Kamduni Case: সুপ্রিমকোর্টের শর্তে খুশি নয়, CBI তদন্তের দাবিতেই অনড় কামদুনির নির্যাতিতার পরিবার
নির্যাতিতার ভাই বলছেন, রাজ্য সরকার মুখ্যমন্ত্রী কী বলেছিল, এই কেসে কপিল সিব্বলকে দিচ্ছি, কিন্তু আজকে সুপ্রিম কোর্টে দেখলাম কপিল সিব্বল নেই।
সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, বিজেন্দ্র সিংহ, কলকাতা: কামদুনিকাণ্ডে (Kamduni) অভিযুক্ত চারজনের ক্ষেত্রে একাধিক বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে সুপ্রিমকোর্ট (Supreme Court)। যা নিয়ে পুরোপুরি খুশি নয় কামদুনির নির্যাতিতার পরিবার। CBI তদন্তের দাবিতে অনড় থেকে, সুপ্রিমকোর্টেও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে গাফিলতির বিস্ফোরক অভিযোগ করছেন তাঁরা।
নির্যাতিতার ভাই বলছেন, 'রাজ্য সরকার মুখ্যমন্ত্রী কী বলেছিল, এই কেসে কপিল সিব্বলকে দিচ্ছি, কিন্তু আজকে সুপ্রিম কোর্টে দেখলাম কপিল সিব্বল নেই। কামদুনিকাণ্ডে অভিযুক্ত চারজনের ক্ষেত্রে একাধিক বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে সুপ্রিমকোর্ট'।
সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে বলা হয়েছে যে, 'প্রতি মাসের প্রথম ও তৃতীয় সোমবার ওই চারজনকে রাজারহাট থানায় হাজিরা দিতে হবে। ঠিকানা ও মোবাইল ফোনের নম্বর পরিবর্তন হলে তা পুলিশকে জানাতে হবে এবং পাসপোর্ট থাকলে অবিলম্বে পুলিশের কাছে জমা দিতে হবে। কিন্তু, সর্বোচ্চ আদালতের এই নির্দেশের পরও পুরোপুরি খুশি নয় কামদুনির নির্যাতিতার পরিবার। CBI তদন্তের দাবিতে অনড় থেকে, সুপ্রিমকোর্টেও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে গাফিলতির বিস্ফোরক অভিযোগ করছেন তাঁরা'।
নির্যাতিতার ভাই আরও বলেছেন, 'যে ৪ জন হাইকোর্টে ছাড়া পেয়েছে, তাদের আবার লকআপে ঢোকানো হলে খুশি হতাম। যে দু-জন রয়েছে তাদেরও কীভাবে ছাড়ানো যায়, মুখ্যমন্ত্রী সেই চেষ্টা করছে। মুখ্যমন্ত্রী আমাদের হয়ে বিচার করছে না'।
সুপ্রিম কোর্টে আইনি লড়াইয়ের জন্য় মৃত তরুণীর ২ ভাইয়ের সঙ্গে দিল্লিতে গেছিলেন মৌসুমী কয়াল। তিনি অবশ্য় সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে আস্থা রাখছেন। কামদুনির অভিযুক্ত ৪ জনের ক্ষেত্রে শর্ত আরোপ কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে তদন্তের দাবি বিজেপির। শীঘ্রই ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছে কামদুনির নির্যাতিতার পরিবার।
কামদুনিকাণ্ডে (Kamduni) কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) রায়ে মুক্তিপ্রাপ্ত ৪ জনের ওপর নতুন শর্ত আরোপ করে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বলা হয়, প্রতি মাসে প্রথম ও তৃতীয় সোমবার এই ৪ জনকে রাজারহাট থানায় হাজিরা দিতে হবে। নির্দেশে আরও বলা হয় যে, কোথাও যেতে চাইলে সেই ভ্রমণ সূচি দিয়ে পুলিশের কাছে তাঁদের অনুমতি চাইতে হবে। ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর পরিবর্তন হলে তৎক্ষণাৎ তা পুলিশকে জানাতে হবে। পাসপোর্ট থাকলে তা অবিলম্বে সারেন্ডার করতে হবে। রাজ্যের আইনজীবী আদালতে জানিয়েছেন, ৪ জনের মুক্তির ফলে গ্রামে উত্তেজনা তৈরি হতে পারে। রাজ্য সরকার এই মামলায় যথেষ্ট তৎপরতা দেখাননি, তাঁরা আদালতে আরও তথ্য দেবেন, আদালতে জানান নির্যাতিতার আইনজীবী।