(Source: Poll of Polls)
Bangaon News: ওড়াকান্দির মন্দির এবার বনগাঁতেই, ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়ে গেল, রাজনীতি দেখছে BJP
Orakandi Temple in Bangaon: উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ পৌরসভার অন্তর্গত ১১ নম্বর ওয়ার্ডে বাংলাদেশের ওড়াকান্দি মন্দিরের আদলেই মন্দির তৈরি হচ্ছে।
সমীরণ পাল, বনগাঁ: সীমান্তের ওপারে নয়, বাংলাদেশের ওড়াকান্দি মন্দির এবার বনগাঁয়। ঘোষণা হয়েছিল আগেই, সেই মতো মন্দির নির্মাণের সূচনা ঘটল। বাংলাদেশের ওড়াকান্দি মন্দির থেকে জল এবং মাটি এনেই সূচনা হল নির্মাণকার্যের। তার জন্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং মতুয়া নিশান উত্তোলন করলেন ঠাকুর পরিবারের সদস্যা মমতা ঠাকুর। উপস্থিত রইলেন মতুয়া সাধু গোঁসাই দলপতিরাও। (Bangaon News)
উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ পৌরসভার অন্তর্গত ১১ নম্বর ওয়ার্ডে বাংলাদেশের ওড়াকান্দি মন্দিরের আদলেই মন্দির তৈরি হচ্ছে। বনগাঁ পৌরসভা এবং নব ওড়াকান্দি মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে এই মন্দিরের নির্মাণ করা হচ্ছে। সেই মতো বৃহস্পতিবার পেট্রোপল হয়ে, মতুয়া ভক্তদের নিয়ে বাংলাদেশের ওড়াকান্দি মন্দির থেকে জল এবং মাটি নিয়ে আসেন বনগাঁ পৌরসভার প্রধান গোপাল শেঠ। পৌরসভার কাউন্সিলররাও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনে হাজির ছিলেন। (Orakandi Temple in Bangaon)
বনগাঁর পৌর প্রধান গোপাল বলেন, "ভারতব্যাপী হরিকথা প্রচারই লক্ষ্য আমাদের। তার জন্য ওড়াকান্দির জল-মাটি এনে সেই আদলেই মন্দির তৈরি করা হচ্ছে। মন্দির তৈরিতে সহযোগিতা করছে বনগাঁ পৌরসভা।" তবে এই মন্দির নিয়েও রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে। মতুয়াদের মনজয়ের চেষ্টাতেই তৃণমূল মন্দির নির্মাণে এত আগ্রহী বলে অভিযোগ করছে বিরোধী দল বিজেপি।
বিজেপি-র বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবদাস মণ্ডল বলেন, "হরি গুরুচাঁদ মন্দির হোক আমরাও চাই। এটা তো ভাল কথা! কিন্তু মতুয়াদের মন পেতে এটা তৃণমূলের নতুন একটা নাটক। এসব নাটক করে কোন লাভ হবে না। মতুয়ারা বিজেপি-র সঙ্গে ছিলেন, বিজেপি-র সঙ্গেই থাকবেন।"
তবে বনগাঁ পৌরসভাকে ধন্যবাদ জানিয়ে সারাভারত মতুয়া মহাসংঘের সঙ্ঘাধিপতি মমতা ঠাকুর বলেন, "বনগাঁ পৌরসভা সব সময় ভক্তদের জন্য কাজ করে, মানুষের জন্য কাজ করে।" বিজেপি-র অভিযোগের কথা উঠলে মমতা ঠাকুর বলেন, "এখানে আমরা ওড়াকান্দির জল মাটি নিয়ে মন্দির করছি। রাজনীতি করছি না। ওরা রামমন্দির তৈরিতে ঠাকুরবাড়ির মাটি নিয়ে রাজনীতি করেছিল। আগামী দিনে মানুষ জবাব দেবেন।"
বাংলাদেশের পালগঞ্জের ওড়াকান্দি মতুয়াদের তীর্থক্ষেত্র। শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের নামে মন্দির রয়েছে সেখানে। যে কারণে সেখানে ভিড় করেন দলে দলে মতুয়ারা। সীমান্ত পেরিয়ে যাতে বাংলাদেশে যেতে না হয়, তার জন্যই এই মন্দিরের নির্মাণ।