JU Student Death:যাদবপুর-কাণ্ডের প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধে তীব্র যানজট, পথচারীদের সঙ্গে বচসা বিক্ষোভকারীদের
Road Blockade In Jadavpur: যাদবপুর-কাণ্ডের প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধের জেরে ব্যস্ত সময়ে তীব্র যানজট। অবরোধকারীদের সঙ্গে বচসা বাধল পথচারীদের।
সন্দীপ সরকার, কলকাতা: যাদবপুর-কাণ্ডের (JU Student Death) প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধের (Agitation) জেরে ব্যস্ত সময়ে তীব্র যানজট। অবরোধকারীদের সঙ্গে বচসা বাধল পথচারীদের।
কী ঘটল?
এদিন ভুক্তভোগীদের প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েন অবরোধকারীরা। দু'পক্ষের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ হয়। অভিযোগ উঠেছে যে অ্যাম্বুল্যান্সের মতো গাড়িও ছাড়তে রাজি হননি অবরোধকারীরা। বস্তুত, অফিস টাইমে ফেরার পথে রাস্তা অবরোধের জেরে তুমুল নাকানিচোবানি খেতে হয় নিত্যযাত্রী ও পথচারীদের। এর পর কিছুটা রাস্তা খোলে। যেমন এখনও পর্যন্ত যা দেখা যাচ্ছে, তাতে ঢাকুরিয়ার দিক থেকে যাদবপুরের দিকে যেসব যানবাহন যাওয়ার কথা, তাদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। একই ভাবে, ইএম বাইপাস থেকে প্রিন্স আনওয়ার শাহ রোডের দিকে যে সব যানবাহন আসছে, সেগুলিও কিছু কিছু ছাড়া হয়েছে। তবে যাদবপুর থেকে ঢাকুরিয়া বা প্রিন্স আনওয়ার শাহ রোড থেকে ইএম বাইপাসের দিকে যাওয়ার রাস্তা এখনও বন্ধ। সব মিলিয়ে এখনও অবরোধ মুক্ত নয় ওই এলাকা। উত্তেজনাও রয়েছে। এর আগে, মৃত পড়ুয়ার বাবার তরফে বার্তা এসেছিল, 'আন্দোলন স্বাভাবিক, কিন্তু আন্দোলনের নামে মারপিট, অশান্তি করবেন না।' তবে আপাতত উত্তেজনায় রাশ টানার কোনও লক্ষণই নেই।
তদন্ত...
পড়ুয়ামৃত্যুর তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও ২ জন প্রাক্তনী ও ১ বর্তমান পড়ুয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। এদিন ওই ৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সূত্রের খবর, তিন জনকেই নোটিস পাঠিয়ে তলব করা হয়েছিল। তার পর যাদবপুর থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, গত ৯ আগস্ট রাতে ঘটনাস্থলে ছিলেন ওই ৩ জন। ছাত্রের মৃত্যুর পর ২জন বাড়ি চলে যান। ১ জন হস্টেলে ছিলেন, বলছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে আরও যা উঠে এসেছে, তা চমকে ওঠার মতো। ওই পড়ুয়ার মৃত্যুর পর হস্টেল লাগোয়া মাঠে প্রথম জিবি মিটিং হয়েছিল, জানতে পেরেছে পুলিশ। ছাত্রমৃত্যু নিয়ে পুলিশকে কী বলতে হবে, তা শেখাতে খোলা মাঠেই ক্লাস নেওয়া হয়! এখনও পর্যন্ত যে ৯ জনকে ধরা হয়েছে, তাঁরাও ওই জিবি মিটিংয়ে ছিলেন, দাবি পুলিশ সূত্রে। ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন তাঁরা, আরও দাবি তদন্তকারীদের। হস্টেলে পুলিশ ঢুকতে না দেওয়ার নেপথ্যেও হাত রয়েছে তাঁদের, এমনই ধারণা পুলিশের। কিন্তু ঠিক কী ঘটেছিল সে দিন? পরিচয় পর্বের নামে কী ভাবে হেনস্থা করা হয় ছাত্রকে? ভিডিও উদ্ধারের জন্য ধৃতদের মোবাইল ফোনের ফরেন্সিক রিপোর্টের অপেক্ষায় পুলিশ।
আরও পড়ুন:হয়তো আপনার নামেই ব্যাঙ্কে জমে মোটা টাকা! এবার এক ক্লিকেই খোঁজ