Locket Chatterjee: ঝাঁটা, খুন্তি, বঁটি নিয়ে মহিলাদের প্রতিরোধ গড়ে তোলার বিধান, শাসকদলকে হুঁশিয়ারি লকেটের
গতকাল বাঁকুড়া ১ নম্বর ব্লকের জগদল্লায় দলের অঞ্চল সম্মেলন থেকে কার্যত এই ভাষাতেই শাসকদলকে হুঁশিয়ারি দেন লকেট। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক।

হুগলি: ঝাঁটা, খুন্তি, সাঁড়াশি, বঁটি নিয়ে মহিলাদের প্রতিরোধ গড়ে তোলার বিধান দিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। নাম না করে তৃণমূলকে নিশানা করেছেন হুগলির বিজেপি সাংসদ। গতকাল বাঁকুড়া ১ নম্বর ব্লকের জগদল্লায় দলের অঞ্চল সম্মেলন থেকে কার্যত এই ভাষাতেই শাসকদলকে হুঁশিয়ারি দেন লকেট। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। প্রতিশোধ না নিলেও, প্রতিরোধ তো করতে হবে। প্রতিরোধ করার ক্ষমতা তৈরি করতে হবে। সেজন্য মহিলাদেরকেই আগামীদিনে নেতৃত্ব দিতে হবে এবং আজকে তাদের হাতের কাছে যা থাকবে, খুন্তি, বঁটি, সাঁড়াশি, শিলনোড়া যা থাকবে, তাই নিয়ে বেরিয়ে আসবে। ঝাঁটা নিয়ে বেরিয়ে আসবে। প্রতিরোধ ছাড়া কোনও উপায় নেই। এদিন এমনটাই বলেন হুগলির বিজেপি সাংসদ।
এর আগেও বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। সম্প্রতি দত্তপুকুরে দিদির দূতকে অভিযোগ জানাতে গিয়ে, তৃণমূলকর্মীর হাতে সপাটে চড় খেয়েছেন বিজেপি নেতা (BJP Leader)। এই ঘটনা ঘিরে বিতর্কের ঝড় সর্বত্র। এবার তা নিয়ে সুর চড়ালেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)। 'কথা শুনতে না চাইলে ঘরের মধ্যে বেঁধে রেখে অভিযোগ শোনান। চড় মারলে আপনারাও ছাড়বেন না, ধরে চার-পাঁচটা আপনারাও দিন।’ হুঙ্কার হুগলির বিজেপি সাংসদের। ‘চড় দেওয়ার দরকার আছে, টাকা লুট করবে আবার চড়ও মারবে। আমি সামনে থাকলে তো চারটে থাপ্পড় মারতাম। কেউ ভয় পাবেন না, সবাই এগিয়ে চলুন।' হঙ্কার লকেটের।
তৃণমূলকর্মীর হাতে সপাটে চড়: গতকাল দত্তপুকুরে দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি চলাকালীন রাস্তা নিয়ে অভিযোগ জানাতে গিয়ে তৃণমূলকর্মীর হাতে সপাটে চড় খেয়েছেন বিজেপি নেতা। দত্তপুকুরের এই ঘটনার পর বিরোধীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে, বিরোধী হলে কি দিদির দূতেদের কাছে অভিযোগ জানানো যাবে না? বিরোধীরা অভিযোগ জানাতে গেলে কি এরকম চড় জুটবে? চড় মারার ঘটনাটি ঘটে খাদ্য়মন্ত্রী রথীন ঘোষের উপস্থিতিতেই। বিতর্কের মুখে ড্য়ামেজ কন্ট্রোলের জন্য় তিনি বিজেপি নেতার কাঁধ চাপড়ে কথা বলেন। যদিও, পরে তাঁর গলায় শোনা যায় অন্য় সুর। যে তৃণমূলকর্মীকে চড় মারতে দেখা গেছে, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। যদিও, এই ঘটনার পর ওই তৃণমূল কর্মীর স্ত্রী দাবি করেন, তাঁদেরকেই হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
এদিন হুগলির জিরাটে এক সভা বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, "মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত দুর্নীতিগ্রস্থ হচ্ছে দিদির দূত। তারা আবার মানুষের কাছে যাচ্ছে কী অসুবিধা হচ্ছে দেখতে। অসুবিধা তো দিদির দূতেরা। আবার চড় থাপ্পড় মারছে। চড় থাপ্পড় মারলে আপনারা ছেড়ে দেবেন না। আপনারাও চার-পাঁচটা দিন। মানুষের টাকা লুঠ করবে আবার চড় মারবে এটা তো হয় না। কথা না শুনলে ঘরের মধ্যে বেঁধে রেখে অভিযোগ শোনান। সরকার তাদের, পঞ্চায়েত তাদের, তাহলে তারা কেন কাজ করবে না? আবার অভিযোগ বলতে এলে থাপ্পড় মারা! আমি সামনে থাকলে তো চারটে থাপ্পড় মারতাম।''






















