Purulia: মাথায় সিঁদুর পরিয়ে বেপাত্তা প্রেমিক, ধর্নায় বসলেন প্রেমিকা
Purulia News: স্বামীর খোঁজে এবং গৃহপ্রবেশের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ির দরজায় সামনে ধর্নায় বসল প্রেমিকা। এই ঘটনায় ন্যায় বিচারের দাবিতে প্রেমিকার পরিবার পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন।
সন্দীপ সমাদ্দার, পুরুলিয়া: প্রেমিকাকে গ্রামবাসীদের সামনে মাথায় সিঁদুর দিয়ে বিয়ে করার পর প্রেমিক বেপাত্তা। বিয়ে মেনে নিতে অস্বীকার স্বামীর পরিবার। তাই স্বামীর খোঁজে এবং প্রেমিকের বাড়িতে থাকতে দেওয়ার দাবিতে প্রেমিকের বাড়ির দরজায় সামনে ধর্নায় বসল প্রেমিকা। এই ঘটনায় ন্যায় বিচারের দাবিতে প্রেমিকার পরিবার পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। পুরুলিয়ার কেন্দা থানার দড়ডি গ্রামে এই ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
এই দড়ডি গ্রামেরই যুবক কলেজ পড়ুয়া নীলকমল গোপের সঙ্গে প্রায় ২ বছরের প্রেমের সম্পর্ক হয় গ্রামের স্বামী পরিত্যক্ত যুবতী রীনা গোপের। এই দুই পরিবার একে অন্যের আত্মীয়। কিন্তু প্রেমিকের পরিবার এই সম্পর্ককে মেনে নিতে চাননি। তবুও হাওড়া নিবাসী কলেজ পড়ুয়া এই ছাত্র গতকাল রাত্রে প্রেমিকার ডাকে গ্রামে এসে গ্রামবাসীদের সামনে প্রেমিকার মাথায় সিঁদুর পরিয়ে বিয়ে করে। নববধূকে বাড়ি নিয়ে গেলে প্রেমিকের ঠাকুমা বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেয় এবং মারধোর করে বলে অভিযোগ। তারপর থেকেই স্বামী নীলকমল বেপাত্তা হয়ে যায়। স্বামীর খোঁজে বাড়ির দরজার সামনে গতকাল রাত থেকেই ধর্নায় বসে সদ্য বিবাহিতা রীনা গোপ। ঘটনায় বিচার চেয়ে রীনার পরিবারের লোকজন স্থানীয় কেন্দা থানার দ্বারস্থ হন। রীনার দাদা মৃত্যুঞ্জয় গোপ লিখিত অভিযোগ করেন থানায়। রীনার মাসির অভিযোগ, নীলকমল রীনাকে বিয়ে করার পর বেপাত্তা। রীনাকে বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। বোনপোকে মারধরও করে বলে অভিযোগ। দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
নদিয়ায় ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড
বহরমপুরের (Baharampur) পর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নদিয়ায় (Nadia) ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড। নদিয়ায় পলাশিপাড়ার (Palasipara) রানিনগরে শিশুদের সামনেই বাবা-মা-মেয়েকে নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগ। কেন এক পরিবারের ৩ জনকে কুপিয়ে খুন? এখনও রহস্যের কিনারা হয়নি।
বাড়ির ভিতর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় স্বামী-স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার। ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় রাস্তা থেকে মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধার। কেন পেশায় খেতমজুরকে নারকীয়ভাবে কুপিয়ে খুন? এখনও রহস্য। সোমবার রাত ১১টায় বাড়িতে দুষ্কৃতী হামলা হয়। এরপরেই ৩ জনকে কুপিয়ে খুন করা হয়। গতকাল রাতে বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় গৃহকর্তা দমন রাজোয়ার, তাঁর স্ত্রী সুমিত্রা ও মেয়ে মালার ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ। প্রণয়ঘটিত কারণেই গোটা পরিবারকে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান।