Paschim Medinipur: স্কুলে ক্লাসরুম থেকে উদ্ধার গলায় ফাঁস দেওয়া মৃতদেহ, গড়বেতায় শিক্ষকের মৃত্যুতে রহস্য
Paschim Medinipur News: পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতায় স্কুলের ক্লাসরুম থেকে উদ্ধার ভূগোলের শিক্ষক নাসিমউদ্দিন খানের মৃতদেহ। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
সোমনাথ দাস, গড়বেতা: পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) গড়বেতায় (Garhbeta) এক শিক্ষকের (Teacher) রহস্যমৃত্যু (Mystery death)। স্কুলের (School) ক্লাসরুম (Class room) থেকে তাঁর গলায় ফাঁস লাগানো মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের (Cops) অনুমান, ওই শিক্ষক আত্মহত্যা (Suicide) করেছেন। পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, মৃত শিক্ষকের ডায়েরিতে স্পষ্ট, তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। তার ফলেই তিনি এই ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত শিক্ষকের নাম নাসিমউদ্দিন খান। তিনি ভূগোলের শিক্ষক ছিলেন। তাঁর বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায়। এই শিক্ষকের রহস্যমৃত্যুতে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। ঠিক কী কারণে তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন, সেটা কেউই বুঝতে পারছেন না।
আরও পড়ুন করোনাকালে বেকারত্ব-ঋণের জ্বালা, ৩ বছরে ২৫ হাজারের বেশি আত্মহত্যা ভারতে!
কিছুদিন আগে শিলিগুড়ির জ্যোতিনগরে এক উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। সাদা বোর্ডে জ্বলজ্বল করছে ধাপে ধাপে কষা অঙ্ক। তার নিচে বড় বড় করে লেখা ‘মা আই কুইট।’ তলায় লেখা দুপুর আড়াইটে। সঙ্গে একটা স্মাইলি। ঠিক এই অবস্থায় পাওয়া যায় শিলিগুড়ি বয়েজ হাই স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র সোমনাথ সাহার ঝুলন্ত দেহ।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ডিপ্রেসনে আত্মঘাতী হয়েছেন সোমনাথ। গোটা ঘটনায় হতভম্ব পরিবার-পরিজনরা। পরিবার ও স্কুল সূত্রে খবর, পড়াশোনায় ভাল ছিলেন সোমনাথ। মাধ্যমিকে ৯৩ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলেন তিনি। উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্টে পেয়েছিলেন ৮৫ শতাংশ নম্বর। এমন একজন পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুতে স্কুলের শিক্ষকরাও বিস্মিত।
পরিবার সূত্রে খবর, ঘটনার দিন দুপুর পর্যন্ত সোমনাথের আচরণে অস্বাভাবিকতা ছিল না। দুপুরের খাওয়া সেরে নিজের ঘরে পড়তে চলে চলে যান তিনি। বিকেলে ঠাকুমা ঘরে ঢুকে নাতিকে সিলিং থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন।
বাবা পেশায় ওষুধের দোকানের কর্মচারী। মা মনোরোগীদের কাউন্সেলিং করেন। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে স্কুল বন্ধ থাকায় দু’বছর ধরে বাড়িতেই চলছিল সোমনাথের পড়াশোনা। তার মধ্যেই কি তলে তলে ডিপ্রেসন গ্রাস করেছিল তাঁকে? যা বুঝতে পারেননি মনোরোগ বিশেষজ্ঞ মা-ও?