Abhijit Gangopadhyay:মোদির সভা শেষে অন্য মুডে, রাস্তায় ফুচকা খেলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
Abhijit Gangopadhyay Eat Fuchka : মোদির সভা শেষ হতেই এদিন পুরো অন্য মুডে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ও বিজেপি নেতা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। খোশমেজাজে শিলিগুড়ির রাস্তায় দাঁড়িয়ে ফুচকা খেলেন তিনি..
শিলিগুড়ি: আজ শিলিগুড়িতে মোদির সভার (PM Modi Rally) আগেই বাংলার শাসকদলকে (TMC) তোপ দাগেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ও বিজেপি নেতা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। সাফ বলেন, বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন দরকার। সাধারণ মানুষের রোষ তুলে ধরায় সাংবাদিকদের হেনস্থা করছে। চূড়ান্ত অগণতান্ত্রিক অবস্থা চলছে, এভাবে বেশিদিন চলতে পারে না। সন্দেশখালিতে মা-বোনের ওপর অত্যাচার হল, অথচ মুখ্যমন্ত্রী একদিনও যাননি বলে মন্তব্য করেন তিনি। এদিন সভামঞ্চে পৌঁছতেই প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে হাত মেলান তিনি। এবং মোদির সভা শেষ হতেই এদিন পুরো অন্য মুডে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সারাদিনের সফর শেষে, বুক পকেটে রাখলেন চশমা । খোশমেজাজে শিলিগুড়ির রাস্তায় দাঁড়িয়ে ফুচকা খেলেন তিনি। পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপি নেতা শঙ্কর ঘোষকেও দিলেন উৎসাহ। বললেন 'খাও, খাও।' পাশ থেকে ফুচকা 'টেস্টি' কিনা ? প্রশ্নের জবাবে মাথা নেড়ে বোঝালেন, 'হ্যাঁ ।'
বিজেপিতে যোগদানের পর প্রথম জনসভাতেই অল আউট অ্যাটাকে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নো ভোট টু তৃণমূল, শিলিগুড়ির মঞ্চ থেকে স্লোগান বিজেপি নেতা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। ছাব্বিশে তৃণমূলকে উৎখাতের ডাক অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির। ফের তৃণমূলকে দুর্বৃত্তদের দল বলে আক্রমণ অভিজিতের। বলেন, 'রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল দুর্বৃত্তদের নিয়ে তৈরি। যোগ্যরা চাকরি পাননি, অযোগ্যরা চাকরি কিনেছেন। আমার চোখে ভয়ানক দুর্নীতি ধরা পড়েছে। শিক্ষা দুর্নীতিতে জেলে রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। পশ্চিমবঙ্গ থেকে দুর্বৃত্তদের দলকে উৎখাত করতে হবে। তৃণমূলকে একটি ভোটও নয়, এই শপথ নিতে হবে। তৃণমূল ভিতর থেকে ভাঙতে শুরু করেছে, অনেকে দল ছাড়ছেন। ভাল নেতারা তৃণমূল ছাড়ছেন, দুর্বৃত্তদের দলে কেউ থাকতে চাইছেন না। আসন্ন ভোটে তৃণমূল সরকারকে বিদায়ের পথ দেখাতে হবে। নো ভোট টু তৃণমূল', স্লোগান বিজেপি নেতা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।
আরও পড়ুন, ফ্রি রেশনের বিরোধিতা করছে বাম-তৃণমূল-কংগ্রেস জোট : মোদি
তিনি আরও বলেন, পুলিশ দেখছেন সাধারণ মানুষকে কীভাবে হ্যারাস করছে? এবং সেটা ওপর মহলের নির্দেশে করছে। সাংবাদিকদের কীভাবে হ্যারাস করছে, সেটা ওপর মহলের নির্দেশে করছে। এটাকে কী আইন শৃঙ্খলা বলে? তারা মানুষের রোষ, সাধারণ মানুষের যে ক্ষোভ সেটাকে সামলাতে পারছে না। সাংবাদিকরা সেটা তুলে ধরছেন, সাংবাদিকদের অ্যাটাক করছে। এটা তো একটা চূড়ান্ত অগণতান্ত্রিক অবস্থা। এটা তো বেশিদিন চলতে পারে না। ৩৫৬ করা দরকার। সন্দেশখালিতে কী হল, মা-বোনেদের ওপর অত্যাচার হল, মুখ্যমন্ত্রী একদিনও যাননি। সে এলাকার যিনি MP, তিনি একদিন যাননি। গানবাজনা করছিলেন। আমার ধারণা নির্বাচন যদি অবাধ হয় এবং রিগিংটাকে যদি আটকানো যায়, তাহলে অসম্ভব ভাল রেজাল্ট হবে। তৃণমূল এমনকী মুছেও যেতে পারে।