Purba Medinipur: শুভেন্দুর বাড়ি সামনে পুলিশের টহল, তীব্র ক্ষোভ বিজেপির
Purba Medinipur News: ইতিমধ্যেই নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর অফিসে পুলিশের অভিযানের অভিযোগ নিয়ে মুখ্যসচিবের কাছে জবাব চেয়েছেন খোদ রাজ্যপাল।
ঋত্বিক প্রধান, অনির্বাণ বিশ্বাস ও বিশ্বজিৎ দাস, পূর্ব মেদিনীপুর: কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় পুলিশের টহল। গোটা ঘটনায় নজরদারির অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। যদিও, তা মানতে নারাজ তৃণমূল। এর মধ্যেই, নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর অফিসে পুলিশের অভিযানের অভিযোগ নিয়ে মুখ্যসচিবের কাছে জবাব চেয়েছেন খোদ রাজ্যপাল। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দফতরে রবিবার পুলিশি অভিযানের অভিযোগ ঘিরে ইতিমধ্যেই তুঙ্গে বিতর্ক। আর তার পরের দিনই কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির সংলগ্ন এলাকায় পুলিশের তৎপরতা ঘিরে তুঙ্গে উঠল চাপানউতোর।
কাঁথি কলেজের সামনেই রয়েছে অধিকারী পরিবারের বাড়ি শান্তিকুঞ্জ। সোমবার সকালে দেখা যায়, শান্তিকুঞ্জের আশপাশের রাস্তায় টহল দিচ্ছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, এটা রুটিন টহল। যদিও বিজেপির দাবি, পুলিশ-প্রশাসনকে ব্যবহার করে শুভেন্দু অধিকারীর উপর নজরদারি চালানো হচ্ছে। কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুদাম পণ্ডিত বলেন, 'বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে নজরদারি চালানো হচ্ছে।' অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের নেতা তরুণকুমার মাইতি বলেন, 'আইন আইনের মতো কাজ করছে। ওদের কাজই হচ্ছে শুধু অভিযোগ করা।' রবিবার শুভেন্দু অধিকারীর দফতরে পুলিশি অভিযানের অভিযোগ করে, মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন রাজ্যপাল। মুখ্যসচিবকে দেখাও করতে বলেছেন তিনি। এরপর সোমবার রাজ্যপাল ট্যুইট করে বলেন, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, রাজ্যের মদতে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত, তাঁর নন্দীগ্রামের অফিস-বাসভবনে, বেআইনিভাবে ঢুকেছে বিশাল সংখ্যক পুলিশ ও র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স। এই ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এব্যাপারে সকাল ১১টার মধ্যে মুখ্যসচিবের কাছে জবাব চেয়েছি।
CS @chief_west response sought by 11 AM tomorrow on the worrisome inputs @SuvenduWB LOP WBLA of state sponsored targeted political vendetta, at his MLA office-cum-residence at Nandigram that has been criminally trespassed by a large contingent @WBPolice & Rapid Action Force. 1/3 pic.twitter.com/PGA0WtfejT
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) May 16, 2022
তৃণমূলের কটাক্ষ:
মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'বিরোধী দলনেতার উচিত পদত্যাগ করা, রাজ্যপাল ও বিরোধী দলনেতা এক জনেরই হওয়া উচিত।'
পাল্টা তোপ বিজেপির:
বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি, 'যারা তৃণমূল থেকে আমাদের দলে এসেছে, তাদগের পিছনে পুলিশ লাগানো হচ্ছে, শুভেন্দু-অর্জুন, জীতেন্দ্র তিওয়ারি, তাদের ডিসটার্ব করার চেষ্টা করা হচ্ছে।'
তৃণমূল-বিজেপির টক্করে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি সিপিএম। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য শমীক লাহিড়ি বলেন, 'দু’জনেই গণতন্ত্রকে পরোয়া করে না, দুটোই বিপজ্জনক। প্রথমত, পুলিশ কেন যাবে? আর রাজ্যপালই বা কেন এতো ট্যুইট করবেন! মূল্যবৃদ্ধি-চাকরি নেই, এসব থেকে নজর ঘোরাতেই নাটক।'
আরও পড়ুন: দীর্ঘদিন থমকে রেল প্রকল্প, তৃণমূলকে নিশানা বিজেপির, পাল্টা তোপ রাজ্যের শাসকের