SSC Scam:অভিষেকের বক্তব্যের পাল্টা বক্তব্য ক্ষোভপ্রকাশ চাকরিহারা শিক্ষকদের, এক আন্দোলনকারী বলেন, 'আমাদের জীবনটাই তো ধ্বংস হয়ে গিয়েছে..'
Job Losers On Abhishek SSC Scam: অভিষেকের দাবি উড়িয়ে কী প্রতিক্রিয়া চাকরিহারা শিক্ষকদের ?

কলকাতা: অভিষেকের বক্তব্যের পাল্টা বক্তব্য ক্ষোভপ্রকাশ চাকরিহারা শিক্ষকদের, এক আন্দোলনকারী বলেন, 'আমাদের জীবনটাই তো ধ্বংস হয়ে গিয়েছে..'Iমূলত এদিন চাকরিহারাদের আন্দোলন নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,'প্রতিবাদ করার অধিকার সবার আছে। আন্দোলন কখনও হিংসাত্মক হয় না। জোরজবরদস্তি গেট ভেঙে দেওয়া হচ্ছে, 'আন্দোলন কখনও উগ্র হয় না। বলপ্রয়োগ করে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করে, গেট ভাঙলে আন্দোলনের মূল সুর হারিয়ে যায়।' এরপরেই অভিষেকের দাবি উড়িয়ে পাল্টা ক্ষোভপ্রকাশ চাকরিহারা শিক্ষকদের।
আন্দোলনকারী চাকরিহারা শিক্ষিকা বিদিশা মুখোপাধ্যায় বলেন, 'এই আন্দোলন করতে গিয়ে মাথা আমাদের ফেটেছে। চোখ আমাদের নষ্ট হয়েছে। পা ভেঙেছে। হাত ভেঙেছে। তাহলে আমরা যদি হিংসাত্মক আন্দোলনই করতাম, তাহলে উল্টোদিকে যারা আমাদের প্রতিহত করতে চেয়েছিলেন, তাঁদেরও মাথা ভাঙতে পারত। পা ভাঙতে পারত। হাত ভাঙতে পারত। তেমন কিন্তু কোনও নজির কিন্তু কেউই এখনও পর্যন্ত পাননি। সুতরাং এই আন্দোলনকে কি আদৌ হিংসাত্মক বলা যায় ? এবং মাস্টারমশাই, দিদিমণি এবং শিক্ষাকর্মী যারা, তাঁদের কাজ হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে। তাঁরা কিন্তু কোনও রাজনৈতিক নেতা বা গুন্ডা নন, তাহলে হিংসাত্মক আন্দোলন করবে কীকরে ? অপরদিকে, আন্দোলনকারী চাকরিহারা শিক্ষক মাসুদ আলম বলেছেন, " তাঁরা পড়াশোনা করেননি। কীভাবে যোগ্যতা অর্জন করে চাকরি পেতে হয়, তাঁরা জানেন না। তাঁরা কখনও পরীক্ষা দেননি। এই মন্তব্যকে রাজনৈতিক মন্তব্য হিসেবে ধিক্কার জানাই। হিংসাত্মক রাজ্য সরকারের পুলিশ..।"
পুলিশের মারে রক্তাক্ত শিক্ষকরা। মার খাওয়া শিক্ষকদের বিরুদ্ধেই মামলা করেছে পুলিশ। সোমবার ও বুধবার, বিধাননগর উত্তর থানায় হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বেশ কিছু চাকরিহারা আন্দোলনকারীকে। নোটিসে এও উল্লেখ করা হয়েছে, হাজিরা না দিলে গ্রেফতার পর্যন্ত করা হতে পারে! এদিকে, জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্ট লঙ্ঘনের অভিযোগে রিপোর্ট তলব করল রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন।চাকরি ফেরত চাইতে গিয়ে জুটেছে পুলিশের বেধড়ক মার! রক্ত ঝরেছে। কারও পা ভেঙেছে। কারও চোখে আঘাত লেগেছে। তারপর, সেই মার খাওয়া... চাকরি হারানো শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের বিরুদ্ধেই মামলা করেছে পুলিশ। নোটিস দিয়ে ডেকে পাঠানো হল থানায়। কাউকে সোমবার। কাউকে আবার বুধবার বিধাননগর উত্তর থানায় তাঁদের হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নোটিসে এও উল্লেখ করা হয়েছে,হাজিরা না দিলে গ্রেফতার পর্যন্ত করা হতে পারে! চাকরিহারা আন্দোলনকারী মেহবুব মণ্ডলকে একেবারে আলাদা নোটিস পাঠিয়ে, সোমবার থানায় ডাকা হয়েছে।






















