East Burdwan : দেওয়ানদিঘির পিলখুড়িতে নবান্ন উৎসবের প্রসাদ খেয়ে অসুস্থ শতাধিক
Nabanna Festival : বৃহস্পতিবার গ্রামে নবান্ন উৎসব ছিল। সেই উপলক্ষে শতাধিক মানুষের সমাগম হয়...
কমলকৃষ্ণ দে, দেওয়ানদিঘি(পূর্ব বর্ধমান) : নবান্ন উৎসবের প্রসাদ খেয়ে অসুস্থ শতাধিক। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ১৪ জনকে ভর্তি করা হয়েছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় গ্রামে পাঠানো হয় মেডিক্যাল টিম। পূর্ব বর্ধমানের দেওয়ানদিঘি থানার পিলখুড়ি গ্রামের ঘটনা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার গ্রামে নবান্ন উৎসব ছিল। সেই উপলক্ষে শতাধিক মানুষের সমাগম হয়। নবান্নের পুজোর পর সকলকে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। তারপর থেকেই ডায়েরিয়ার উপসর্গ নিয়ে শতাধিক গ্রামবাসী অসুস্থ হতে শুরু করে।
পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ বাগবুল ইসলাম জানান, অসুস্থতার খবর আসতেই দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। গ্রামে মেডিক্যাল টিম পাঠানো হয়। গ্রামে যান প্রশাসনিক আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিরা। আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
প্রসঙ্গত, গত অগাস্ট মাসে বাঁকুড়ার বোলাড়া গ্রামে থাবা বসায় ডায়েরিয়া। গ্রামে প্রায় চল্লিশ জন আক্রান্ত হন এই রোগে। ঘটনার খবর পেয়ে গ্রামে তড়িঘড়ি পৌঁছয় স্বাস্থ্য দফতরের দল। এছাড়াও ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক, বিডিও ও পঞ্চায়েত সমিতির পদাধিকারীরা গ্রামে গিয়ে চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থার আশ্বাস দেন।
বাঁকুড়ার ১ নম্বর ব্লকের বোলাড়া গ্রামের নাপিত পাড়ায় মেরেকেটে বসবাস করে পঞ্চাশটি পরিবার। এই গ্রামে হঠাৎ করে একে একে অসুস্থ হতে শুরু করে গ্রামবাসী। ঘন ঘন পাতলা পায়খানা, বমি, পেটে ব্যথা-সহ বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে।
প্রাথমিক তদন্তে স্বাস্থ্য দফতর ধারণা করে, মনসা পুজোয় প্রসাদ খেয়ে বিষক্রিয়ার কারণেই এই ঘটনা। যদিও গ্রামবাসী দাবি জানায়, নলবাহিত পরিশ্রুত পানীয় জলের যথেষ্ট কল নেই গ্রামে। অভাবে নলকূপের দূষিত জল খেতে গিয়েই এই বিপত্তি ঘটেছে।
এছাড়া সেপ্টেম্বর মাসে কামারহাটিতে ডায়েরিয়ার প্রকোপে ২ মহিলার মৃত্যু হয়। কামারহাটির ২ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ডায়েরিয়ার প্রকোপ বাড়তে থাকে। কেএমডিএ না কামারহাটি জুট মিলের জল থেকে সংক্রমণ ? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।