Burdwan : প্রায় ৪১ কেজি গাঁজা ও নগদ টাকা উদ্ধার, বর্ধমানে ২ মহিলা-সহ গ্রেফতার ৩
Three Arrested : এই বিপুল পরিমাণ গাঁজা আনা হয়েছিলো তার সামগ্রিক তথ্য জানতে তদন্ত শুরু করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ
![Burdwan : প্রায় ৪১ কেজি গাঁজা ও নগদ টাকা উদ্ধার, বর্ধমানে ২ মহিলা-সহ গ্রেফতার ৩ Purba Burdwan : Three including two women arrested with ganja and cash from Burdwan town Burdwan : প্রায় ৪১ কেজি গাঁজা ও নগদ টাকা উদ্ধার, বর্ধমানে ২ মহিলা-সহ গ্রেফতার ৩](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2022/08/18/b61f574a3ef273dd985a36cedce5dc2b1660811462598170_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
কমলকৃষ্ণ দে, বর্ধমান : বিপুল পরিমাণ গাঁজা ও নগদ টাকা-সহ তিন জনকে গ্রেফতার (Arrest) করল বর্ধমান (Burdwan) থানার পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে দুই জন মহিলা। উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় ৪১ কেজি গাঁজা ও নগদ ১ লক্ষ ৬০ হাজার ৪৪০ টাকা। বর্ধমান শহরের লক্ষ্মীপুরমাঠ এলাকার ঘটনা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকালে খবর পেয়ে বর্ধমান শহরের লক্ষ্মীপুরমাঠ এলাকায় ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের অফিসারের উপস্থিতিতে অভিযান চালায় বর্ধমান থানার পুলিশ। উদ্ধার করা হয় প্রায় ৪১ কেজি গাঁজা ও নগদ ১ লক্ষ ৬০ হাজার ৪৪০ টাকা। গাঁজা মজুত ও বিক্রি করার অভিযোগে বিজয় দাস, মানা দাস ও গীতা পাসওয়ান নামে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়।
এই চক্রের সাথে আর কারা কারা জড়িত, কোথা থেকে এই বিপুল পরিমাণ গাঁজা আনা হয়েছিলো তার সামগ্রিক তথ্য জানতে তদন্ত শুরু করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন ; ভেস্তে গেল মাদক পাচারের ছক, জলপাইগুড়িতে উদ্ধার ৩ কুইন্টাল গাঁজা
প্রসঙ্গত, গত মে মাসে ভিন রাজ্য থেকে গাঁজা আমদানি করা হচ্ছিল বস্তা বস্তা (Marijuana Smuggling)। পুলিশ প্রশাসনের চোখে ধুলো দিতে ব্যবস্থাপনাও ছিল অভিনব। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গা বাঁচানো যায়নি না। বরং বস্তা বস্তা গাঁজা সমেত ধরা পড়ে ছ'জন। ওড়িশা থেকে ওই বস্তা বস্তা গাঁজা আনা হচ্ছিল। স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের (STF) আধিকারিকদের হাতে গ্রেফতার হয় ওই ছ'জন।
বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার-
পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman News) দুর্গাপুরের শ্যামপুরের কাছে একটি ট্রাক থেকে নয় নয় করে মোট ২২ বস্তা গাঁজা উদ্ধার করা হয়। সব মিলিয়ে ওজন হবে প্রায় ৩৫০ কেজি। এই বিপুল পরিমাণ গাঁজার দাম আন্তর্জাতিক বাজারে কয়েক লক্ষ টাকা। ট্রাকের মধ্যে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে আনা হচ্ছিল।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওড়িশার নম্বর প্লেট বসানো ট্রাকে চাপিয়ে পাচার করা হচ্ছিল ওই বিপুল পরিমাণ গাঁজা। গোপন সূত্রে সেই খবর এসে পৌঁছেছিল পুলিশের কাছে। সেই মতো ওঁত পেতে ছিলেন স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের আধিকারিকরা। দুর্গাপুর ব্যারেজ সংলগ্ন শ্যামপুরের কাছে ট্রাকটিকে আটকান তাঁরা।
তবে ট্রাক আটকালেও, কার্যত খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছিল আধিকারিকদের। কারণ ট্রাকে উঠেও গাঁজার নামগন্ধ পাননি তাঁরা। কারণ ধৃতরা অত্যন্ত কৌশলে বস্তাগুলি লুকিয়ে রেখেছিল।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ট্রাকের পিছনে ডালা চাপা দেওয়া অবস্থায় দেখা যায় লোহার বিশেষ কিছু ব্লক। সুন্দর ভাবে ভাগ ভাগ করে সাজানো ছিল সেগুলি। আর ওই প্রত্যেক ব্লকে একটি করে সাদা বস্তা রাখা ছিল। উপর থেকে কাঠের পাটাতন দিয়ে ঢাকা ছিল সবকিছু। ফলে বোার উপায় ছিল না একেবারেই।
এই ঘটনায়, শেখ বসির, আনন্দ, ঝন্টু, সঞ্জয়, কার্তিক এবং দেবজ্যোতি নামের ছ'জনকে গ্রেফতার করা হয়।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)