TMC-CPM Clash : সিপিএম পথসভার মঞ্চ ভাঙচুর, বাঁশ, লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে
North 24 Parganas : বাঁশ, লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধরের পাশাপাশি করা হয় বাইক ভাঙচুর। সিপিএমের একের পর এক পতাকা পোড়ানোর পর পথসভার মঞ্চ ভেঙে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।
সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা : পথসভার (Patha Sabha) মঞ্চ ভেঙে দেওয়া ও সিপিএম (CPM) কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। রণক্ষেত্র উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) কলুপাড়া এলাকা। তৃণমূলের আক্রমণে অন্তত ১২ জন দলীয় কর্মী জখম হয়েছেন বলে দাবি সিপিএমের। প্রতিবাদে বাদু রোডে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান বাম কর্মী সমর্থকরা। এলাকায় বসানো হয়েছে পুলিশ (Police) পিকেট।
আহত একাধিক সিপিএম কর্মী
রাস্তার মাঝখানে দাউদাউ করে জ্বলছে আগুন। দুমড়ে মুচড়ে পড়ে রয়েছে মাইক। ভাঙাচোরা অবস্থায় উলটে পড়ে রয়েছে একের পর এক বাইক। আহত অবস্থায় রাস্তায় গড়াগড়ি খাচ্ছেন একাধিক সিপিএম কর্মী। গ্রামবাংলার ভোটের মুখে রাজনৈতিক সংঘর্ষকে ঘিরে এভাবেই অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাত ২নম্বর ব্লকের কলুপাড়া।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার এই এলাকায় একটি পথসভা করার কথা ছিল সিপিএমের। অভিযোগ, পথসভার মঞ্চ বাঁধার কাজ চলাকালীন সিপিএম কর্মীদের ওপর চড়াও হয় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বাঁশ, লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধরের পাশাপাশি করা হয় বাইক ভাঙচুর। সিপিএমের একের পর এক পতাকা পোড়ানোর পর পথসভার মঞ্চ ভেঙে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। সিপিএম কর্মীদের অভিযোগ, বেধড়র মারধর করা হয়েছে তাঁদের।
প্রতিবাদ, বিক্ষোভ
প্রতিবাদে বাদু রোডে কাঠের গুঁড়ি জ্বালিয়ে ৪৫ মিনিট ধরে বিক্ষোভ দেখান সিপিএমের কর্মী সমর্থকরা। ঘটনাস্থলে যায় মধ্যমগ্রাম থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামাতে হয় র্যাফ। সিপিএমের দাবি, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হামলায় অন্তত ১২ জন কর্মী জখম হয়েছেন। কলুপাড়ার কেমিয়ার এরিয়া কমিটির সদস্য আলমগীর বাদশা বলেছেন, 'হঠাৎ করে তৃণমূলের কয়েকজন এসে আমাদের লোকেদের মেরেছে। অবিলম্বে এদের গ্রেফতার করতে হবে, না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব। আমাদের ১২ জনকে মেরেছে।'
অভিযোগ অস্বীকার
যদিও হামলার সঙ্গে তাদের দলের কোনও যোগ নেই বলে পাল্টা দাবি করেছে তৃণমূল। উত্তর ২৪ পরগনা বারাসাত ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি শম্ভু ঘোষ বলেছেন, 'সিপিএম এলাকায় গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করছে । তৃণমূলের যোগ নেই।' পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক। এলাকায় বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। উত্তেজনার জেরে থমথমে গোটা এলাকা।
আরও পড়ুন- কলকাতা জুড়ে টাকার পাহাড় ! এবার বড়বাজারে উদ্ধার বান্ডিল বান্ডিল নোট