RG Kar Medical Student Death: আঘাত, শ্বাসরোধ করে খুন, শেষে ধর্ষণ, প্রমাণ লোপাটেরও চেষ্টা করেন সঞ্জয়?
Medical Student Death: যত সময় যাচ্ছে, RG কর কাণ্ডে একের পর এক তথ্য সামনে আসছে।
কলকাতা: অপরাধ স্বীকার করেও কোনও রকম অনুতাপ নেই বলে জানা গিয়েছে। RG কর কাণ্ডে এবার ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে নিয়ে নয়া তথ্য সামনে এল। পুলিশের দাবি, চিকিৎসক তরুণীকে খুন করে প্রমাণ লোপাটেরও চেষ্টা করেন সঞ্জয়। রক্তের দাগ লুকোতেই তিনি পোশাক ধুয়ে ফেলেন। তাঁর সেই পোশাক এবং জুতো বাজেয়াপ্ত হয়েছে বলে খবর মিলছে। (RG Kar Medical Student Death)
যত সময় যাচ্ছে, RG কর কাণ্ডে একের পর এক তথ্য সামনে আসছে। এবার জানা যাচ্ছে, চিকিৎসক তরুণীকে খুনের পর পোশাক ধুয়ে ফেলেন সঞ্জয়। এই ঘটনায় পুলিশ এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিজেদের মতো তদন্ত চালাচ্ছে। তদন্তে নেমে পুলিশ সঞ্জয়ের একজোড়া জুতোয় রক্তের দাগ দেখতে পায়। ঘটনাস্থলে যে তিনি ছিলেন, তা বোঝা যাচ্ছে। পরনের বারমুডা এবং টি-শার্টও ধুয়ে ফেলেন সঞ্জয়। তথ্য প্রমাণ লোপাট করতেই তিনি সেগুলি ধুয়ে ফেলেন বলে মনে করছে পুলিশ। (Medical Student Death)
সঞ্জয়ের পোশাক-জুতো বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। RG কর হাসপাতালের একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজে ভোর ৪টের সময় সঞ্জয়কে ঢুকতে দেখা গিয়েছে সঞ্জয়কে। বেরিয়ে আসেন ৪টে বেজে ৩৭ মিনিটে। পুলিশের অনুমান, প্রথমে তরুণী চিকিৎসককে আঘাত করেন সঞ্জয়, তার পর খুন করেন শ্বাসরোধ করে। সব শেষে ধর্ষণ করেন করে বলে মনে করা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, কোনও ভাবে কেউ যাতে সন্দেহ না করেন, তার জন্য তরুণীর হাত মুখের উপর এমন ভাবে রাখেন সঞ্জয়, যাতে দেখে মনে হয় ওই তরুণী ঘুমাচ্ছেন। এর পর চম্পট দেন সঞ্জয়। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় সঞ্জয় ছাড়া অন্য কারও যুক্ত থাকার প্রমাণ পায়নি পুলিশ। কিন্তু সঞ্জয়ের একার পক্ষে এই ঘটনা ঘটানো সম্ভব কি না, উঠছে প্রশ্ন।
এর পাশাপাশি, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দুই নিরাপত্তা রক্ষীকে সাসপেন্ড করেছেন। চেস্ট বিভাগে ওই দিন নিরাপত্তার দায়িত্ব ছিলেন তাঁরা। তাঁদের কাজে গাফিলতি না থাকলে এই ঘটনা ঘটত না বলে মত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। হাসপাতাল চত্বরের সর্বত্র সিসিটিভি ফুটেজ বসানো হচ্ছে, অকেজো সিসিটিভি গুলিকে সারানো হচ্ছে। তবে নিরাপত্তা নিয়ে নানা অভিযোগ রয়েছে পড়ুয়াদের। সেই মতো দাবি-দাওয়াও জমা পড়েছে। বাইরে থেকে হাসপাতালে ঢুকে বিক্ষোভের জেরে রোগী পরিষেবায় যাতে বিঘ্ন না ঘটে, তার জন্যও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।