Itahar News: আনন্দের মুহূর্তে নেমে এল বিষাদ, টিনের ঘরে জন্মদিন পালন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু একই পরিবারের ৩ সদস্যের
North Dinajpur News: রবিবার সন্ধেয় সেখানে টিনের তৈরি একটি বাড়িতে জন্মদিনের আয়োজন হয়েছিল। পরিবারের সকলে আনন্দ করছেন, সেই সময়ই ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা।
সুদীপ চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর: টিনের ঘরেই হয়েছিল জন্মদিনের আয়োজন। তাতে বেঘোরে মৃত্যু হল একই পরিবারের তিন জনের। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় শোকের ছায়া গোটা এলাকায়। সাধারণ পরিবারের জন্মদিন উদযাপন (Birthday Party) মৃত্যু ডেকে আনবে, তা কল্পনাও করতে পারেননি কেউ (Electrocution Death)।
জন্মদিন উদযাপন করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্য়ু একই পরিবারের তিন সদস্যের
উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur News) ইটাহার (Itahar) থানার অন্তর্গত তিলনা গ্রামের ঘটনা। রবিবার সন্ধেয় সেখানে টিনের তৈরি একটি বাড়িতে জন্মদিনের আয়োজন হয়েছিল। সমস্ত চাওয়া-না পাওয়া ভুলে যখন পরিবারের সকলে আনন্দ করছেন, সেই সময়ই ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা। আচমকা শর্ট সার্কিট থেকে মৃত্যু ঘটে পরিবারের তিন সদস্যের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শর্ট সার্কিট হয়েছে টের পেয়েই মেইন সুইচ বন্ধ করতে যান পরিবারের সদস্য বাবলু মুর্মু। কিন্তু তড়িঘড়ি মেইন সুইচ বন্ধ করলেও, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। সেই সময় টিনের দেওয়ালে হেলান দিয়ে বসেছিলেন বাবুল জ্যেঠু কবিরাজ মুর্মু এবং জ্যেঠিমা হপনময়ী সোরেন। তাঁরা দু'জনও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। গোপাল মুর্মু নামের আরও একজন তড়িদাহত হন।
তড়িঘড়ি ওই চারজনকে ধরাধরি করে স্থানীয় রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে বাবলু, কবিরাজ এবং হপনময়ীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। গোপাল বেঁচে রয়েছেন যদিও। তবে তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তিনি এই মুহূর্তে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বৃষ্টির জল টিনের উপর পড়েই শর্ট সার্কিট হয় বলে অনুমান করা হচ্ছে
পুজোর আগে এই মুহূর্তে বৃষ্টিতে ভিজছে বাংলার একাধিক জেলা। বৃষ্টি হয়েছে উত্তর দিনাজপুুরেও। তার জেরেই টিনের বাড়িতে শর্ট সার্কিট ঘটে বলে মনে করা হচ্ছে। চিকিৎসাধীন গোপালও তেমনইটাই জানিয়েছেন। কিন্তু ছুটির দিন সন্ধেয় এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়।
ইলামবাজারের জঙ্গল থেকে উদ্ধার নিখোঁজ ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার ক্ষতবিক্ষত দেহ
অন্য দিকে, বাগুইআটিকাণ্ডের ছায়া এবার বীরভূমে। ইলামবাজারের জঙ্গল থেকে উদ্ধার নিখোঁজ ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার ক্ষতবিক্ষত দেহ। গতকাল বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিলেন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া সৈয়দ সালাউদ্দিন। গতকাল রাত ১২টা নাগাদ ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে প্রথম ফোন। মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে সালাউদ্দিনের নম্বর থেকেই। পুলিশকে জানালে ছেলেকে ফিরে পাওয়া যাবে না বলে হুমকি। মল্লারপুর থানায় জানানোর পর আসে দ্বিতীয় হুমকি ফোন, দাবি পরিবারের। টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে ইলামবাজার থেকে গ্রেফতার সালাউদ্দিনের বন্ধু সলমন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই ইলামবাজার জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয় সালাউদ্দিনের দেহ।