Purba Bardhaman: নদী গর্ভে বিলীন চাষের জমি-কংক্রিটের ফেরি ঘাট, মাথায় হাত কাটোয়ার বাসিন্দাদের
Purba Bardhaman News: কৃষক বিজয় ঘোষ বলেন, '৭ বিঘা জমি ছিল। এখন দেড় বিঘাতে এসে দাঁড়িয়েছে। প্রচুর কৃষকের জমি নদী গর্ভে চলে গিয়েছে।' ভাঙন ঠেকাতে সেচ দফতরের উদাসীনতাকেই দায়ী করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
রাণা দাস, পূর্ব বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) কাটোয়ায় (Katwa) অজয় ও ভাগীরথীর মিলনস্থলে ২ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে শুরু হয়েছে ভাঙন। নদী গর্ভে বিলীন চাষের জমি থেকে কংক্রিটের ফেরি ঘাট। ভাঙন ঠেকাতে সেচ দফতরকে চিঠি কাটোয়া পুরসভার। বর্ষার পর শুরু হবে কাজ, জানিয়েছে সেচ দফতর (Irrigation Department)।
নদী গর্ভে মিলিয়ে যাচ্ছে চাষের জমি
একটু একটু করে চাষের জমি গিলে খাচ্ছে নদী। করাল ভাঙনে বিলীন কংক্রিটের ফেরি ঘাটও। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় অজয় ও ভাগীরথীর মিলনস্থল শাখায় ঘাট থেকে বাদরার দিকে, প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে শুরু হওয়া ভাঙনে, দিনে দিনে বাড়ছে আতঙ্ক।
এলাকাবাসীদের দাবি, ৫ বছর আগেই এই এলাকায় ভাঙন শুরু হয়। গত বছর ভয়াবহ রূপ নিয়েছিল সেই ভাঙন।
কাটোয়ার কৃষক বিজয় ঘোষ বলেন, '৭ বিঘা জমি ছিল। এখন দেড় বিঘাতে এসে দাঁড়িয়েছে। প্রচুর কৃষকের জমি নদী গর্ভে চলে গিয়েছে।' ভাঙন ঠেকাতে সেচ দফতরের উদাসীনতাকেই দায়ী করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
কাটোয়ার অপর কৃষক কৌশিক হালদারের কথায়, 'প্রতি বছর সেচ দফতরের লোকজন আসে। মাপ নেয়। বলে পাথর ফেলব। কিছুই করে না। শুধু বালি ফেলে। নদীর জলে সেই বালি ধুয়ে যাচ্ছে।'
ইতিমধ্যে সেচ দফতরকে পাঠানো হয়েছে চিঠি
ভাঙন ঠেকাতে ইতিমধ্যেই সেচ দফতরকে চিঠি দিয়েছে কাটোয়া পুরসভা। কিন্তু, দফতরের তরফে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ পুর কর্তৃপক্ষেরও।
কাটোয়া পুরসভার পুরপ্রধান সমীর সাহা বলেন, 'আমরা চিঠি দিয়েছি। সেচ দফতরের গাফিলতি আছে। এখনও সতর্ক না হলে কাটোয়া শহর প্লাবিত হবে।'
কাটোয়ার তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'সেচ দফতর বালির বস্তা ফেলছে। এটা ঠিক হচ্ছে না। এভাবে ঠেকো দিয়ে কাজ করা ঠিক নয়। আমি মন্ত্রীকে জানাব।'
অন্য সেচ দফতরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার জানিয়েছেন, ১৩০০ মিটার নদীবাঁধ মেরামতির জন্য ডিটেলস প্রজেক্ট রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। কোটি টাকার বেশি খরচ হবে। বর্ষার আগে কাজ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা কম।