Junior Doctors Rally: স্যালাইনকাণ্ডে সাসপেন্ড ১২জন চিকিৎসক, আসফাকুল্লা নাইয়ার বাড়িতে পুলিশি অভিযান, প্রতিবাদে মিছিল জুনিয়র ডাক্তারদের
Saline Controversy: মেদিনীপুর মেডিক্যালে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় সব দায় জুনিয়র এবং সিনিয়র চিকিৎসকদের ঘাড়েই চাপিয়েছে রাজ্য। অভিযোগ, অপটু হাতে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে, তাই এই ঘটনা ঘটেছে।

সন্দীপ সরকার, কলকাতা : মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্যালাইনকাণ্ডে সিনিয়র এবং জুনিয়র- সহ ১২ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করেছে রাজ্য সরকার। তাঁদের মধ্যে ৬ জনই জুনিয়র ডাক্তার। অন্যদিকে আবার আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তার আসফাকুল্লা নাইয়ার বাড়িতে বৃহস্পতিবার সকালে আচমকাই হানা দেয় বিধাননগর পুলিশ। তল্লাশিও চালানো হয় আসফাকুল্লার কাকদ্বীপের বাড়িতে। এই দুই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট। এর পাশাপাশি আজ সন্ধ্যায় আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত মিছিলও করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সমাজের সব স্তরের মানুষের কাছে এই মিছিলে যুক্ত হওয়ার আহ্বানও দেওয়া হয়েছিল তাঁদের তরফে। পা মিলিয়েছিলেন সিনিয়র চিকিৎসকদেরও অনেকে।
ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের পক্ষ থেকে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানেই পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক হবে এবং ঘোষণা করা হবে। মেদিনীপুর মেডিক্যালের স্যালাইনকাণ্ডের ঘটনায় ১২ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা এবং আসফাকুল্লা নাইয়ার বাড়িতে পুলিশি অভিযান, এই দুই ঘটনার কোনওটাই মেনে নেওয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের তরফে। সেই সঙ্গে এও জানানো হয়েছে যে এভাবে সাসপেন্ড করে, বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে, ভয় দেখিয়ে আন্দোলনের প্রতিবাদী স্বর দমন করা যাবে না। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে জুনিয়র চিকিৎসকের সঙ্গে হওয়া নৃশংসা ঘটনার বিরুদ্ধে তাঁরা যেমন আওয়াজ তুলেছেন, তেমনই এই ডাক্তারদের সাসপেনশন এবং আসফাকুল্লার বাড়িতে পুলিশি অভিযানের ঘটনার প্রতিবাদেও তাঁদের কণ্ঠস্বর জারি থাকবে বলে জানিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
কেন পুলিশি অভিযান হল জুনিয়র ডাক্তার আসফাকুল্লা নাইয়ার বাড়িতে? কী বলছেন তিনি?
আসফাকুল্লার অভিযোগ, আর জি কর কাণ্ডে সরব হয়েছিলেন বলেই এসব হচ্ছে। বিধাননগর থানার ২০ জনের বেশি পুলিশ আমার গ্রামের বাড়ি গিয়েছে। অথচ ২ কিলোমিটার দূরে আর জি করে আমি রয়েছি, সেখানে এল না। ১০০ কিলোমিটার দূরে গ্রামের বাড়িতে গেল। আজ আমি, কাল অন্য কেউ। আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি। তাই বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আমার সামাজিক অবক্ষয়ের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমাদের কণ্ঠস্বর রোধ করার জন্যই এসব করা হচ্ছে। এভাবে ভয় দেখিয়ে আন্দোলন দমন করা যায় না।
মেদিনীপুর মেডিক্যালে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় সব দায় জুনিয়র এবং সিনিয়র চিকিৎসকদের ঘাড়েই চাপিয়েছে রাজ্য। অভিযোগ, যাঁদের হাজির থাকার কথা অস্ত্রোপচারের সময়, তাঁরা ছিলেন না। অপটু হাতে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে, তাই এই ঘটনা ঘটেছে।
এই প্রসঙ্গে একই কথা বলেছেন জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতো এবং আসফাকুল্লা নাইয়া। তাঁদের কথায় সবই যদি ডাক্তারদের গাফিলতিতেই হয়ে থাকে তাহলে স্যালাইন, ওষুধ নিষিদ্ধ করা হল কেন? যদি চিকিৎসকদের গাফিলতিতেই প্রসূতির মৃত্যু হয়, তাহলে আপনি (স্বাস্থ্যমন্ত্রী) সরাসরি বলে দিন যে স্যালাইন, ওষুধ সব ঠিক ছিল। এখনও জানা গেল না স্যালাইনে কী সমস্যা ছিল, কেন তা নিষিদ্ধ হল। এই চিকিৎসকদের বলির পাঁঠা করে আপনি কাদের আড়াল করার চেষ্টা করছেন? এই ঘটনা কোনওভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
