Panchayat Poll Violence: 'এই পরিবর্তন চাননি তো কী চেয়েছিলেন?' পাল্টা আসরে তৃণমূলপন্থী বিদ্বজনেরা
Panchayat Election 2023: তৃণমূলকর্মীদেরই বেশি প্রাণ যাওয়ার তত্ত্ব সামনে তুলে দাবি তৃণমূলপন্থী বিশিষ্টদের।
কলকাতা: অপর্ণাদের (Aparna Sen) খোলা চিঠির পাল্টা সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলপন্থী বিশিষ্টরা। পঞ্চায়েত ভোটে তো গোলমাল হবেই, মমতাকে সহ্য করতে পারছেন না। তৃণমূলকর্মীদেরই বেশি প্রাণ যাওয়ার তত্ত্ব সামনে তুলে দাবি তৃণমূলপন্থী বিশিষ্টদের।
মনোনয়ন থেকে নির্বাচন পেরিয়ে ভোট গণনা। পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Poll 2023) ঘোষণার পর থেকে, কোনও পর্বই হিংসা ছাড়া মেটেনি। কোথাও উদ্যত আগ্নেয়াস্ত্র হাতে দুষ্কৃতীদের দাপাদাপি করতে দেখা গেছে। কোথাও মুহুর্মুহু বোমাবাজি হয়েছে। রক্ত ঝরেছে। মৃত্যু হয়েছে। অন্যথা হয়নি ভোটের দিনও। সেই একই ট্রেন্ড বজায় রেখে ভোট গণনার দিন সকাল থেকেও দিকে দিকে ফের অশান্তির ঘটনা ঘটে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক গণনা কেন্দ্রের বাইরে উত্তেজনা ছড়ায়। বিরোধী এজেন্টদের গণনা কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগও ওঠে। পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন শুরুর দিন থেকে ভোট মেটার পর এখনও অবধি, হিংসার বলি হয়েছেন বহু মানুষ। যার মধ্য়ে শাসক ও বিরোধী শিবিরের রাজনৈতিক কর্মী যেমন রয়েছেন, তেমন রয়েছেন নিরীহ সাধারণ মানুষও। মৃতের সংখ্য়া যত দীর্ঘ হয়েছে, ততই চড়ছে রাজনৈতিক তরজার পারদ। ভোট হিংসা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে দায়ী করে চিঠি দিয়েছিলেন বিশিষ্টরা। এবার তার পাল্টা আসরে নামলেন তৃণমূলপন্থী বিশিষ্টরা।
ভোট হিংসার জন্য মুখ্যমন্ত্রীদের দায়ী করে অপর্ণাদের চিঠির পাল্টা জবাব কবীর সুমনের।এদিন সাংবাদিক বৈঠক করেন কবীর সুমন, আবুল বাশার, যোগেন চৌধুরীরা। তৃণমূল সরকারের উন্নয়নের খতিয়ান দিয়ে পাশে থাকার বার্তা দেন তাঁরা। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তাঁরা বলেন, 'ভোটে তো গোলমাল হবেই, ভোট হয়ে যায় না, করাতে হয়।নল দিয়ে ভোট হয়, যেদিন থেকে বোধবুদ্ধি, সেদিন থেকেই দেখছি।'তৃণমূলকর্মীরা সবচেয়ে বেশি মারা গেছে।’ শাসকের সুরেই ব্যাখ্যা কবীর সুমনের। ‘সাদা থানের কথা ভুলি কি করে? বলতেই পারেন এই পরিবর্তন চাইনি, কিন্তু কী চেয়েছিলেন? আমি চাই ৩ হাজার বছর মমতা ক্ষমতায় থাকুন।’ অপর্ণাদের জবাব কবীর সুমনের।
ভোট-হিংসার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকেই দায়ী করে খোলা চিঠি দিয়েছেন অশোক গঙ্গোপাধ্যায়, অপর্ণা, কৌশিক সেনরা। মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে বিশিষ্টরা উল্লেখ করেছিলেন, 'স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনে ভরসা করেই চলতে হয় কমিশন-কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এই দায়িত্ব অস্বীকার করতে পারেন না।' হিংসা বন্ধে অবিলম্বে রাজ্য সরকারকে উদ্যোগী হওয়ার আবেদনও করেছেন বিশিষ্টরা। পঞ্চায়েত ভোটে সন্ত্রাস নিয়ে এর আগে পরিচালক ও অভিনেত্রী অপর্ণা সেন বলেছিলেন, “পরিবর্তন দরকার ছিল, তখন সিপিএম যা করছিল সেটা অত্যন্ত অন্যয় করছিল, আমরা সেটা ভুলিনি, কিন্তু তার বদলে এটা তো আমরা চাইনি। আপনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব অস্বীকার না করেও, এই কথা অবশ্যই বলা যায় যে এই পঞ্চায়েত নির্বাচন কেন্দ্রিক হত্যালীলা, এবং অরাজকতার দায়িত্ব মূলত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এবং আপনার। কারণ স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের ওপর নির্ভর করেই কেন্দ্রীয় বাহিনী ও নির্বাচন কমিশনকে চলতে হয়। পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এই দায়িত্ব আপনি কোনোভাবেই অস্বীকার করতে পারেন না।’’
আরও পড়ুন: Abhijit Ganguly: 'অসুস্থ হলে পদত্যাগ করুন' চেয়ারম্যানকে ছুটিতে পাঠানোর নির্দেশ বিচারপতির