Durgapur Barrage: দুর্গাপুর ব্যারেজের উপর তৈরি সেতুতে মেরামতি, একমাস যান চলাচল আংশিক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত, শুরু রাজনৈতিক তরজা
Paschim Bardhaman News: দুর্গাপুর থেকে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, দুই মেদিনীপুর-সহ ওড়িশা এবং দক্ষিণ ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে এই সেতু।
মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: আশেপাশের জেলা তো বটেই, সুদূর দক্ষিণ ভারতের সঙ্গেও যোগাযোগ রক্ষা করে আসছিল। সেই দুর্গাপুর ব্যারেজের উপর তৈরি সেতুর উপর দিয়েই যান চলাচল আংশিক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত (Paschim Bardhaman News)। আগামী একমাস ই সেতু আংশিক বন্ধ রাখা হচ্ছে। মেরামতিরর জন্যই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। তবে তাতে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সেই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। শাসকদলের (TMC) নেতাদের দাবি, মানুষের সুবিধার্থেই এমন সিদ্ধান্ত। পাল্টা বিজেপি-র (BJP) কটাক্ষ, এত দিন কি ঘুমিয়ে ছিল প্রশাসন!
সেতু আংশিক বন্ধ রাখায় রাজনৈতিক তরজা চরমে
দুর্গাপুর (Durgapur) ব্যারেজের উপর তৈরি সেতুর জয়েন্ট প্লেটের মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে (Durgapur Barrage)। তাতেই সেতুর উপর দিয়ে যান চলাচল আংশিক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বাঁকুড়া এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন। ২৪ অগাস্ট থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যান চলাচল আংশিক বন্ধ থাকবে এই সেতুর উপর দিয়ে।
দুর্গাপুর থেকে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, দুই মেদিনীপুর-সহ ওড়িশা এবং দক্ষিণ ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে এই সেতু। ১৯৫৫ সালে দুর্গাপুর ব্যারেজের উপর এই সেতু তৈরি হয়। মাঝে ২০২০ সালে দুর্গাপুর ব্যারেজের একটি লকগেট ভেঙে বিপত্তি বাঁধে। প্রবল জলকষ্ট শুরু হয় দুর্গাপুর এবং বাঁকুড়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। তাতেই হুঁশ ফেরে প্রশাসনের। শুরু হয় সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা। প্রশাসনের একটি দল বিষয়টির তত্ত্বাবধান শুরু করে।
কিন্তু এই ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়ে রাজ্য সরকারের সেচ দফতর। বিরোধীরা প্রশ্ন তোলেন, কেন পুরনো সেতু হওয়া সত্ত্বেও স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যাপারে সদর্থক ভূমিকা নিতে পারেনি রাজ্য সরকার! তাতে উত্তাপ বাড়তে শুরুকরলে ধাপে ধাপে লকগেট মেরামতির কাজ শুরু হয়। শুরু হয় কিছু লকগেট বদলে ফেলার কাজও। ঝুঁকি এড়াতে এর পর দুর্গাপুর ব্যারেজের উপর তৈরি এই সেতু সংস্কারের কাজে হাত দেয় প্রশাসন। তার পর সম্প্রতি জয়েন্ট প্লেট পাল্টানোর কাজ শুরু হয়। তাতেই সেতুর উপর দিয়ে যান চলাচল আংশিক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এই মেরামতির কাজ চলবে আগামী একমাস ধরে। তার জন্য প্রশাসন ঠিক করেছে যে, বাঁকুড়ার দিক থেকে যখন দুর্গাপুরের দিকে গাড়ি ঢুকবে এবং দুর্গাপুরের দিক থেকে বাঁকুড়ামুখী গাড়িগুলিকে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হবে। একই ভাবে নিয়ম মেনে অন্য দিক থেকে যান চলাচল করবে। ফলে টানা একমাস যান চলাচল আংশিক বন্ধ থাকবে দুর্গাপুর ব্যারেজের উপর তৈরি এই সেতুর উপর দিয়ে। তাতেই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
একমাস চলবে সেতুর উপর মেরামতির কাজ
প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। জেলা বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, সরকার এতদিন ঘুমোচ্ছিল। এখন ঘুম ভেঙেছে। তাই বিকল্প সেতুর কথা না ভেবে, পুরোনো সেতু মেরামত করে দায় সারছে। এটা খামখেয়ালি সিদ্ধান্ত বলে দাবি করছে বিরোধীরা। যদিও বিরোধীদের কটাক্ষ করে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছেন, মানুষের স্বার্থেই কাজ হচ্ছে।