(Source: Poll of Polls)
Lok Sabha Polls 2024: প্রচারে বেরিয়ে কিডনি রোগীকে আর্থিক সাহায্য, নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগ TMC-র বিরুদ্ধে
Malda Violating Code of Conduct : প্রচারে বেরিয়ে পরিযায়ী শ্রমিককে আর্থিক সাহায্য করাই কি কাল হল ? নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গের অভিযোগ শাসকদলের জেলা পরিষদ সদস্য বুলবুল খানের বিরুদ্ধে..
অভিজিৎ চৌধুরী, মালদা: নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গ (Violating Code of Conduct) করে দুই অসুস্থ পরিযায়ী শ্রমিককে আর্থিক সাহায্য করার অভিযোগ উঠল শাসকদলের জেলা পরিষদ সদস্য বুলবুল খানের বিরুদ্ধে। আর এই নিয়ে সরব হয়েছেন এলাকার বিরোধী দলগুলি। তারা ইতিমধ্যেই বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) নজরে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অবিলম্বে শাসক দলের জেলা পরিষদ সদস্য বুলবুল খানের বিরুদ্ধে তাঁরা নির্বাচন কমিশনের অভিযোগ জানাবেন।
সোমবার শাসকদলের জেলা পরিষদ সদস্য বুলবুল খান প্রচারে বেরিয়ে তার নিজস্ব সংসদ এলাকায় দুই পরিযায়ী শ্রমিকের বাড়িতে গিয়ে তাঁদের আর্থিক সাহায্য করেন।হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের সাদলিচক গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর কুমেদপুরের বাসিন্দা আসগার আলি (৪৫)। সক্রিয় ভাবে শাসক দলের সঙ্গে যুক্ত। দীর্ঘদিন কিডনির রোগে ভুগছেন।পরিবারে আর্থিক সচ্ছলতা নেই।ফলে চিকিৎসা করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন।আবার ওই গ্রাম পঞ্চায়েতেরই উত্তর তালগ্রামের বাসিন্দা পরিযায়ী শ্রমিক আমিজুল হক (৩০)। কেরলে কাজ করতেন। সেখানে কাজ করতে গিয়েই পড়ে গিয়ে পায়ে গুরুতর আঘাত পান। ভেঙে যায় ডান পা। তারপর থেকেই অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতে রয়েছেন। এই দুই অসহায় ব্যক্তির খবর পান স্থানীয় জেলা পরিষদ সদস্য বুলবুল খান। খবর পেয়েই সোমবার সকালে দুইজনের বাড়িতেই যান। তাঁদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন। ব্যক্তিগতভাবে আর্থিক সাহায্য তুলে দেন। সাহায্য দেওয়ার ভিডিও প্রকাশ্যে চলে এসেছে এবং নিজের মুখে এ সাহায্যের কথা স্বীকারও করে নিয়েছেন শাসকদলের দাপুটে নেতা বুলবুল খান।
আরও পড়ুন, 'ক্ষমা করে দেবেন ..', ভোট প্রচারে গিয়ে কেন বললেন কোচবিহারের TMC প্রার্থী জগদীশ বর্মা ?
যদিও বুলবুলের সাফাই,' আমি সারা বছরই অসহায় মানুষদের পাশে থাকি, তাদের নিজের ক্ষমতা অনুযায়ী সাহায্য করি আজও করেছি। এর মধ্যে রাজনৈতিক কোনও উদ্দেশ্য নেই। আমি সারা বছর জাতি ধর্ম নির্বিশেষে দরিদ্র মানুষদের সাহায্য করি। বিরোধীরা আমার নামে কুৎসা রটানোর জন্য এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছে। কংগ্রেস নেতা আব্দুস শোভান জানান, 'এটা তৃণমূলের সংস্কৃতি নির্বাচনের আগে মানুষকে টাকা-পয়সা ছড়িয়ে বিভ্রান্তি করতে চাইছে। আমরা এর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে যাব।' বিজেপি নেতা কিষাণ কেডিয়া বলেন,'ভোট আসছে তৃণমূল বুঝে গিয়েছে ওদের পায়ের তলায় আর মাটি নেই। তাই কোথাও পয়সা ছড়িয়ে কোথাও ভয় দেখিয়ে এখন ভোট কিনতে চাইছে আমরা অবিলম্বে এর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের অভিযোগ জানাব।'