(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Paschim Medinipur: 'খেলনা' বন্দুক দেখিয়ে লুঠ ৪ লাখ টাকা! তদন্তে পুলিশ
Paschim Medinipur News: রাস্তার মাঝে ফিল্মি কায়দায় লুট। বাইক থেকে ঠেলে ফেলে দিয়ে লুট লক্ষাধিক টাকা। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার খেলনা বন্দুক।
বিশ্বজিৎ দাস, খড়্গপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর: রাস্তার মাঝে ফিল্মি কায়দায় লুট। বাইক থেকে ঠেলে ফেলে দিয়ে লুট লক্ষাধিক টাকা। পরে অভিযোগ পেয়ে এলাকায় যায় পুলিশ। তখন তল্লাশি চালাতেই ঘটনাস্থল থেকে খেলনা বন্দুক উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে খড়্গপুর-মেদিনীপুর রাজ্য সড়কের উপরে।
দোলের রাত। খড়্গপুরের দিক থেকে আসছিল একটি বাইক। খড়গপুর-মেদিনীপুর রাজ্য সড়কের উপর দিয়ে আসছিলেন এক মোটরবাইক শোরুমের কর্মী ষষ্ঠী মাহাতো। তাঁর সঙ্গেই ছিল ব্যবসার বিপুল পরিমাণ টাকা। মালিকের বাড়িতে টচাকা পৌঁছনোর জন্য ওই টাকা নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। ওই ব্যক্তির দাবি, রাজ্য সড়কের উপর দিয়ে সতকুই এলাকায় যখন তিনি পৌঁছন। ঠিক তখনই পিছনে একটি বাইকের উপস্থিতি দেখতে পান তিনি। সেই বাইক হঠাৎ গতি বাড়িয়ে তাঁর কাছে চলে আসে। তখনই বাইকের এক সওয়ারি কোনওভাবে লাথি বা ধাক্কা মারে তাঁকে। ভারসাম্য হারিয়ে রাস্তার উপর বাইক নিয়ে পড়ে যান তিনি। তাঁর দাবি, তখনই তিনি দেখতে পান ওই বাইকে তিনজন রয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদ করতেই অভিযুক্তরা পিস্তল বের করে বলে তাঁর দাবি। সঙ্গে দিতে থাকে হুমকিও। তারপরে মারধর করতে থাকে বলে অভিযোগ। বাইকে ছিল শোরুমের বিপুল পরিমাণ টাকা। সেই টাকার অঙ্কের পরিমাণ ৪ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা। বাইক হাতিয়ে পুরো টাকাটা নিয়েই চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ শোরুমের কর্মী ষষ্ঠী মাহাতোর।
ঘটনার পরে খড়্গপুর লোকাল থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন ওই ব্যক্তি। সঙ্গে সঙ্গে ওই এলাকায় যায় পুলিশ, সেখানেই তল্লাশি করতে গিয়ে একটি খেলনা বন্দুক উদ্ধার করা হয়। পুলিশের একটি সূত্রে দাবি, ওই খেলনা পিস্তল দেখিয়েই লুঠ করা হয়েছে টাকা। কিন্তু দুষ্কৃতীরা কীভাবে জানল যে ওই ব্যক্তির কাছে টাকা রয়েছে? তাহলে কী শোরুম থেকেই ফলো করা হচ্ছিল? গোটা ঘটনায় কী ভিতরের কেউ জড়িত? উঠছে এমনই নানা প্রশ্ন। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: স্বল্প খরচে মুক্ত চাষ, ভিন্ন পদ্ধতিতে রোজগারের নতুন দিশা