Pallavi Dey Death: পল্লবীই প্রথম নন, স্কুলজীবনে 'আত্মহত্যা' করে সাগ্নিকের আরও এক বান্ধবী!
Howrah News: সাগ্নিকের সঙ্গে সম্পর্ক থাকা দুই নারীর 'আত্মহত্যা' নেহাত কাকতালীয় হতে পারে না বলে মত পল্লবী ঘনিষ্ঠদের।
সুনীত হালদার, কলকাতা: শুধু অভিনেত্রী পল্লবী দে-ই নয় (Pallavi Dey Death)। আট বছর আগে তাঁর লিভ ইন পার্টনার সাগ্নিক চক্রবর্তীর আরও এক বান্ধবী সৌমি মণ্ডলেরও অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটেছিল। সেবারও ঘর থেকে উদ্ধার হয় ঝুলন্ত দেহ। সাগ্নিকের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনেই আত্মহত্যা, দাবি সৌমির মা-বাবার (Sagnik Chakraborty)।
আত্মহত্যা করেন সাগ্নিকের আরও এক বান্ধবী!
এক জনের নাম সৌমি মণ্ডল, আরেক জন পল্লবী দে। একজনের বাড়ি হাওড়ার জগাছায়। মৃত্যু তাঁদের এক সুতোয় গেঁথে দিয়েছে। ২০১৪ সালের ১৮ মার্চ অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় একাদশ শ্রেণির ছাত্রী সৌমি মণ্ডলের। ঠিক যেমনভাবে গত রবিবার মৃত্যু হয় অভিনেত্রী পল্লবী দে’র। দু’জনেরই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
আর দু’জনের মৃত্যুতেই অভিযোগের তির সেই সাগ্নিকের দিকে। সৌমির মা ইলা মণ্ডল আজও বলেন, "আমার মেয়ের মৃত্যুর জন্য সাগ্নিক দায়ী।" মৃতার পরিবার সূত্রে খবর, স্কুলে পড়ার সময় থেকে সৌমি-সাগ্নিকের আলাপ। দু’জনেই হাওড়ার জগাছার কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের প্রাক্তন পড়ুয়া।
সৌমির তখন ক্লাস এইট, সাগ্নিকের নবম। দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সৌমির বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত ছিল সাগ্নিকের। কিন্তু, বছর ৩ পর, সৌমি সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চায়। তখন সে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে। সাগ্নিক তখন দ্বাদশ শ্রেণিতে। অভিযোগ, সম্পর্ক রাখতে না চাওয়ায়, রাস্তাঘাটে অশান্তি করত সাগ্নিক। দিনের পর দিন তা সহ্য করতে না পেরেই সৌমি আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় বলে অভিযোগ।
সৌমির বাবা অজয়কুমার মণ্ডল বলেন, "ক্লাস অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত। সাগ্নিক পড়ত নবম শ্রেণিতে। বাড়িত আসত। মেয়ে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চায়। তখনই ঝামেলা বাধে। সেই সময় পুলিশের সহযোগিতা পাইনি। জগাছা থানার পুলিশের কাছে বিষয়টি জানিয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ সমর্থন করেনি।"
পরিবারের আরও অভিযোগ, সৌমির মৃত্যুর পর, সাগ্নিকের সঙ্গে তাঁদের বাড়িতে এসেছিলেন ঐন্দ্রিলা মুখোপাধ্যায়, পল্লবীর মৃত্যুতে সাগ্নিক ছাড়াও, যাঁর বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের হয়েছে। সৌমির মা বলেন, "মেয়ে যেদিন আত্মহত্যা করে, সেদিন সাগ্নিক এবং ঐন্দ্রিলা একসঙ্গে আসে। ইলেভেনে পড়ার সময় আত্মহত্যা করে। ঐন্দ্রিলা সেন্ট্রাল স্কুলে পড়ার সময় থেকেই সাগ্নিক তার বন্ধু ছিল। ঐন্দ্রিলা আমার মেয়েরও বন্ধু ছিল।" তাই সৌমির মায়ের দাবি, সাগ্নিককে সেভাবে চিনতেন না বলে ঐন্দ্রিলা যে দাবি করছেন, তা সর্বৈব মিথ্যা।
অভিনেত্রীর পরিবারের অভিযোগ, ঐন্দ্রিলার সঙ্গে সাগ্নিকের ঘনিষ্ঠতা পল্লবীর মৃত্যুর অন্যতম কারণ। যদিও ঐন্দ্রিলা সেই অভিযোগ মানতে চাননি। পল্লবীর বাবা নীলু দে বলেন, "ফ্ল্যাটে ঐন্দ্রিলা আসত। মেয়ের মৃত্যুর জন্য ঐন্দ্রিলা এবং সাগ্নিক দায়ী। তাকে খুন করা হয়েছে। উপযুক্ত তদন্ত হোক। দোষীরা শাস্তি পাক।"
সাগ্নিকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কথা অস্বীকার ঐন্দ্রিলার
যদিও ঐন্দ্রিলার বক্তব্য, "আমি ভাবতে পারিনা ওঁর বাড়ির লোক আমার নামে এই অভিযোগ তুলবে। আমি কেন সাগ্নিকের সঙ্গে মিশতে যাব? পল্লবী আমার পুরনো বন্ধু ছিল। সেই সূত্রেই সাগ্নিক এর সঙ্গে তার আলাপ। আমার সঙ্গে কোন সম্পর্ক ছিল না। আমাদের মধ্যে কোন কথা হত না। পল্লবীর ফ্ল্যাটে যেতাম না।" তবে সাগ্নিকের সঙ্গে সম্পর্ক থাকা দুই নারীর 'আত্মহত্যা' নেহাত কাকতালীয় হতে পারে না বলে মত পল্লবী ঘনিষ্ঠদের।