Sandeshkhali Agitation: কাজ করিয়েও 'লোপাট' প্রাপ্য! সন্দেশখালিতে ফের বিক্ষোভের আগুন
North 24 Parganas: সন্দেশখালির রামপুর বাজার ফের উত্তপ্ত। বেরমজুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হাজি সিদ্দিক মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
সমীরণ পাল, সন্দেশখালি, উত্তর ২৪ পরগনা: ভোটের আবহে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল সন্দেশখালির রামপুর বাজার। এবার ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকা চুরির অভিযোগ ঘিরে ধুন্ধুমার। অভিযোগ উঠেছে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে।
কী অভিযোগ?
সন্দেশখালির রামপুর বাজার ফের উত্তপ্ত। বেরমজুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হাজি সিদ্দিক মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। ১০০ দিনের কাজ যাঁরা করেছেন, সেই ব্যক্তিদের প্রাপ্য টাকা তিনি তুলে নিয়েছেন বলে অভিযোগ। দিনমজুরদের টাকা লোপাট করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এখানেই শেষ নয়, একাধিক সরকারি জমি দখল করে তিনি নিজের নামে করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। সেখানে ওই পঞ্চায়েত প্রধান দোকানঘর বানিয়েছেন বলেও অভিযোগ। বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একটি অংশ। বৃহস্পতিবার তা আরও চরমে ওঠে। জব কার্ডের প্রাপ্য টাকা ফেরত দেওয়ার দাবিতে বেশ কিছু বাসিন্দা রাস্তার উপরে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। হাজি সিদ্দিক মোল্লাকে যত দ্রুত সম্ভব গ্রেফতার করার দাবি তুলেছেন বাসিন্দারা। অভিযুক্ত তৃণমূল প্রধানের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
আগের দিনও বিক্ষোভ:
বুধবারও বিক্ষোভের ছবি দেখা গিয়েছিল সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali incident)। টায়ার জ্বালিয়ে চলে বিক্ষোভ। গতকাল সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লকের দুর্গামণ্ডপ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সরকারি প্রকল্পের ইট চুরি করে পাচারের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগ নিয়েই বুধবার উত্তেজনা ছড়ায় সুখদোয়ানি বাজার এলাকায়। গ্রামবাসীদের দাবি ছিল,সরকারি প্রকল্পের জন্য দিনকয়েক আগে ইট আনা হলেও কাজ মাঝপথে থমকে যায়। অভিযোগ, বুধবার ঠিকাদার ও দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সেই ইট চুরি করে পাচারের চেষ্টা করছিলেন তৃণমূলের দুর্গামণ্ডপ অঞ্চলের সভাপতি। তারপরেই তৃণমূল নেতা ও ঠিকাদারকে ঘেরাও করে রেখে শুরু হয় বিক্ষোভ। পুলিশ উদ্ধার করতে এলে পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ শুরু হয়।
ইট চুরির নতুন অভিযোগ ঘিরে সন্দেশখালিতে বিক্ষোভ নিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করেছিল বিজেপি। বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার বিজেপি নেতা শঙ্কর চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'তৃণমূলকে ধরছে, নেতাদের ধরছে ED-CBI, আর সন্দেশখালির ছিঁচকে চোরদের ধরছে গ্রামবাসী। গ্রামবাসীরা পাকড়াও করেছে, তাই নিয়ে সন্দেশখালির অশান্তি।' অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
বিক্ষোভস্থল থেকে তৃণমূল নেতা-সহ ৫ জনকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় সন্দেশখালি থানার পুলিশ। পুলিশের দাবি, সরকারি প্রকল্পের জন্য আনা কিছু ইট বেঁচে গিয়েছিল। তাই কালভার্ট তৈরির জন্য অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। গ্রামবাসীরা ভুল বোঝায় এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: প্রথমবার UPSC দিয়েই সারা ভারতে ব়্যাঙ্ক ৯৪, কীভাবে সফল হলেন তমালি?