Recruitment Scam : নিয়োগ দুর্নীতির টাকা শেষমেশ পৌঁছেছিল কার কাছে ? বিশেষ কাউকে আড়ালের চেষ্টা কুন্তলের ?
Kuntal Ghosh : ইডির অনুমান, তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন হুগলির যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ।
![Recruitment Scam : নিয়োগ দুর্নীতির টাকা শেষমেশ পৌঁছেছিল কার কাছে ? বিশেষ কাউকে আড়ালের চেষ্টা কুন্তলের ? Recruitment Scam : Kuntal Ghosh diverting attention of Enforcement Directorate to hide someone special Recruitment Scam : নিয়োগ দুর্নীতির টাকা শেষমেশ পৌঁছেছিল কার কাছে ? বিশেষ কাউকে আড়ালের চেষ্টা কুন্তলের ?](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2023/01/28/7211059e41d6ba9130b943d71bf4a49e1674881754236170_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
প্রকাশ সিনহা, সুকান্ত মুখোপাধ্যায় ও ঊজ্জ্বল মুখোপাধ্য়ায়, কলকাতা : নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) কোটি কোটি টাকার লেনদেনের তথ্য় উঠে আসছে ইডির (Enforcement Directorate) তদন্তে। কিন্তু, এই টাকা শেষমেশ পৌঁছেছিল কার কাছে ? ইডির অনুমান, তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন হুগলির যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। প্রকৃত দোষীদের থেকে নজর ঘোরাতে রোজ রোজ আনছেন নতুন নতুন নাম !
তিনি গোপাল দলপতিকে কোটি কোটি টাকা দিতেন ! আর সেই টাকা OSD মারফৎ পৌঁছে যেত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে ! ED সূত্রে দাবি, শুক্রবার জেরার মুখে এমনই দাবি করেছেন নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত যুব তৃণমূলের রাজ্য় সম্পাদক কুন্তল ঘোষ।
ইডি সূত্রে দাবি, সম্প্রতি জেরার মুখে বারবার দুটো নাম করছেন কুন্তল। এক পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়, দুই গোপাল দলপতি। অত্য়ন্ত ইঙ্গিতপূর্ণ বিষয় হল, যে দু-জনের নাম কৌশলে বারবার টাকা লেনদেনে তুলে ধরতে চাইছেন ধৃত যুব তৃণমূলের রাজ্য় সম্পাদক, তাঁরা দুজনেই কিন্তু অনেক আগে থেকে জেলবন্দী। পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় বর্তমানে প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি। আর গোপাল দলপতি চিটফান্ড মামলায় ২০২১ থেকে দিল্লির তিহাড় জেলে রয়েছেন। অর্থাৎ কুন্তুলের এই চাঞ্চল্য়কর দাবি নিয়ে যে দু-জনেরই আপাতত মুখ খোলার কোনও সুযোগ নেই !
তাহলে কি অত্য়ন্ত কৌশলে তদন্তের নজর ঘোরাতেই বারবার এই দুই জেলবন্দির নাম টেনে আনছেন যুব তৃণমূল নেতা ? সূত্রের খবর, ইডির অনুমান, বারবার শুধু এই দুটো নাম বলে তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন কুন্তল। ইচ্ছাকৃত এমন দু'জনকে বেছে নিয়েছেন, যাঁরা এখন জেলে ! প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি বিশেষ কাউকে আড়াল করার চেষ্টা করছেন ধৃত যুব তৃণমূলের রাজ্য় সম্পাদক ? সেজন্য়ই কি ইতিমধ্য়েই কালিমালিপ্ত পার্থ ও গোপালের গায়ে আর কালি ছেটানোর কৌশল ?
অথচ ইডি সূত্রে দাবি, আশ্চর্যজনকভাবে হুগলির যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্য়পাধ্যায়কে নিয়ে সম্পূর্ণ নীরব কুন্তল ঘোষ ! ইডি সূত্রে দাবি, শান্তনুর বলাগড়ের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একটি ৩০০ জন চাকরিপ্রার্থীর নামের তালিকা পাওয়া গেছে ! যে লিস্টে ক্য়ান্ডিডেটদের নাম, রোল নম্বর, অ্য়াডমিট কার্ডের নম্বর সমস্ত বিশদে লেখা ! শুধু নিজের জেলাই নয়, হুগলির যুব তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে পাওয়া তালিকায় নাম রয়েছে কলকাতা, বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব মেদিনীপুর সহ একাধিক জেলার চাকরিপ্রার্থীদের !
ইডির প্রশ্ন, তাহলে কি জেনেবুঝেই শান্তনুর প্রসঙ্গে আড়াল করতে চাইছেন কুন্তল ? যুব তৃণমূল নেতা শান্তনুর বিলাসবহুল রেস্তোরাঁর উৎসই বা কী ? তাই বারবার একটাই প্রশ্ন উঠছে, কুন্তল কি কোথাও বড় কোনও মাথাকে আড়ালের চেষ্টা করছেন ?
ইডি সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে তিহাড়ে গিয়ে গোপাল দলপতিকে জিজ্ঞাসাবাদেের ব্য়াপারে ভাবনা চিন্তা করছেন তাঁরা।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)