Post Poll Violence: শেখ সুফিয়ানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা সিবিআই-এর
গতকালই সুপ্রিম কোর্টে খুনের মামলায় আগাম জামিন পান সুফিয়ান। এ বিষয়ে সুফিয়ানের দাবি চক্রান্ত করে মিথ্যে মামলা বিজেপির, ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে তাঁকে।
নন্দীগ্রাম: খুনের পর এবার শেখ সুফিয়ানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা। নন্দীগ্রামে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে ধর্ষণের অভিযোগে এফআইআর দায়ের করল সিবিআই। তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান-সহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ভোটের পর মে মাসে নন্দীগ্রামে ধর্ষণের মামলায় এফআইআর করা হল। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই অভিযোগকারিণীর সঙ্গে কথা বলেছে সিবিআই। গতকালই সুপ্রিম কোর্টে খুনের মামলায় আগাম জামিন পান সুফিয়ান। এ বিষয়ে সুফিয়ানের দাবি চক্রান্ত করে মিথ্যে মামলা বিজেপির, ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে তাঁকে।
উল্লেখ্য তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শেখ সুফিয়ানের আগাম জামিনের মামলায় রায়দান স্থগিতের নির্দেশ দেওয়া হয় গত ৪ ফেব্রুয়ারি। শুনানি শেষ হওয়ার পর রায়দান স্থগিত রাখে সুপ্রিম কোর্ট।
এর আগে শেখ সুফিয়ানের আগাম জামিনের মামলা খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন শেখ সুফিয়ান। আজ সেই মামলাতেই রায়দান স্থগিত রাখল সুপ্রিম কোর্ট। বিধানসভা নির্বাচনের সময় নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন শেখ সুফিয়ান। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি কর্মীকে খুনের অভিযোগে মামলা রুজু করে সিবিআই।
বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পরের দিন ৩ মে বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতিতে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। তদন্তে একাধিকবার উঠে এসেছে শেখ সুফিয়ানের নাম, এমনই খবর সিবিআই সূত্রে।
৩ মে দেবব্রতকে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে রাস্তার ওপরে ফেলে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তারপর ১৩ মে এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্যু হয় দেবব্রতর। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগের তদন্ত করতে কিছুদিন আগে নন্দীগ্রামে পৌঁছন সিবিআই-এর এক প্রতিনিধি দল। নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। সেই ঘটনায় কারা যুক্ত ছিলেন সেই সব বিষয়ে সিবিআই আধিকারিকরা জানতে চান পরিবারের সদস্যদের কাছে। কিন্তু সূত্রের খবর, প্রথমে পরিবারের সদস্যরা কিছু জানাতে চাননি সিবিআই আধিকারিকদের।
তখন সিবিআই আধিকারিকরা পরিবারের সদস্যদের কাছে জানতে চান কেন তারা কারও নাম বলতে চাইছেন না? তখন দেবব্রতর পরিবারের সদস্যরা বলেন, ‘আপনারা তো চলে যাবেন, তারপর আমাদের নিরাপত্তার কী হবে? ওদের নাম বললে, ওরা আমাদের ক্ষতি করবে।’ তখন সিবিআই আধিকারিকরা তাঁদের বলেন, ‘আপনারা নির্ভয়ে বলুন, আপনাদের নিরাপত্তার বিষয়টি সুনিশ্চিত করা হবে।’ এরপর সিবিআই-এর নির্দেশে দেবব্রতর বাড়িতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।