Purba Bardhaman News: কালনায় ভাগীরথীর পাড়ে বড় ফাটল, রাত বাড়তেই ঘুম উড়ল স্থানীয় বাসিন্দাদের
Bhagirathi River Erosion : রাত বাড়তেই চওড়া হচ্ছে নদী ভাঙন, ঘুম উড়ল স্থানীয় বাসিন্দাদের...
![Purba Bardhaman News: কালনায় ভাগীরথীর পাড়ে বড় ফাটল, রাত বাড়তেই ঘুম উড়ল স্থানীয় বাসিন্দাদের Purba Bardhaman News Major cracks found , Bhagirathi River erosion Purba Bardhaman News: কালনায় ভাগীরথীর পাড়ে বড় ফাটল, রাত বাড়তেই ঘুম উড়ল স্থানীয় বাসিন্দাদের](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2024/03/19/3dbeb47d82daf04f5b10680dbb2c10201710845861759484_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
রাণা দাস, পূর্ব বর্ধমান: কালনায় ভাগীরথী নদীর পাড়ে বড়সড় ফাটল। ধসে পড়ছে মাটির চাঙড় ( Bhagirathi River erosion)। যত রাত বাড়ছে বেড়ে চলেছে ফাটল, ধস ও নদী ভাঙ্গন। আতঙ্কে কালনা শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের জাপট এলাকার নদীপারের বাসিন্দারা। রাতেই খবর পেয়ে ছুটে আসে কালনা থানার পুলিশ। আসেন পুর প্রতিনিধিরাও। আসেন কালনার মহকুমা শাসক।
এলাকাবাসীদের কথায়, 'সোমবার সকালে জাপট ফেরিঘাট থেকে কিছুটা দূরে নদী পারে সামান্য ফাটল দেখা গিয়েছিল। আচমকাই সন্ধ্যার পর থেকে আনুমানিক এক কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত গভীর ফাটল দেখা দেয়। সেই সঙ্গে ধসে পড়তে থাকে বড় বড় নদী পারের মাটির চাঙর। রাত বাড়তেই সঙ্গে নদী ভাঙন বেড়ে চলায় ঘুম উড়ছে নদী পারের বসবাসকারী বাসিন্দাদের।নদী পার থেকে সামান্য দূরত্বে রয়েছে বাড়িঘর। যদিও মহকুমা শাসক শুভম আগরওয়াল জানিয়েছেন, 'কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বেশ কিছু অংশ ভেঙে গিয়েছে। রাতে আমরা এখানে সিভিল ডিফেন্স মোতায়েন করছি। আগামীকাল সকাল থেকে ইরিগেশন ডিপার্টমেন্ট এসে কাজ শুরু করবে।অন্য দিকে এই বিপর্যয় ঠেকাতে কালনা পুরসভা ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছে।'
বাইশ সালের সেপ্টেম্বরেও এমন ভয়াবহ ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছিল মালদা। মূলত ভূতনির চরে ভাঙন ধরাচ্ছে গঙ্গা ও কোশি নদী। মানিকচকের পাশাপাশি, গতবছর ভাঙন চলেছিল রতুয়াতেও। বিলাইমারি ও মহানন্দাটোলা এলাকায় কোশি নদীর পাড়ে ভাঙন ধরে। নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছিল কৃষি জমি।গঙ্গার পাশাপাশি রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছিল সেবার কোশি নদীও। যার জেরে ভয়াবহ ঘটনা ঘটে গিয়েছিল মালদায়। গঙ্গা গর্ভে তলিয়ে গিয়েছিল বাঁধের ১০০ মিটার অংশ। মালদার মানিকচকের ভুতনির চরের কালুটন এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছিল। আতঙ্কে সেসময়ও অন্যত্র চলে গিয়েছিলেন স্থানীয়রা। গ্রামবাসীদের দাবি ছিল, গঙ্গা গর্ভে বিলীন হয়ে যায় চার-চারটি বাড়ি। খবর পেয়ে সেসময় ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান সেচ দফতরের কর্মীরা।
আরও পড়ুন, প্রচারে বেরিয়ে কিডনি রোগীকে আর্থিক সাহায্য, নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগ TMC-র বিরুদ্ধে
অসহায় বাসিন্দারা ঘর বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার ঘটনারও ভুরিভুরি উদাহরণ রয়েছে। গত কয়েক বছরে কয়েক হাজার পরিবার ভাঙনের কারণে উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়েছে।কিন্তু মালদার এহেন পরিস্থিতিতে বারবার উঠে এসেছে এক রাজনৈতিক দৃশ্য। কে নেবে গঙ্গা ভাঙন রক্ষার দায় ? এনিয়ে আগেও শাসকদল ও বিরোধীদের মধ্য়ে চাপান উতোর দেখা গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই বিরোধীরা এমনই এক ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ভুক্তভুগীদের পুনবার্সনের কথা তুলেছে বারবার।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)