নি।
অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইনে ঋণ নিতে গিয়ে প্রতারণার (Cyber Fraud Case) শিকার এক মহিলা। হুমকি ও ব্ল্যাকমেলের অভিযোগ। অভিযোগ, ব্ল্যাকমেলের কারণে দিতে হয়েছে প্রায় ৭ লক্ষ টাকা।
উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Pargana) দুর্গানগরের বাসিন্দা কাবেরী সাহা। গত বছরের এপ্রিলে বাবার অসুস্থতার জন্য সোশাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন দেখে একটি অনলাইন ঋণ দেওয়ার অ্যাপ ডাউনলোড করেন। আবেদন করেন ঋণ নেওয়ার। তারপরই জড়িয়ে পড়েন প্রতারণা ও ব্ল্যাকমেলের এক ভয়ঙ্কর ফাঁদে।
অভিযোগকারিণীর দাবি, তিনি আবেদন করেন ১ লক্ষ টাকা ঋণের। কিন্তু তাঁকে মাত্র ৪ হাজার টাকা দেওয়া হয়। তারপরই কয়েকগুণ বেশি টাকা ফেরতের দাবিতে তাঁকে হুমকি দেওয়া ও ব্ল্যাকমেল করা শুরু হয় বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: বাস আটকে বিক্ষোভ স্টার্টারদের, সলপে হয়রানি শিকার সাধারণ মানুষ
অভিযোগকারিণী কাবেরী সাহা জানিয়েছেন, আমাকে ৪ হাজার টাকা দিয়ে ৭ দিনের মধ্যে ১০ হাজার টাকা দিতে বলা হয়। বলে, আমার কন্যাক্ট লিস্টে যত নম্বর আছে, সব তাদের কাছে চলে গেছে। টাকা না দিলে পরিচিতদের কাছে মেসেজ পাঠানো হবে বলে হুমকি দেয়।
অভিযোগ, টাকা শোধ দেওয়ার জন্য তিনি একইভাবে অন্য অ্যাপের মাধ্যমে ঋণ নিতে যান। সেখানেও একই ফাঁদ। জোর করে টাকা আদায়ের জন্য মহিলাকে হুমকি দেওয়া শুরু হয়। মহিলার দাবি, বাধ্য হয়ে একের পর এক অ্যাপ-এর মাধ্যমে ঋণ নিতে শুরু করেন তিনি।
মানসম্মানের ভয়ে এইভাবে টাকা ধার করতে শুরু করি। টাকা দিলেও নিস্তার মেলেনি। ক্রমাগত হুমকি দেওয়া হয়েছে। বলেছে পরিচিতদের কাছে অশালীন ছবি তৈরি করে, অশ্লীল মেসেজ পাঠিয়ে দেবে।
এ প্রসঙ্গে সাইবার আইন বিশেষজ্ঞ তাপস চট্টোপাধ্যায় বলেন, শেষপর্যন্ত গত ১৮ ডিসেম্বর লেকটাউন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। বিধাননগর কমিশনারেটের সাইবার ক্রাইম বিভাগে সেই অভিযোগ পৌঁছেছে।
অভিযোগকারিণীর দাবি, এর পর তিনি টাকা দেওয়া বন্ধ করলেও হুমকি থামেনি। কীভাবে এই ভয়ঙ্কর জাল থেকে মুক্তি পাবেন, তা ভেবে পাচ্ছেন না তিনি।