Primary TET Case : '২৬৯ জনকে কেন এক নম্বর বাড়তি দেওয়া হল?' আদালতের প্রশ্নে কী জানাল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ
Primary TET: ২০১৪’র টেটের পর ২০১৬ সালে নিয়োগের প্রথম প্যানেল প্রকাশ করা হয়। ২০১৭ সালে প্রকাশ পায় নিয়োগের দ্বিতীয় তালিকা। সেখানে ২৬৯ জন প্রার্থীর নাম ছিল।
সৌভিক মজুমদার, কলকাতা : ২০১৪’র প্রাথমিক টেটে (TET ) দুর্নীতি মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের (CBI) হাতে তুলে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) । পাশাপাশি ২৬৯ জনকে প্রাথমিক শিক্ষকের পদ থেকে বরখাস্ত করা এবং অবিলম্বে বেতন বন্ধের নির্দেশও দেন বিচারপতি। আদালতের নির্দেশে গত ১৩ জুন সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ও পর্ষদের সচিব।
প্রেক্ষাপট
সেই মামলার শুনানিতে বৃহস্পতিবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানায় ‘২৬৯ নয়, বাড়তি ১ নম্বর করে দেওয়া হয়েছিল ২৭৩ জনকে’। আদালতে পেশ করা রিপোর্টে জানায় পর্ষদ। জানানো হয়, ‘টেট-প্রশ্নপত্রে ভুল রয়েছে, নম্বর বাড়ানো হোক, এই মর্মে জমা পড়ে ২,৭৮৭টি আবেদনপত্র। এঁদের মধ্যে ২৭৩ জন প্রশিক্ষিত প্রার্থীকে বাড়তি ১ নম্বর করে দেওয়া হয়েছিল।
টেট ২০১৪ অফলাইনে হয়েছিল, অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের তালিকা পর্ষদের কাছে ছিল না’, আদালতে পেশ করা রিপোর্টে জানাল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
২০১৪’র টেটের পর ২০১৬ সালে নিয়োগের প্রথম প্যানেল প্রকাশ করা হয়। ২০১৭ সালে প্রকাশ পায় নিয়োগের দ্বিতীয় তালিকা। সেখানে ২৬৯ জন প্রার্থীর নাম ছিল। অভিযোগ, তাঁদের সকলকে বাড়তি এক নম্বর করে দেওয়া হয়। গত ১৩ জুন এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, এই ২৬৯ জনকে কেন এক নম্বর বাড়তি দেওয়া হল? উত্তরে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী জানান, ২০১৪’র টেটে প্রশ্নপত্রে একটি প্রশ্ন ভুল ছিল। তাই এক নম্বর করে বাড়তি দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি পাল্টা প্রশ্ন তোলেন, সেবার পরীক্ষা দিয়েছিলেন ২৩ লক্ষ পরীক্ষার্থী, তাহলে সবাইকে এক নম্বর করে না দিয়ে, কেন শুধু ২৬৯ জনকে বাড়তি নম্বর দেওয়া হল?
এর কোনও গ্রহণযোগ্য উত্তর সেদিন দিতে পারেনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এরপরই এই মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, 'প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, এই নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। তাই অবিলম্বে এই মামলায় FIR দায়ের করে সিবিআইকে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। নম্বর বাড়ানো ও নতুন প্যানেল প্রকাশের বিষয়ে কেন বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়নি', সেই প্রশ্নও তোলেন বিচারপতি।