RG Kar News: নির্দিষ্ট লবির দাদাগিরি, 'এখনও মেডিক্যাল কলেজগুলিতে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে', সুর চড়াচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা
RG Kar Incident: আর জি কর মেডিক্যালে ধর্ষণ, খুনের পরই রাজ্যের একের পর এক সরকারি মেডিক্যাল কলেজ থেকে সামনে আসতে শুরু করে থ্রেট কালচারের অভিযোগ।
কলকাতা: আর জি কর-কাণ্ডের পর রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি মেডিক্যাল কলেজ থেকে সামনে এসেছে থ্রেট কালচারের অভিযোগ। যার প্রেক্ষিতে বিরূপাক্ষ বিশ্বাস, অভীক দে-দের সাসপেন্ড করেছে স্বাস্থ্য ভবন। এখনও সেই থ্রেট কালচারের অভিযোগকে সামনে রেখেই, নিরাপত্তার দাবিতে সুর চড়াচ্ছেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা।
নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলি নিয়ে, বুধবার নবান্নে ফের মুখ্য়সচিবের সঙ্গে বৈঠক করলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। নিরাপত্তায় বারবার জোর দেওয়ার নেপথ্যে, যে কারণগুলো রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হল থ্রেট কালচার। বুধবার জুনিয়র ডাক্তাররা যে ইমেল পাঠান, সেখানে উল্লখ করা হয়েছে থ্রেট কালচারের কথা।
আর জি কর মেডিক্যালে ধর্ষণ, খুনের পরই রাজ্যের একের পর এক সরকারি মেডিক্যাল কলেজ থেকে সামনে আসতে শুরু করে থ্রেট কালচারের অভিযোগ। ভাইরাল হয় হুমকি-শাসানির একাধিক অডিও ক্লিপ।
ডাক্তারি পড়ানোর কলেজে, একটি নির্দিষ্ট লবির দাদাগিরি কোন জায়গায় পৌঁছেছিল, তা পরিষ্কার হয়ে যায় এই ভাইরাল অডিও ক্লিপ থেকে। মেডিক্যাল কলেজগুলিতে থ্রেট কালচারের অভিযোগ ওঠে SSKM-এর পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি অভীক দে, SSKM-এর প্রাক্তনী ও চিকিৎসক রণজিৎ সাহা এবং বিরূপাক্ষ বিশ্বাস, যিনি আর জি কর-কাণ্ডের সময় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক ছিলেন। এই দু'জনই আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ এবং নর্থ বেঙ্গল লবির বলে পরিচিত।
আরও পড়ুন, সেমিনার হলের উল্টোদিকের ঘরে ছিলেন এক রোগিণী! সেদিন রাতে কী দেখেছিলেন?
আর জি কর-কাণ্ডের পর চাপের মুখে প্রথমে বিরূপাক্ষ বিশ্বাস ও অভীক দে-কে সাসপেন্ড করে স্বাস্থ্যভবন। এরপর অভীক দে, বিরূপাক্ষ বিশ্বাস ও রণজিৎ সাহার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে কলকাতা পুলিশ। বউবাজার থানা সূত্রে খবর, শুধু কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকেই অভীক দে, বিরূপাক্ষ বিশ্বাস এবং রণজিৎ সাহার বিরুদ্ধে জুনিয়র ডাক্তারদের ৪৬টি অভিযোগ মেলে।
চাপের মুখে পোস্ট গ্র্য়াজুয়েট ট্রেনি অভীক দে-র বিরুদ্ধে ব্য়বস্থা নেয় SSKM কর্তৃপক্ষ। নির্দেশ দেওয়া হয় আউটডোর, অপারেশন থিয়েটার, ইমার্জেন্সিতে তিনি ডিউটি করতে পারবেন না। হস্টেলে ঘরও পাবেন না। রণজিৎ সাহার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয় এসএসকেএম মেডিক্যাল কলেজ কাউন্সিল। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়-তাঁকে হাউস স্টাফ হিসেবে রাখা হবে না। অ্যাকাডেমিক বা অন্যান্য কোনও কর্মকাণ্ডে যোগ দিতে পারবেন না তিনি। অবিলম্বে হস্টেল খালি করে দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের তরফে আকিব আশরফ বলেন, 'যাদের জন্য এই থ্রেট কালচারের বাড়বাড়ন্ত, তারা এখনও প্রকাশ্যে ঘুরছে। আন্দোলন শুরু করার সময় যারা আমাদের ভয় দেখিয়েছিল, হুমকি দিয়েছিল, তারা এখনও মেডিক্যাল কলেজগুলিতে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।'
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে