Hookah Bar closing: হুক্কা বার বন্ধের অভিযানে পুলিশ, টালা ও পার্ক স্ট্রিট থেকে গ্রেফতার ৩ জন
Hookah Bar: শহরের সব হুক্কাবার বন্ধ করার কলকাতা পুরসভার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন মেয়র। এই প্রেক্ষাপটে রাতেই শহরের ২ জায়গায় হুক্কা বারের বিরুদ্ধে অভিযান চালাল পুলিশ।
ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী ও আবির দত্ত, কলকাতা : বেআইনি হুক্কা বার (Hookah Bar) চালানোর অভিযোগে টালা (Tala) ও পার্ক স্ট্রিট (Park Street) থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। গতকাল রাতে ওই দুই জায়গায় পুলিশ অভিযান চালায়। দু’জায়গা থেকেই বেশ কিছু সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
পুরসভার সিদ্ধান্ত: শহরের সব হুক্কাবার বন্ধ করার কলকাতা পুরসভার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন মেয়র। এই প্রেক্ষাপটে রাতেই শহরের ২ জায়গায় হুক্কা বারের বিরুদ্ধে অভিযান চালাল পুলিশ। টালা থেকে গ্রেফতার করা হল একজন, পার্ক স্ট্রিট থেকে দু’জনকে।
শুক্রবার টালা থানা এলাকার বিধান সরণিতে একটি রেস্তোরাঁর নীচে হুক্কা বার চালানোর অভিযোগে হানা দেয় পুলিশ। এখান থেকে গ্রেফতার করা হয় একজনকে। পার্ক স্ট্রিটের মুজফফর আহমেদ স্ট্রিটে হুক্কা বার চালানোর অভিযোগে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, অনেক ক্ষেত্রেই হুক্কা বারের আড়ালে নেশার আসর বসানো হয়। সে কারণেই হুক্কা বার বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুরসভা।
গত ২ ডিসেম্বর শহরের সমস্ত হুক্কা বার বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা পুরসভা। হুক্কা বারের আড়ালে নিষিদ্ধ মাদকের ব্যবহারের অভিযোগ আসছে। ব্যবহার করা হচ্ছে ক্ষতিকারক রাসায়নিক। অভিযোগ করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। জানিয়েছেন, শীঘ্রই প্রকাশ করা হবে হুক্কাবার বন্ধের বিজ্ঞপ্তি।
এ ছবি আর দেখা যাবে না কলকাতায়! শহরের সব হুক্কাবার বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পুরসভা। অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশ। সঙ্গে ধোঁয়ায় সুখটান! গত কয়েক বছরে কলকাতার একাধিক জায়গায় শুরু হয়েছিল হুক্কা বার! এবার সেগুলিই বন্ধ করে দেওয়ার পথে হাঁটতে চলেছে কলকাতা পুরসভা।
কিন্তু কেন? মেয়রের দাবি, খারাপ রাসায়নিক ব্যবহারের ফলে শরীরে ক্ষতি হচ্ছে। এমনকি, হুক্কার সঙ্গে নেশার সামগ্রী মেশানো হচ্ছে বলেও, অভিযোগ আসছে।
কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম এদিন বলেন, এই রেস্ট্রুরেন্টে খারাপ জিনিস হচ্ছে। যে কেমিক্যাল ব্যবহার হচ্ছে সেই ধোয়াটা হেলথের পক্ষে ক্ষতিকর। আমার কাছে প্রমাণ নেই, তবে অভিযোগ উঠছে কোথাও কোথাও নেশার জিনিস মেশানো হয়েছে। যাতে বারবার যেতে বাধ্য হচ্ছে। হুক্কা বার বন্ধে নজরদারি চালাতে পুলিশের সঙ্গেও কথা বলেছেন মেয়র।