Paschim Medinipur: পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার, নাম INTTUC-এর ব্লক সভাপতির তালিকায়, সরব বিরোধীরা
Kharagpur News: তৃণমূলের তরফে তালিকা প্রকাশ পেতেই সরব বিরোধীরা। প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করে কীভাবে দলীয় পদে? প্রশ্ন বিরোধীদের।
সৌমেন চক্রবর্তী, পশ্চিম মেদিনীপুর: তিনি পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার (Civic Volunteer)। আবার তিনি সামলাবেন ব্লকের দায়িত্বও, আইএনটিটিইউসি (INTTUC)-এর ব্লক সভাপতির পদে বসানো হয়েছে তাঁকে। আর তা নিয়েই তুমুল তরজা পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) খড়্গপুরে। প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করেন এমন কেউ দলীয় পদে কেন বসছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিজেপি (BJP)। যা গুরুত্ব দিতে চায়নি তৃণমূল (TMC)।
তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের ব্লক সভাপতির তালিকায় রয়েছেন এক সিভিক ভলান্টিয়ার (Civic Volunteer)। পশ্চিম মেদিনীপুরে সামনে এসেছে এই ঘটনা। বৃহস্পতিবার, মেদিনীপুর এবং ঘাটাল সাংগঠনিক জেলায় তৃণমূলের সমস্ত শাখা সংগঠনের ব্লক সভাপতির (Block President) নাম ঘোষণা করা হয়েছে। ওই তালিকায় সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) আপলোডও করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে ঘাটাল (Ghatal) সাংগঠনিক জেলার অন্তর্গত খড়্গপুর ২ নম্বর ব্লকে, আইএনটিটিইউসি-র (INTTUC) ব্লক সভাপতি হিসেবে নাম রয়েছে অতনু দে নামে এক ব্যক্তির। স্থানীয় সূত্রে খবর, এই অতনু দে পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার।
কোথায় কর্মরত ওই ব্যক্তি?
স্থানীয় পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তি এখন জেলার ইনটেলিজেন্স ব্রাঞ্চে (district Intelligence branch) কর্মরত। যা সামনে আসতেই শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক।
সরব বিরোধীরা:
একজন সিভিক ভলান্টিয়ার তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের ব্লক সভাপতির পদে বসতেই সরব হয়েছেন বিরোধীরা। খড়গপুর (২) দক্ষিণ-এর বিজেপি মণ্ডল সভাপতি নিতাই ভুঁইয়া বলেন, 'এই ভাবে সরকারি পদে কাজ করে, আবার পার্টির পদে থাকা। কোনও নিয়মের ধার ধারে না। প্রশাসনই তো শাসকের তাঁবেদারি করছে। সিভিক তো কোন ছাড়।' এই ঘটনার তুমুল বিরোধিতা করা হয়েছে সিপিএমের তরফেও।
তৃণমূলের দাবি:
যে ব্লকের আইএনটিটিইউসি (INTTUC) সভাপতিকে নিয়ে বিতর্ক সেখানেই বাড়ি জেলা তৃণমূল কোঅর্ডিনেটর অজিত মাইতির। এই নিয়ে বিতর্ক শুরু হওয়ার পরে মুখ খুলেছেন জেলা এই তৃণমূল নেতা। পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি বলেন, 'সব রাজনৈতিক দলেই এমন আছে। আমাদের ভুল হয়ে থাকলে চেঞ্জ করে দেব।'
যে অতনু দে-কে নিয়ে এই বিতর্ক শুরু হয়েছে, তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: নদী গর্ভে রাস্তা থেকে একাধিক বাড়ি, আতঙ্কে ঘর ছাড়া নদীপারের বাসিন্দারা