Serampore Police Station: দেশের সেরা থানা শ্রীরামপুর, কেন্দ্রের বিচারেই শিরোপা, শীঘ্রই পুরস্কার, জানালেন মমতা
Mamata Banerjee: কেন্দ্রীয় সরকারই দেশের তৃতীয় সেরা থানা হিসেবে গন্য করেছে শ্রীরামপুর থানাকে।
সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা: দেশের তিন সেরা থানার মধ্যে জায়গা পেল হুগলি জেলার শ্রীরামপুর থানা। কেন্দ্রীয় সরকারই দেশের তৃতীয় সেরা থানা হিসেবে গন্য করেছে শ্রীরামপুর থানাকে। বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এর ঘোষণা করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শীঘ্রই কেন্দ্রের তরফে হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। রাজ্য পুলিশকে অভিনন্দনও জানিয়েছেন মমতা। (Serampore Police Station)
বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এই খবর জানান মমতা। তিনি লেখেন, 'এই ঘোষণা করতে পেরে অত্যন্ত গর্ববোধ করছি যে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ভারত সরকার আমাদের শ্রীরামপুর থানাকে (চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট) ২০২৩ সালে দেশের সেরা তিন থানার মধ্যে অন্যতম বলে চিহ্নিত করেছে। ২০২৪ সালের ৫ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিজে এসে আমাদের অফিসারের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন। জাতীয় স্তরে এই কৃতিত্ব অর্জনের জন্য আমাদের পুলিশকে অভিনন্দন। জয় বাংলা'।
এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "শ্রীরামপুরের সাংসদ হিসেবে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। শ্রীরামপুরের মানুষের পক্ষ থেকে চন্দননগর কনমিশনারেট এবং শ্রীরামপুর থানাকে ধন্যবাদ জানাই। পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আজ তৃতীয় সেরা থানার স্বীকৃতি পেল। এতে প্রমাণ হয় যে, বিরোধীদের কুৎসা ভিত্তিহীন। বার বার প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলার উন্নতি হয়েছে, বাংলায় আইন-শৃঙ্খলা, বাংলার মহিলাদের, কৃষকদের, সব সম্প্রদায়ের উন্নতি হয়েছে।"
Proud to announce that Ministry of Home Affairs, Government of India, has selected our Serampore Police Station (Chandannagar Police Commissionerate) as one of the best 3 police stations in the entire country for the year 2023.
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) December 21, 2023
Union Home Minister will personally hand over the…
বিজেপি-কেও এদিন কটাক্ষ করেন কল্যাণ। তিনি বলেন, "সমস্যা হচ্ছে, বিজেপি-র যে ক'জন নেতা আছেন, তাঁরা দিল্লিতে গিয়ে গুজরাত এবং রাজস্থানের নেতাদের পায়ের তলায় পড়ে থাকেন। বাংলার উন্নয়ন যাতে না হয়, সব চেষ্টা করেন। যাঁদের পায়ে এঁরা পড়ে থাকেন, তাঁরা সব ভাল পদে রয়েছেন। বাংলাকে অর্থনৈতিক ভাবে কোণঠাসা করলে ক্ষমতায় আসবে বলে ভাবে বিজেপি। কিন্তু বোঝেন না, বাংলার মানুষ কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে আছেন। যত বিরোধিতা করবে, বাংলার গ্রহণযোগ্যতা তত বাড়বে।"
যদিও বিজেপি-র মুখপাত্র প্রণয় রায় বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী অর্ধসত্য কথা বলেন। যেমন ১০০ দিনের কাজে বাংলাকে কেন্দ্র শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা দিয়েছে বলে ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রচার করা হয়। পরে দেখা গেল, কর্মদিবসে সত্যিই বাংলা ভারতশ্রেষ্ঠ কিন্তু টাকা গিয়েছে ভুয়ো অ্যাকাউন্টে। কোটি কোটি টাকা লুঠ হয়েছে। শ্রীরামপুর থানা সেই থানা, গতবছর রামনবমীতে হিন্দুদের শোভাযাত্রায় সেখানে পাথর ছোড়া হয়। সেই শ্রীরামপুর থানা কিসের নিরিখে তৃতীয় হয়েছে?"