East Burdwan News: কম্বল বিতরণের টাকা চেয়ে না পেতেই দোকানের কর্মীকে মার, কাঠগড়ায় TMC নেতা
Allegation Against TMC Leader: ১০০ কম্বলের টাকা চেয়ে না পেতেই ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের এক কর্মীকে মারধর, কী বলছেন তৃণমূল নেতা ?
কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: কম্বল বিতরণের জন্য টাকা চেয়ে না পেয়ে গালিগালাজ ও মারধরের অভিযোগ। তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) উদ্যোগে আয়োজিত হবে কম্বল প্রদান অনুষ্ঠান। তাই ১০০ কম্বলের টাকা চেয়ে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মীকে চাপ ও গালিগালাজের অভিযোগ। এমনকি প্রতিবাদ করলে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। 'আমি সাধারণকর্মী। যা বলার মালিককে বলবেন' বলতেই কর্মীকে মারধর ও গালিগালাজের অভিযোগ স্থানীয় তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত স্থানীয় তৃণমূল নেতা। ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান ১ নং ব্লকের ভোতারপাড় এলাকায়।
নিজেকে 'দলীয় কর্মী' বলে পরিচয় দিয়েও মেলেনি ছাড়
অভিযোগকারী ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান কর্মী সেখ আরজুর অভিযোগ, 'আগামী রবিবার ভোতারপাড় এলাকায় স্থানীয় তৃণমূল নেতা সেখ মালেকের উদ্যোগে একটি কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠান করা হবে বলে জানিয়ে ১০০ পিস কম্বলের টাকা দিতে হবে বলে, আমাকে জানানো হয়।আমিও তৃণমূল করি আমি তাঁদের জানাই, আমি নিতান্ত একজন কর্মচারী। তাই যা বলার মালিককে বলুন।কিন্তু সেই কথায় কর্ণপাত না করে ওই কম্বলের টাকা আমাকেই দিতে হবে বলে সেখ মালেকের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন আমাকে গালিগালাজ করে। আমি প্রতিবাদ করলে তারা আমার উপর চড়াও হয় ও মারধর করে।'
অভিযোগ অস্বীকার ,ঘটনাকে ঘিরে শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর
যদিও তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত সেখ মালেক। বর্ধমান থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের অভিযোগকারীর।অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ। ঘটনাকে ঘিরে শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর। প্রসঙ্গত, রাজ্যের বুকে কম্বল বিতরণ নিয়ে এর আগেও অঘটন ঘটেছে।
আরও পড়ুন, বড়দিনে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ছে কলকাতা, থাকবে কুইক রেসপন্স টিম, অ্যাম্বুল্যান্স
কম্বল বিতরণ নিয়ে এর আগেও অঘটন
গত ১৪ ডিসেম্বর আসানসোলে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়েছিল। হুড়োহুড়ির মধ্যে প্রাণ গিয়েছিল তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রী-সহ তিন জনের। ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের ওই অনুষ্ঠানের অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন, স্থানীয় বিজেপি কাউন্সিলর ও পুরসভার বিরোধী দলনেত্রী চৈতালি, যিনি জিতেন্দ্রর স্ত্রী। ওই কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি বেরিয়ে যাওয়ার পরই হুলস্থুল বাধে বলে জানা গিয়েছিল।সেই ঘটনায় পুলিশের এফআইআর-এ জিতেন্দ্র, তাঁর স্ত্রী চৈতালি তিওয়ারি-সহ একাধিক নাম ছিল। অনিচ্ছাকৃত খুন ও খুনের চেষ্টার ধারায় মামলা রুজু করেছিল পুলিশ।