Kolkata Pakistan Connection : বিরাটি থেকে ধরা পড়া পাকিস্তানির হাত ধরে দেশজুড়ে ছড়িয়ে গিয়েছে পাকিস্তানিরা? ভয়ঙ্কর তথ্য তদন্তে
Fake Passport News :সঙ্গে ২০০রও বেশি পাসপোর্ট, পাকিস্তানিদের দেশে ঢোকার প্যাসেজ করে দিত বিরাটি থেকে ধৃত পাকিস্তানি?

প্রকাশ সিনহা, কলকাতা : জাল পাসপোর্টের তদন্তে নেমে ক্রমেই যেন কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে আসছে । কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার নেপথ্যে পাকিস্তানের যোগ এখন দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। এই পরিস্থিতিতে এরাজ্য়ের পাসপোর্ট-জালিয়াতিকাণ্ডেও উঠে এসেছে পাকিস্তান-যোগ। বিরাটি থেকে ধরা পড়া পাক নাগরিককে জেরা করছে ইনটেলিজেন্স ব্যুরো। আর তাতে যা সব তথ্য উঠে আসছে, তা এক কথায় ভয়ানক !
বিরাটি থেকে ধৃত পাসপোর্ট জালিয়াতিকাণ্ডে ধৃত পাক নাগরিক আজাদ মল্লিককে নিয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্তে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ED সূত্রে দাবি, এ রাজ্যে ধৃত পাকিস্তানি নাগরিক আজাদ মল্লিককে জেরা করে ২০০টি পাসপোর্টের তথ্য মিলেছে। ED-র তদন্তকারীদের আশঙ্কা এই সংখ্যাটা হাজারও পেরিয়ে যেতে পারে। মানে এই লোকটির কাছে রয়েছে বহু জাল পাসপোর্ট । আশঙ্কা করা হচ্ছে বিরাট এক চক্রের পাণ্ডা ছিল এই আজাদ। তার হাত ধরে শুধু বাংলাদেশের নাগরিকরাই নয়, ভারতের পাসপোর্ট বাগিয়ে থাকতে পারে পাকিস্তানের নাগরিকরাও !
তাহলে কি, পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে ঢুকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে পাকিস্তানিরাও? ED সূত্রে খবর, সেই সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ED সূত্রে দাবি, বাংলার পাশাপাশি দিল্লি, মুম্বইয়ের মতো শহর হোক অথবা গুজরাত, রাজস্থানের মতো রাজ্য, সর্বত্র ছড়িয়ে আজাদ মল্লিকদের জাল পাসপোর্ট চক্রের নেটওয়ার্ক। ED সূত্রে খবর, এই সংক্রান্ত তথ্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে পাঠানো হয়েছে। কারণ পাকিস্তানের লোকেরাও যদি এই চক্রের হাত ধরে ছড়িয়ে গিয়ে থাকে, তাহলে তা ভয়াবহ।
পাসপোর্ট জালিয়াতিকাণ্ডের তদন্তে গত ১৫ এপ্রিল কলকাতা থেকে জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সেদিনই উত্তর ২৪ পরগনার বিরাটি থেকে আজাদ মল্লিককে গ্রেফতার করা হয়। সম্প্রতি আদালতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট দাবি করে, গ্রেফতার হওয়া আজাদ মল্লিক আদতে বাংলাদেশ নয়, পাকিস্তানের নাগরিক! পাকিস্তানি পরিচয় আড়াল করতেই বাংলাদেশি নাগরিকের ভুয়ো পরিচয় ব্যবহার করত আজাদ। ED সূত্রে খবর, পরিচয় বদল করে এখানে ভিসার আবেদন করেছিল সে। প্রায় ১৩ বছর আগে বাংলাদেশ হয়ে ভারতে ঢোকে আজাদ। নাম-পরিচয় ভাঁড়িয়ে, বিশেষ উদ্দেশ্যে আজাদ মালিক এ রাজ্যে থাকছিল বলে ED-র গোয়েন্দাদের অনুমান। তাহলে কি কোনও স্লিপার সেলের সদস্য হিসেবে কাজ করছিল পাক নাগরিক আজাদ? জাল নথি দিয়ে ভারতীয় পরিচয়পত্র বানিয়ে দেওয়ার পিছনে উদ্দেশ্য কী ? আজাদের হাত ধরে আরও কোনও পাক নাগরিক এ রাজ্যে নাম পাল্টে লুকিয়ে নেই তো? বাড়ছে আশঙ্কা ।






















