Erosion: নদী গর্ভে রাস্তা থেকে একাধিক বাড়ি, আতঙ্কে ঘর ছাড়া নদীপারের বাসিন্দারা
District News: মালদার ভূতনির চর থেকে কোচবিহারের তুফানগঞ্জ, ভাঙনে জেরবার নদী পারের বাসিন্দারা। প্রশাসন ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।
করুণাময় সিংহ ও শুভেন্দু ভট্টাচার্য: মানিকচকের ভূতনির চরে ভাঙন অব্যাহত। গঙ্গায় ভেসে গেল, বাঁধের একাংশ, একাধিক বাড়ি। আতঙ্কে ঘর ছাড়ছেন নদীপারের বাসিন্দারা। অন্যদিকে কোচবিহারের তুফানগঞ্জে ভাসল রাস্তা। ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।
নদী গর্ভে বাড়ি: একদিকে নদী গর্ভে তলিয়ে গেছে বাঁধ থেকে বাড়ি। অন্যদিকে চোখের সামনেই ভেসে যাচ্ছে রাস্তা। মালদার ভূতনির চর থেকে কোচবিহারের তুফানগঞ্জ, ভাঙনে জেরবার নদী পারের বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার রাতে মানিকচকের কালুটনে, গঙ্গায় তলিয়ে যায় বাঁধের প্রায় ১০০ মিটার অংশ। আতঙ্কে ঘর ছাড়ছেন বাসিন্দারা। মানিকচকের কালুটন এলাকার বাসিন্দার কথায়, “রাত থেকে ভাঙন শুরু। মুহূর্তের মধ্যে ৪টে বাড়ি তলিয়ে যায়। কোনও জিনিস নিয়ে যেতে পারিনি।’’
ভাঙনে জেরবার মানিকচকের বাসিন্দারা: দিন কয়েক ধরেই ভাঙনে জেরবার মানিকচকের ভূতনির চর। এরই মধ্যে ভাইরাল হয়েছিল এক ভিডিও। যেখানে দেখা গেছে, ভাঙন ঠেকাতে বস্তার ভিতরে বালির বদলে বস্তা ভরে রাখা হয়েছে। আর এর জন্যই ভাঙন ঠেকানো যাচ্ছে না বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। এক বাসিন্দার কথায়, “বালির বদলে বস্তা ভরে বাঁধ তৈরি হয়েছে।’’ বৃহস্পতিবার রাতেই কালুটন এলাকা থেকে, প্রায় ৫০টি পরিবারকে অন্যত্র সরিয়ে দেয় পুলিশ। তবে এখনও বাঁধ মেরামতি শুরু করা যায়নি।
ভাঙন আতঙ্ক তুফানগঞ্জেও: ভাঙনের ভোগান্তি কোচবিহারের তুফানগঞ্জেও। ঘর বাড়ি, কৃষিজমি, একে একে গিলে খাচ্ছে গদাধর নদী। শুক্রবার সকালেও নদীতে তলিয়ে যায় পারবাঁধের একাংশ। এই পারবাঁধ দিয়েই যাতায়াত করতেন কৃষ্ণপুর মহিষমারা কুঠি গ্রামের বাসিন্দারা। ওই এলাকার এক বাসিন্দা আখতার খন্দকার বলেন, “তৈরির পর থেকেই বাঁধ ভাঙছিল, আজ সকালে রাস্তা সহ গাছ ভেঙে পড়ে। আমরা চাই ফের নতুন করে বাঁধ তৈরি হোক।’’ আরেক বাসিন্দার অভিযোগ, “বারবার বললেও সংস্কারে টালবাহানা করেছে প্রশাসন।’’ বাঁধ মেরামতের আশ্বাস দিয়েছেন তুফানগঞ্জ ১ নম্বর ব্লকের বিডিও।
অন্যদিকে, কোশি নদীতে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে রতুয়ার বিলাইমারি এবং মহানন্দা টোলা এলাকায়। কয়েকদিন ধরেই গঙ্গার জল বাড়তে বাড়তে হু হু করে ঢুকে পড়েছে অপেক্ষাকৃত শীর্ণ কোশিতে। ফলে ফুলে ফেঁপে উঠছে নদী। চরম আতঙ্কে নদীপাড়ের গ্রামগুলির মানুষজন এলাকাবাসীরা জানালেন, প্রতিবছর কোশি ফুলেফেঁপে ওঠে ঠিকই, তবে এই নদী এমন ভয়াল রূপ ধরে না।
আরও পড়ুন: Coochbehar: পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবির বিরুদ্ধে এবার পথে নামছে তৃণমূল, ব্লকে ব্লকে শুরু প্রস্তুতি