RG Kar News: 'স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে সুরক্ষা আমার জন্মগত অধিকার', দাবি অপরাজিতা আঢ্যর
Aparajita Adhya: এদিন টালিগঞ্জের শিল্পীরা ফের পথে নামেন বিচারের দাবিতে, নারী সুরক্ষার দাবিতে। মিছিলের প্রথম সারিতে ছিলেন অপরাজিতা আঢ্য, মানসী সিন্হা, সোহাগ সেন প্রমুখরা।
অতসী মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার (RG Kar News) প্রতিবাদে চলছে আন্দোলন। সাধারণ মানুষ থেকে চিকিৎসক মহল, শিল্পী, প্রত্যেকের একটাই দাবি, 'বিচার চাই' (We Want Justice) এবং সেই সঙ্গে বারবার উঠে আসছে নারী সুরক্ষার প্রসঙ্গ। রবিবার আবারও পথে নামলেন টালিগঞ্জের কলাকুশলীরা (Tollywood Celebrities)।
আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ফের পথে টালিগঞ্জের কলাকুশলীরা
এদিন টালিগঞ্জের শিল্পীরা ফের পথে নামেন বিচারের দাবিতে, নারী সুরক্ষার দাবিতে। মিছিলের প্রথম সারিতে ছিলেন অপরাজিতা আঢ্য (Aparajita Adhya), মানসী সিন্হা, সোহাগ সেন প্রমুখরা। এবিপি আনন্দকে অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য বলেন, 'বিচারের জন্য লড়াই। সময় লাগছে ঠিকই। কিন্তু আমার মনে হয় এবার বিচার মিলতেই হবে। মানুষ এটা দেখিয়ে দিয়েছেন যে এরকমও হয়। যেভাবেই হোক বিচার চাই। বিচার আমরা চাই, এবং আমরা পরিকাঠামোগত বদল চাই। কেউ আমাদের চোখ রাঙাবে না, আমরা সুস্থভাবে বাঁচতে চাই। রাস্তাঘাটে, কাজের জায়গার কোথাও যেন আমাদের কেউ কর্তৃত্ব না ফলাতে পারে। আমরা আমাদের যোগ্যতায় চাকরি পাই। যখন প্রয়োজন পড়বে তখনই যেন সুস্থভাবে কাজ করতে পারি। একজন নাগরিক হিসেবে এটা আমার দাবি। একটা স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে সুরক্ষিত থাকতে পারব, এটা তো আমার জন্মগত অধিকার। ফলে এই সুযোগ পেতে আমি বাধ্য।'
আরও পড়ুন: Deepika Ranveer Baby: দীপিকা-রণবীরের কোলে কন্যা সন্তান, প্রথম পোস্ট নতুন মা-বাবার, শুভেচ্ছার বন্যা
সোশ্যাল মিডিয়ায় বরাবরই বেশ সক্রিয় অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য। সম্প্রতি গণেশ চতুর্থীর আগে নিজের হাতে গড়েছিলেন দেবতার মূর্তি। তবে এবার গণপতির আরাধনাতেও স্থান করে নিয়েছিল প্রতিবাদের ভাষা। গণেশ চতুর্থীর প্রাক্কালে সোশ্যাল মিডিয়ায় অপরাজিতা আঢ্য লেখেন, 'বঙ্গজীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে আছেন যে গণপতি, তাঁর সঙ্গে চতুর্থীর চেয়ে, হালখাতাকে মিলিয়ে ফেলতেই বেশি স্বচ্ছন্দ্য অধিকাংশ বাঙালি। হিন্দু পুরাণের সিদ্ধিদাতা যে ঠিক কোন লোকগাথার পাল্লায় পড়ে বাঙালীর একান্ত আপন স্থূলকায় ব্যবসায়িক প্রতীক হয়ে গেলেন, তার ইতিহাস সাংস্কৃতিক ভাবে দীর্ঘ ও জটিল! তবে আজ যে সময়ে দাঁড়িয়ে গণেশ চতুর্থী এসে দরজায় কড়া নাড়ল, তখন ব্যবসা শব্দটা শুনলেই গা টা ঘিনঘিনিয়ে উঠছে! শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, সবকিছু নিয়ে যে ব্যবসার আসর সারা বাংলার ভাগ্যাকাশে, বারংবার মনে হচ্ছে আজ সিদ্ধিদাতাকেই প্রয়োজন! সিদ্ধি অর্থে প্রজ্ঞা, নৈতিক আদর্শ, চেতনার উন্মেষ, সিদ্ধি অর্থে কোথাও গিয়ে আজকের সময়ে সমষ্টিগত নবজাগরণ এবং আত্মবিশ্লেষণ- ও বৈকি!... হে গণপতি, শুধু ব্যবসায়িক প্রতীক নয়, তুমি ন্যায়রূপ সিদ্ধি দান করো; এই সম্পদ আজ সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয়।'
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।